পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t চতুর্থ সংখ্যা। ] ভয়ে ভারতবর্ষ পররাষ্ট্রলুণ্ঠনে নিরস্ত থাকিতে পারিত । সেদিন কে ভারতবর্ষের আক্রমণের গতিরোধ করিতে পারিত ? অাজ অস্তুভ্যসমাজ সভ্যসমাজের আক্রমণবেগ সহ করিতে পারে না ; সেদিনও অসভ্যসমাজের পক্ষে স্বসভ্য ভারতবর্ষের আক্রমণবেগ সহ করিবার সম্ভাবনা ছিল না । তথাপি ভারতবর্ষ অসহায় প্রতিবেশীর রাজ্যহরণের চেষ্টা করে নাই । তস্করবৃত্তি ভারতবর্ষের সমুন্নত রাজনীতিকে কলঙ্কিত করে নাই বলিয়াই ভারতবর্ষের কলঙ্ক হইতে পারে ন। . ভারতবর্ষ জ্ঞানসাম্রাজ্যসংস্থাপনের জন্ত চেষ্টা করিয়াছিল; সে চেষ্টা অতীতে সফল হইয়াছিল ; বর্তমানে আবার নিষ্ফল হইয়া পড়িয়াছে। সভ্যসমাজ ক্রমে সংযত না হইয়া অসংযত হইয়া উঠিতেছে । মানব আবার পীড়িতকণ্ঠে শান্তিলাভের জন্ত ব্যাকুলভাবে আৰ্ত্তনাদ করির উঠিতেছে। ভারতবর্ষেয় জ্ঞানসাম্রাজ্য পুনরায় বিস্তৃত না হইলে, সে আকুল আৰ্ত্তনাদ তিরোহিত হইবার আশা নাই ! এশিয়া এক। এশিয়া অখণ্ড মহাদেশ । এশিয়া ধৰ্ম্মে, ভাষায়, আচারব্যবহারে বহুধা বিভক্ত হইলেও, তাহার বিভিন্নতার মধ্যেই একতায় গুপ্তস্রোত প্রবাহিত । সে স্রোত একদা ভারতবর্ষ হইতে প্রবাহিত হইয়া, সমগ্র এশিয়াখণ্ডকে প্লাবিত করিয়া দিয়াছিল । যাপান সেই পুরাতন স্রোতের সন্ধানলাভ করিয়া, অধঃপতিত এশিয়াখণ্ডের হৃৎপিণ্ডের দ্যায় . নৰম্পদনে প্রবুদ্ধ হইয়। উঠিয়াছে। “ সমগ্র এশিয়াখণ্ড ৰেন ধাপানের প্রাণের স্পন্দনে মৃতকল্পশরীরে' ভারতীয় জ্ঞানসাম্রাজ্য। *స్చె পুনরায় - চেতনাসঞ্চারের স্বত্রপাত লক্ষ্য করিতেছে। এশিয়ার ধৰ্ম্ম মানধ-ধৰ্ম্ম | এশিয়ার শাক্য, খৃষ্ট, মহম্মদ, সুছাই পুনঃপুন প্রচারিত করিয়া গিয়াছেন । ইউরোপ তাহার বহিরঙ্গের অনুষ্ঠান গুলি গ্রহণ করিয়া, মূলসত্য প্রত্যাখ্যান করিয়াছে ! ইউরোপ বাহুবলোম্মত্তপশুধৰ্ম্ম-প্রচারে নিযুক্ত হইয়া, এশিরার শ্রদ্ধাআকর্ষণের চেষ্টা করিয়াও, অশ্রদ্ধ লাভ করিয়া তিরস্কৃত হইতেছে । জ্ঞানসাম্রাজ্যের তুলনায় শক্তিসাম্রাজ্যের এইরূপ পরাভব অবগুস্তাবী । ইউরোপ বিজয়লাভ করিরাও পরাভূত ; এশিয়া বিজিত হইরাও, অপরাজিত পুৰ্ব্বগেীরবে মানবসমাজের অকপট ইতিহাসলেখকের প্রতীক্ষায় নীরবে দিনগণনা করিতেছে ! ভারতবর্ষেয় জ্ঞানসাম্রাজ্য সুদূর যাপানদ্বীপপুঞ্জে বিস্তৃত হইবার সময়ে, চীন ও কোরিয়া দেশের নানা কুসংস্কারের প্রভাবে যাপানে প্রকৃত জ্ঞান বিস্তার করিতে সমর্থ হয় নাই । খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর প্রারম্ভে চীনদেশের ধৰ্ম্মপ্রাণ বৌদ্ধশ্রমণগণ তাহার পরিচয় পাইবামাত্র, ভারতবর্ষে আসিয়া প্রকৃত জ্ঞান উপার্জন করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন । তাহাদিগের নিকট হইতে যাপানও সে সুসংস্কৃত ধৰ্ম্মতত্ত্ব গ্রহণ করির কৃতার্থ হইয়াছিল , প্রথমে কেবল শাক্যসিংহেয় জীবনকাহিনী ও উপদেশ, নানাভাবে বিকৃত হইয়া, যাপানে শাক্যপূজার প্রচলন করিয়াছিল । পরে শাক্যসিংহের ধৰ্ম্মমতের মূলতত্ত্ব শনৈঃশনৈ প্রচারিত হইয়াছিল। . তাহার মধ্যেই ৰাপান “ভাবের মাতৃভূমি"র প্রকৃত