পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতু সংখ্যা । ] নৌকাডুবি। ›ፃፃ ও আয়তনের বহুদূরবিস্তৃত ছাদগুলির উপরে cरमण्डब अक्नब cबोज ब्रान इहेब आनिब्रांरह,-निनांप्खब्र शयू शं७ब्रांछि थांकिब्राথাকিয় যেমন ইচ্ছা ঘুরিয়া-ফিরিয়া যাইতেছে। হেমনলিনী চিলের ছাদের প্রাচীরের ছায়ায় চুপ করিয়া বসিয়া ছিল। পাঠশালায় অকস্মাৎ ছুটি পাইলে ছেলের দল যেমন হো-হ করিয়া বাহির হইয় পড়ে, আজ হেমনলিনীর বুকের ভিতরে তাহার ভালবাসার দিনগুলির স্মৃতি তেমনি করিয়া ছাড়া পাইয়াছে— কে যে কোথা হইতে কি লইয়া ছুটিয়া আসিতেছে, उांशत्र ठिकांना नाह-उोशएमब्र उष्कृथन চঞ্চল পদক্ষেপে তাহার বক্ষতল অাজ কম্পমান । কঠিন মৗড়ের টানে সেতারের তার ছেড়ে-ছেড়ে করিয়াও তীব্রমধুৰ স্বরে কাদিয়া বাজির উঠে—হেমনলিনীর প্রাণের ভিতরে আজ তেমনি প্রবল পীড়নে সব তার গুলা ক্ৰন্দনের চুড়ান্ত সীমায় গিয়া ও মধুর হইয়৷ ব্লাজিয়া উঠিতেছে । রমেশের স্থতি তাহাকে ঘিরিয়া-বিরিয়া তাহার মনের ভিতরকার সমস্ত-কিছু একেবারে এলোমেলে। উল্টাপাল্টা করিয়া দিয়া আবৰ্ত্তিত হইতেছে—তাহার হৃদয়কে উদাস এবং সমস্ত জগৎসংসারকে বাপূসা করিয়া দিতেছে। আকাশে কাক ডাকিয়া চলিয়াছে, গলির প্রান্তে বড়রাস্ত। হইতে নানাশন্সমিশ্র কলধ্বনি অপরাহের ছুটির বেলাকে মুখরিত করিতেছে, রাস্তার ধারে ব্যাণ্ডের দলের এক মুসলমান-যুবক কর্ণেটুম্বন্ত্রে স্বর-অভ্যাসের উপলক্ষ্যে একটা করুণম্বরের স্কচ্‌গান বাজাইতেছে ; এই সমস্ত শব্দ, মুর"ও স্মৃতির মাঝখাৰুে নিভৃত ছাদের এক কোণে কাৰ্ত্তিক-অপরাহ্লের ঝিকি? মিকি আলোতে হেমনলিনী আপনার মধ্যে নিমগ্ন হইয়া বসিয়া আছে। অন্নদাবাবু কখন তাহার পিছনে আসিয়া দাড়াইলেন, তাহাe"সে টেরও পাইল না। অবশেষে अब्रनबिाबू যখন আস্তে আস্তে তাহার পাশে আসিয়া তাহার কাধে হাত রাখিলেন, তখন সে চমকিয়া উঠিল এবং পরক্ষণেই লজ্জায় তাহার মুখ লাল হইয়া উঠিল। হেমনলিনী তাড়াতাড়ি উঠিয়া পড়িবার পূৰ্ব্বেই অন্নদাবাবু তাহার পাশে বসিলেন। একটুখানি চুপ করিয়া থাকিয়৷ দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া কছিলেন, “হেম, এই সময়ে তোর মা যদি থাকিতেন ! আমি তোর কোনো কাজেই লাগিলাম না !” বৃদ্ধের মুখে এই করুণ উক্তি শুনিবামাত্র হেমনলিনী যেন একটি সুগভীর মূৰ্চ্ছার ভিতর হইতে তৎক্ষণাৎ জাগিয়া উঠিল । তাহার বাপের মুখের দিকে একবার চাহিয়৷ দেখিল। সে মুখের উপরে কি স্নেহ, কি করুণ, কি বেদনা ! এই কয়দিনের মধ্যে সে মুখের কি পরিবর্তনই হইরাছে ! সংসারে হেমনলিনীকে লইয়া যে ঝড় উঠিয়াছে, তাহার সমস্ত বেগ নিজের উপর লইয়া বৃদ্ধ একলা যুঝিতেছেন—কন্তার আহত হৃদয়ের কাছে বারবার ফিরিয়া-ফিরিয়া আসিতেছেন— সাস্তুনা দিবাবু সমস্ত চেষ্ট। ব্যর্থ হইল দেখিয়া আজ হেমনলিনীর মাকে তাহার মনে পড়িতেছে এবং আপন অক্ষম মেহের অন্তঃস্তর হইতে দীর্ঘনিশ্বাস উচ্ছসিত হইয়৷ উঠিতেছে—হঠাৎ হেলনলিনীর কাছে আজ এ সমস্তই যেন বজ্রের আলোকে প্রকাশ পাইল । ধিক্কারের আঘাতে তাহাঁকে আপন