পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఉనe সন্ধান প্রাপ্ত হইয়াছে । সে শিক্ষণ.যাপানকে বাহাড়ম্বরে বীতশ্রদ্ধ করিয়া, মৰ্ম্মাস্বাদে মধু করের ন্তায় উন্মত্ত করিয়া তুলিয়াছে। বস্থৰন্ধুর দার্শনিক শিক্ষাই "হার মূল বলিগ ধাপানবাসীর নিকট সুপরিচিত। আর্য্যসমাজের নবজীবনলাভের প্রথম প্রভাতে ভারতবর্ষের পুণ্যারণ্যে যে বেদমন্ত্র ধ্বনিত হইয়াছিল, তাহাই মানবজ্ঞানশাস্ত্রের সংক্ষিপ্ত “সুত্র” । অন্তান্ত যুগের সমুন্নত সাহিত্য সেই সংক্ষিপ্ত সুত্রের বিস্তৃত “ভাধ্য” ভিন্ন আর-কিছু বলিয়া পরিচিত হইতে পারে না । বেদমন্ত্র ভারতবর্ষকে যে সরল সত্যের শিক্ষাদান করিয়া মানবধৰ্ম্মে সমুন্নত করিৰার স্বত্রপাত করিয়াছিল, পরবর্তী ধৰ্ম্মপ্রচারকগণ তাঁহাই নানাভাবে লোকসমাজে প্রচারিত করিয়া গিয়াছেন। স্থানকালপত্রভেদে নানাভাবে ধৰ্ম্মতত্ত্ব প্রচারিত হইলেও, এশিয়াখণ্ডের সকল ধৰ্ম্মই আত্মত্যাগের মাহাত্ম্যকীর্তনে এশিয়ার গৌরব ঘোষণা করিয়াছে। সম্ভোগ পশুধৰ্ম্ম ; ত্যাগ ভিন্ন মানবধৰ্ম্মের অন্ত কোন মূলমন্ত্র আবিষ্কৃত হইবার সম্ভাবনা নাই। আত্মত্যাগেই মানব সমাজ সমুন্নতিলাভ করিয়াছে –আত্মত্যাগেই মানবসমাজ ক্রমোন্নতি লাভ করিৰে । ত্যাগের মূলে সংযম বিদ্যমান থাকা আবশ্যক। মানবসমাজ মুসংযত না হইলে আত্মত্যাগের সরলধৰ্ম্ম রক্ষা করিতে সমর্থ হয় না । সংযম মানবসমাজকে বিচারপরায়ণ করে । না বুঝিলে, মানবসমাজ সংযত হইতে পারে না। বুঝিতে বসিলেই, ইহকালের সমালোচনায় হস্তক্ষেপ করিতে হয়। সে সমালোচনায় প্রবৃত্ত হইলে, সকল অস্ফিা বঙ্গদর্শন । [ ৪র্থ বর্ষ, শ্রাবণ । লন নিরস্ত হইয়া পড়ে । ভারতবর্ষ তাহাতে হস্তক্ষেপ করিয়া, সংষত হইয়া, আত্মত্যাগে সমগ্র মানবসমাজের কল্যাণসাধনের জন্তু জীবন উৎসর্গ করিবার শিক্ষাদান করিয়াছিল। ইহাই ভারতীয় জ্ঞানসাম্রাজ্য-বিস্তারের প্রধান সহায় । ইহার নিকট শাণিত খরশাণ পরাভূত হইয়া যায়। শাক্যসিংহের উপদেশ এই মূলমন্ত্র প্রচার করিবার যে অভিনব কৌশলের উদ্ভাবনা করিয়াছিল, তাহারই নাম বৌদ্ধধৰ্ম্ম । তাহ নুতন নহে, চিরপুরাতন । কালে তাহ নানা কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হুইয়া পড়িয়াছিল বলিয়া, পুনরায় ৰস্কৰন্ধু তাহার মূলতত্ত্বব্যাখ্যার চেষ্টা করিয়াছিলেন। যাহা কিছু বৃহৎ, তাহাই ভারতবর্ষের পুরাতন আদর্শ। বৃহৎ হিমালয় ভারতবর্ষের জনসমাজকে নিযুত বৃহতের দিকেই আকর্ষণ করিয়া আসিয়াছে। নদনদী সেই দিকেই লোকচিত্ত পরিচালিত করিয়া সকল ক্ষুদ্রত ভাসাইয়া লইয়া গিয়াছে । পুরাতন ভারত বর্ধ বিশ্বযাগীকে ডাকিয়া কহিয়াছে— · “যে বৈ ভূম তৎ মুখং নাল্পে স্থখমস্তি ।” এই শিক্ষা ভারতবর্ষকে ক্ষুদ্র হইতে বৃহতে, সসীম হইতে অসীমে বহন করিয়া লইয়া, ভারতবর্ষের শিল্প, সাহিত্য ও ইতিহাসের ভিতর দিয়া নিয়ত সেই , মহাৰন্তলাভের অতৃপ্ত আকাঙ্ক্ষার পরিচয় প্রদান করিতেছে। তাহার তুলনায় ‘ৰক্তমান ক্ষুদ্র इहेzठ क्रूझठब्र श्हेब्रां ‘छवियारउब्र' च्यनांशृङ বৃহৎ কলেবরে লুপ্ত হইয়া যায় ; তাহার তুলনায় সংকীর্ণরেখানিবদ্ধ সুসীম স্বরূপচিত্র তুচ্ছ হী, ভাবৰিক অনন্তসোর্ধ্যবিজ্ঞাপক কাল্পনিক চিত্রের অস্পষ্ট ৰণসমাবেশ