পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ፃ:: বঙ্গদর্শন । [ ৪র্থ বর্ষ, শ্রাবণ । রহিয়াছে জ্ঞাতা’র বাস্তবিক-সত্তায়, এখন দ্রষ্টব্য এই যে, বহিরিক্রিয় আকাশ ভেদ করিয়া—আকাশের ও-পৃষ্ঠে যেখানে রহিয়াছে জ্ঞেয়বস্তু-সকলের বাস্তবিক-সত্তা—সেখানে পৌছিতে পারে না ; তথৈব, অন্তরিক্রিয় ( বা অস্তঃকরণ ) কালের গঙ্গাস্রোভেয় উজানে চলিয়া—গোমুখী ছাড়াইয়ু মহোচ্চ কৈলাসধামে যেখানে রহিয়াছে জ্ঞাতার ৰাস্তবিক-সত্তা—সেখানে পৌছিতে পারে না। কাণ্টের দার্শনিক মানচিত্র। কাণ্টের দার্শনিক মানচিত্রে গন্তব্য-পথের ঠিকানা যাহা পাওয়া যায়, তাহাতে যাত্রিগণের উদ্যমভঙ্গ হইবারই কথা ; কিন্তু তথাপি তাহা উপেক্ষণীয় নহে ; যেহেতু কাণ্ট, পাশ্চাত্য-দর্শনের পথপর্য্যটকদিগের মধ্যে সৰ্ব্বাস্ত্রগণ্য। কাণ্টের দার্শনিক মানচিত্রে মাঝপথের প্রধান-প্রধান কতিপয় প্রদেশ-খণ্ড পরিচিহ্রিত হইয়াছে এইরূপে :– এপারে রহিয়াছে জ্ঞাতা’র বাস্তবিক সত্তা । ওপারে রহিয়াছে জ্ঞেয়বস্তু-সকলের বাস্তবিক-সত্তা । দুই পারের মাঝখানে রহিয়াছে— (১) সংবিতেয় একত্ব এপার ঘেঁষিয়া, ( ২ ) বহিরিঞ্জিয়ের বিষয়-বৈচিত্র্য ওপার ৰ্ঘেষিয়া, (৩) অন্তরিক্রিয়ের ( বা অন্তঃকরণেয় ) সংযোজনারূপী ছাবৰ্ত্তের টান দুয়ের মধ্যস্থলে। এখন দ্রষ্টব্য এই যে, বাস্তবিক-সত্তার ঐ যে দুইদিকের দুই অধিষ্ঠান ক্ষেত্র-এপার এবং ওপার, দুই পারই মনুষ্য-জ্ঞানের অধিকার-বহিভূত অজ্ঞেয়প্রদেশ। মানচিত্র-এ-যাহ আলেখ্যপটে লেখনী টানিয়া অ কিয়া দেখানো হইয়াছে, ইহার যাথার্থ্য ফলে কিরূপ দাড়ায়, তাহ একবার পদব্রজে পরীক্ষা করিয়া দেখা যা’ক । মানচিত্রের ফলপরীক্ষা । গুরু বলিলেন—“করতলন্তস্ত-আমলকবণু ।” গুরুর মুখবিনির্গত ঐ তেজোময় বাক্যটি শিষ্যের কর্ণকুহরে প্রবেশ করিল। শিষ্যের কর্ণকুহরে তাহ প্রবেশ করিল বটে, কিন্তু তত্ৰাচ শিষ্য তাহার একটি অক্ষয়ও শুনিতে পাইলেন না। শিষ্যের কর্ণকুহরে যে তাহা প্রবেশ করিয়াছে, তাহাতে সন্দেহমাত্র নাই ; কেন না, একটু পুৰ্ব্বে ক্লাস্তির প্রাদুর্ভাবে শিঘ্যের চক্ষুধটি বুজিয়া আসিতেছিল ক্রমশই অধিকাধিক মাত্রা, ইতিমধ্যে “কর তলছ্যস্ত-অমিল কবং” এই শব্দের ধমকে তাহার তন্দ্র। ভাঙিয়া গেল । তবেই হইতেছে যে, গুরুমুখোচ্চারিত ঐ শব্দটি শিষ্যের কর্ণকুহরে প্রবেশ করিয়াছে ;–না যদি প্রবেশ করিবে, তবে শিঘ্যকে জাগাইয়া দিল কে ? অত-বড় একটা জোরালো শব্দ কর্ণকুহরে প্রবেশ করিল, অথচ শ্রবণেন্দ্রিয়ের গ্রাহে আসিল ন—এটা হইল শুদ্ধকেবল মনোযোগের অভাবে । ইহাতে প্রমাণ হইতেছে এই যে, বহিরিস্ট্রিয়ের বিষয় উপস্থিত হওয়া চাই বিশেষ একটি দেশে ( যেমন কর্ণকুহরে }, আর, সেই সঙ্গে অন্তরিক্রিায়ের ( অর্থাৎ মনের) সংযোজনা-ক্রিয়া’র উদ্রেক হওয়া চাই বিশেষ একটি কালে (যেমন জাগরণ श्रृङ्खप्6) ; এই দুই ব্যাপারের সমবেত কাৰ্য্যকারিত ব্যতিরেকে বিষয়ের উপলব্ধি সম্ভবে ন। দুইটি বিষয়ের সন্ধান পাওয়া গেল ; একটি”, হচ্চে ধহিৰ্বিন্দ্রিমের .বিষয়-বৈচিত্র্য • ( যেমন ক, র, ত, ল স্ত, স্ত, অ, ম, ল, ক,