পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ما نفاذ वङ्क्षत्रि । [ ৪র্থ বর্ষ, শ্রাণ। সরল সৌন্দর্য্যের চিরন্তন সমারোহে সম্পন্ন হইতে থাকে। আমাদের বালকেরা হোমধেন্থ চরাইয়া আসিয়া পড়া লইতে বসে, এবং বালিকার গোদোহনকার্ষ্য সারিয়া কুটারপ্রাঙ্গণে, গৃহকার্য্যে গুচিস্নাত কল্যাণময়ী মাতৃদেবীদের সহিত যোগ দেয়। & “জানি, আলোকের সঙ্গে ছায়া আসে, স্বগোষ্ঠানেও সয়তানের গুপ্তসঞ্চার হইয়া থাকে, কিন্তু তাই বলিয়াই কি আলোককে রোধ করিয়া রাখিব, এবং স্বর্গের আশা একেবারেই পরিত্যাগ করিতে হইবে ? যদি বৈদিককালে তপোবন থাকে, যদি বৌদ্ধযুগে “নালন্দা’ অসম্ভব না হয়, তবে আমাদের কালেই কি সয়তানের একাধিপত্য হইবে এবং মঙ্গলময় উচ্চ আদর্শমাত্রই মিলেনিয়ামে’র দ্বরাশা বলিয়। পরিহসিত হইতে থাকিবে ? আমি আমার এই কল্পনাকে নিভৃতে পোষণ করিয়া প্রতিদিন সঙ্কল্পমাকারে পরিণত করিয়া তুলিতেছি । ইহাই আমাদের একমাত্র মুক্তি, আমাদের স্বাধীনতা ; ইহাই আমাদের সর্বপ্রকার অৰমাননা হইতে নিস্কৃতির একমাত্র উপায় । নহিলে আমরা আশ্রয় লইব কোথায়, আমরা বঁচিব-কি করিয়া ? আমাদের মাথা তুলিবার স্থানত নাই-ই, মাথা রাখিবার স্থানও প্রত্যহ সঙ্কীর্ণ হইয়া মাসিতেছে। প্রবল যুরোপ বন্তার মত আসিয়া আমাদের সমস্তই পলে পলে তিলে তিলে অধিকার করিয়া লইল । এখন নিরাসক্ত চিত্ত, নিষ্কাম কৰ্ম্ম, 'নিঃস্বাধ জ্ঞান এবং নিৰ্ব্বিকার অধ্যাক্সক্ষেত্রে আমাদিগকে আশ্রয় লইতে হইবে। সেখানে সৈনিকদের সহিত আমাদের বিরোধ নাই, বণিকৃদের সহিত আমাদের প্রতিযোগিতা নাই, রাজপুরুষদের সহিত আমাদের সংঘর্ষ নাই—সেখানে আমরা সকল আক্রমণের বাহিরে, সকল অগৌরবের উচ্চে ।” سي আমার এই চিঠি পড়িয়া অনেকের মনে অনেক বিতর্ক উঠিতে পারে, তাহা আমি জানি। তাহারা বলিবেন, “বর্তমানকাল যদি আমাদিগকে আক্রমণ করিয়া থাকে, তবে অতীতকালের মধ্যে পলায়ন করিয়া আমর বাচিব, ইহা কাপুরুষের কথা।” এ প্রবন্ধে কেবলমাত্র প্রসঙ্গক্রমে এরূপ প্রশ্নের সদুত্তর দেওয়া চলে না। সংক্ষেপে এইটুকু বলিব, ভারতবর্ষের নিত্যপদার্থটি যে কি, বাহির হইতে প্রবল আঘাত খাইম্বা তবে তাহা আবিষ্কার করিতে পারিতেছি। এমন অবস্থায় সেই নিত্য আদশের দিকে আমাদের অস্তরের একান্ত যে একটা আকর্ষণ জন্মে, তাহাকে উপেক্ষা করে কাছার সাধ্য ! আর একটিমাত্র কথা আছে। আমি যে তপোবনের আদর্শকে অতীতকাল হইতে সঞ্চয় করিয়া মনের মধ্যে দাড় করাইতেছি, সে তপোবনে সমস্ত ভারতবর্ষ আশ্রয় লইতে পারে না—ত্রিশকোটি তপস্বী কোনো 'দেশে হওয়া সম্ভবপর নহে, হইলেও বিপদ আছে । এ কথা সত্য বটে। কিন্তু সকল দেশের আদর্শই সে দেশের তপস্বীর गगहे बक করিয়া থাকেন। ইংরাজের যাহাকে স্বাধীনত বলিয়া জানেন, তাহার সাধনা ইংলণ্ডের শ্রেষ্ঠ কয়েকজনেই করিয়া থাকেন, বাকি অধিকাংশই আপন-অাপন কৰ্ম্মে লিপ্ত। অথচ কয়েকজনের সাধনাই-সুমস্ত দেশকে সিদ্ধি, গান করে। ভারতবর্ষও আপন শ্রেষ্ঠ সত্তানের