পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ সংখ্যা । ] নৌকাডুবি । ১৭৯ ৷ বুলাইতে লাগিল। কহিল, “মাকে আমার খুব অল্প একটুখানি মনে পড়ে। আমার মনে পড়ে—জুপুরবেলায় তিনি বিছানায় গুইয়া বই লইয়া পড়িতেন, আমার তাহা কিছুতেই ভাল লাগিত না, আমি বই কাড়িয়া লইবার চেষ্টা করিতাম।” ইহা হইতে আবার সেকালের কথা উঠিল । মা কেমন ছিলেন, কি করিতেন, তখন কি হইত, এই আলোচনা হইতে হইতে সুর্য্য অস্তমিত এবং আকাশ মলিন তাম্রবর্ণ হইয়া আসিল । চারিদিকে কলিকাতার কৰ্ম্ম ও কোলাহল, তাহারি মাঝখানে একটি গলির বাড়ীর ছাদের কোণে এই বৃদ্ধ ও নবীন, দুটিতে মিলিয়া, পিতা ও কন্যার চিয়স্তন স্নিগ্ধ সম্বন্ধটিকে সন্ধ্যাকাশের ম্রিয়মাণচ্ছায়ায় অশ্রুসিক্ত মাধুরীতে ফুটাইয়া তুলিল । এমন-সময় সিঁড়িতে যোগেন্দ্রের পায়ের শব্দ শুনিয়া জুইজনের গুঞ্জনালাপ তৎক্ষণাৎ •থামিয় গেল এবং চকিত হইয়া দুইজনেই উঠিয়া দাড়াইলেন। যোগেন্দ্র আসিয়া ਚੋਂ মুখের দিকে তীব্র দৃষ্টিনিক্ষেপ করিল এবং কহিল, “হেমের সভা বুঝি আজকাল .এই हाय्महे ?” যোগেন্দ্র অধীর হইয়া উঠিয়াছিল । ঘরের মধ্যে দিনয়াত্রি এই যে একটা শোকের কালিমা লাগিয়াই আছে, ইহাতে তাহাকে প্রায় ব্রাড়ীছাড়া করিয়াছে। অথচ বন্ধুবান্ধবদের বাড়ীতে গেলে হেমনলিনীর বিবাহ লইয়া নানা জবাবদিহির মধ্যে পড়িতে হয় বলিয়া কোথাও যাওয়াও মুক্ষিল । সে কেবলি বলিতেছে-“হেমনলিনী অত্যন্ত শ্ৰীড়াবাড়ি আরম্ভ করিয়াছে। মেয়েদের ইংরাজি (بي গল্পের বই পড়িতে দিলে এইরূপ জ্বৰ্গতি ঘটে। হেম ভাবিতেছে, ‘রমেশ যখন আমাকে পরিত্যাগ করিয়াছে, তখন আমার হৃদয় ভাঙিয়া উচিত,—তাই সে আজ খুব সমারোহ করিয়া হৃদয় ভাঙিতে বসিয়াছে। নছভল-পড়া কয়জন মেয়ের ভাগ্যে ভালবাসার নৈরাপ্ত সহিবার এমন চমৎকার সুযোগ ঘটে !” যোগেন্দ্রের কঠিন ৰিন্দ্রপ হইতে কন্যাকে বঁাচাইবার জন্ত অন্নদীবাবু তাড়াতাড়ি বলিলেন—“আমি হেমকে লইয়া একটুখানি গল্প করিতেছি।”–যেন তিনিই গল্প করিবার জন্ত হেমকে ছাদে টানিয়া আনিয়াছেন। যোগেন্দ্ৰ কহিল, “কেন, চায়ের টেবিলে কি আর গল্প হয় না ? বাবা, তুমিস্থদ্ধ হেমকে ক্ষ্যাপাইবার চেষ্টায় আছ ! এমন করিলে ত বাড়ীতে টেকা দায় হয় ।” হেমনলিনী চকিত হইয়া কহিল, “বাৰ', এখনো কি তোমার চা খাওয়া হয় নাই ?” যোগেন্দ্ৰ—“চা ত কবিকল্পনা নয় যে, সন্ধ্যাবেলাকণর আকাশের স্বৰ্য্যাস্ত-আভা হইতে আপনি ঝরিয়া পড়িবে। ছাদের কোণে বসিয়া থাকিলে চায়ের পেয়াল ভরিয়া উঠে না, এ কথাও কি নুতন করিয়া বলিয়া দিতে হইবে ?” অন্নদা • হেমনলিনীর • লজ্জানিবারণের জন্ত তাড়াতাড়ি বলিয়া উঠিলেন—“আমি যে আজ চু খাইব না বলিয়া ঠিক করিয়াছি।” যোগেন্দ্র। কেন যাব, তোমরা সকলেই তপস্বী হইয়া উঠিবে নাকি ? তাছা হইলে আমার দশা কি হইবে । বায়ু জাহারটা अोमोङ्ग मङ् इग्न नl । •