পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s९ शत्रन*न । [ ৪র্থ বর্ষ, বৈশাখ । ঘন ঘন নিসর ভাইক ডাহকীগণ হয়। এদিকে পদকল্পতরু, গীতচিন্তামণি ৷ চাতক পিউপিউ নীরে । প্রভৃতি গ্রন্থে কোনরূপ টীকা পাওয়া যায় শিখগুমণ্ডল কামে কামাকুল ন। পাঠপরিবর্তন হইবার ও প্রধান কারণ নিরখাত শবদ করে ॥৪ ভণি তা নাই, সুতরাং সঙ্কলনকার নিরপেক্ষভাবে এইরূপ পদ পরিত্যাগ করিয়াছেন, কিন্তু এ দুইটি বে বিদ,াপতির অবিকৃত বিশুদ্ধ পদ, তাহাতে অণুমাত্র সন্দেহ নাই । রচনাকৌশলে, ভাষার গঠনে ও ভাবের । সঙ্কেতে বিদ্যাপতির মৈথিল পদের সহিত এই পদদ্বয়ের সম্পূর্ণ সাদৃপ্ত লক্ষ ত হয়। ভণিতা নাই বলিয়া কোন সংগ্রহকার সঙ্কলন করেন নাই, এবং সেই কারণে পাঠপরিবর্তন অথবা অর্থবিকৃতির সুযোগ হয় নাই । রাজপুরুষদিগের পক্ষে দেশের অঙ্গ, চ্ছেদ যেমন সহজসাধ্য, পাঠকার ও টীক|কারের পক্ষে কবি ও কাব্যের মুণ্ডচ্ছেদ সেইরূপ অনায়াসসাধ্য। বিশেয এই উভয়বিধ ছেদনকার্ঘ্যে অসির প্রয়োজন হয় না, মপি ও শাণিতাগ্র লেখনী হইলেক্ট অভীষ্ট সিদ্ধ হয় । সঙ্কলনের পর টীকা ও অর্থ । বিদ্যাপতির পদ দুৰ্ব্বোধ হইবার প্রথম কারণ ভাৰ্য, দ্বিতীয় পাঠের বিকৃতি । তাহার রচনায় বড় বড় অভিধানিক শব্দ অধিক নাই, কিন্তু পাচশত বৎসরে শব্দের অর্থেও কিছু পরিবর্তন হইয়াছে ৯ অনেক শব্দ এখন যে অর্থে আমরা ব্যবহার করি, বিদ্যাপতি সে অর্থে প্রয়োগ করেন নাই । তাহার শব্দশিল্প বড় স্বক্ষ, তিনি শুস্বরত্নকার। ভাষা আমাদের পক্ষে অপরিজ্ঞাত ও অনভ্যস্ত, অর্থশৈথিল্য ও অর্ধভ্রম হইবার সতত সম্ভাবনা। ক্রিয়া, অব্যয়শষ প্রভৃতি লইয়। অনেকসময় ভ্রমু ভাধা এবং শব্দের জটিলতা, এবং তাহাতে স্থানে স্থানে অর্থনির্ণর করা অত্যন্ত কঠিন হইয়া উঠিয়াছে। পদাম্বতসমুদ্রের প্রধান দোব সঙ্কলনকার রাধামোহন ঠাকুর স্বরচিত পদ অধিক সংখ্যায় সন্নিবিষ্ট করিয়াছেন, বৈষ্ণবকবিগুরুদিগের অল্পসংখ্যক পদ দিয়াছেন । বিদ্যাপতির কতিপয় পদ আছে । যে পদটি তাহার নিজের দুৰ্ব্বোধ মনে হুইয়াছে, রাধামোহন ঠাকুর সহজ সংস্কৃতভাষায় তাহারই ভাবাৰ্থ করিয়াছেন, তাহতে পাঠকের যথেষ্ট সহায়ত হয় না । যাহা দুৰ্ব্বোধ, তাহা সুবোধ করাই যে টীকার ও অর্থের প্রধান উদ্দুেগু, আধুনিক টীকাকারের তাহ বিস্তুত হইয়া, টাকাগুপের উপর কীৰ্ত্তিধ্বজ উডডীয়মান করিয়াছেন । কাজটা নিতান্ত কঠিন নয় । কোষ, দর্পণ, দীপিকা, মঞ্জরী, ব্যাকরণস্থত্র প্রভৃতির অক্ষয়ভাণ্ডার পড়িয়া রহিয়াছে, কিছু উদ্ধার, কিছু আহরণ করিয়া অগাধপণ্ডিত্যপূর্ণ টীকারাশি সংগ্রহ করা যায় । তথাপি কবির প্রতি কৃপা করিয়া টীকার ভার কিছু লঘু করিলে হইত ভাল । স্ত্রীলোকের বেশবিদ্যাসের ষোড়শ প্রকল্প ও তাহার তালিকা.বিরহের দশ দশার নাম কথন, কন্দপের পঞ্চ কুঙ্কমশরের, নাম, দশাবতারের নাম ইত্যাদি ইত্যাদি কতকগুলি অত্যন্ত জ্ঞাতব্য বিষয় অতি প্রাচীন বয়োবৃদ্ধ টাকাকারদিগের উপর বরাত দিলেও হইত। কিন্তু এই এত্ত টীকা পড়িয়াও অর্থসুগমতার তেমন সুবিধা হয় না । তখন