পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)నty রূপ ভাষায় অন্যান্য দর্শনেরও জাবির্ভাব । ন্যায়ের স্বত্ৰসকল যেরূপ-পদ্ধতি-যুক্ত, অন্যান্য বহি দেখিয়াছে, দর্শনের , স্বত্রগুলিওঁ তদ্রুপপদ্ধতি-যুক্ত। ন্যায়ের ভাষাপ্রভৃতি বNখ্যাগ্রন্থের ভাষা যেরূপ, অন্তান্ত দর্শনের ভাষ্যপ্রভৃতি ব্যাখ্যাগ্রন্থের ভাষাও সেইরূপ । বলিতে কি, ন্যায় বঙ্গদেশে আসিয়াই রূপান্তর প্রাপ্ত হইয়াছে, নচেৎ পূৰ্ব্বে সৰ্ব্বদেশে একই রূপে অবস্থিত हिंठा । ন্যায় কি ? এ কথার প্রত্যুত্তর দিতে হইলে, বোধ হয় আপাতত এইরূপ বলিলে যথেষ্ট হইতে পারে যে, অনুমানপ্রণালীয় নাম ন্যায়, ও তদ্বোধক শাস্ত্রের নাম ন্যায়শাস্ত্র । “অনু'শব্দের অর্থ পশ্চাৎ, আর ‘মান শব্দের অর্থ জানা । যে স্থলে কোন এক জ্ঞানের দ্বারা তৎসংস্থষ্ট অন্য এক পদার্থ জানা যায়, সে স্থলের সেই প্রথম জ্ঞান অনুমান ও দ্বিতীয় জ্ঞান অনুমিতি। যেমন ধূমজ্ঞানের পর বহ্লির জ্ঞান। প্রাচীন ন্যায়বিং পণ্ডিতেরা ও অম্লমানের লক্ষণপ্রসঙ্গে সরল সংস্কৃতভাষায় বলিয়া গিয়াছেন যে, “জ্ঞানকরণকং জ্ঞানমমুমানম্।” আমি অনুমানের নাম ন্যায়, এ কথা না বলিয়, অনুমানপ্রণালীর নাম ন্যায়, এ কথা বলি:াম কেন, তাহা বলিতেছি। অনুমান স্বার্থ-পরার্থ-ভেদে দ্বিবিধ । তন্মধ্যে যাহা স্বার্থ, তাহ ন্যায়সংজ্ঞার সংজ্ঞা নহে ; যাহা পরার্থ, তাহাই ন্যায়ুসংজ্ঞার সংজ্ঞী। স্বার্থামুমান জীবহৃদয়ের স্বতঃসিদ্ধ ধৰ্ম্ম, সেজন্য তাহ পরাপেক্ষী নহে। পরাপেক্ষী অর্থাৎ শাস্ত্রমুখাপেক্ষী। পরাপেক্ষী নহে, অর্থাৎ •আপনা-আপনি জন্মে। আপনাআপনি জন্মে বলিয়াই তাদৃশ অল্পমানের वर्छाङ्गुनि । [ ৪র্থ বর্ষ, শ্রীরণ । যে একবার ধূমমূলে সে সময়াস্তরে খুম দেখিলেই তন্মলে বহি থাকা অবধারণ করিবে। তাহার সেই ধূমজ্ঞানজন্য বহিজ্ঞান আপনা-আপনি জন্মে, কাহাকেও জন্মাইয়া দিতে হয় না, সেইজন্য তাহা স্বার্থসংজ্ঞায় সন্নিবিষ্ট। তাদৃশ স্বার্থীকুমান শক্তিরূপে প্রত্যেক জীবের অস্তরে স্বতঃসিদ্ধভাবে বিদ্যমান থাকে। তাহারই প্রভাবে জীবগণ ভূত, ভবিষ্যৎ, বর্তমান পদার্থে, দূর ও ব্যবহিত পদার্থে, জ্ঞানলাভ করিয়া নিবিঘ্নে ংসারযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করিতেছে।, তাই বলা হইয়াছে, স্বাথানুমান শাস্ত্রশিক্ষার অধীন নহে । এবংবিধ স্বার্থাঙ্কুমানের আদর্শে পরার্থামুমান-নামক ন্যায় রচিত হইয়া থাকে ; সেজন্য উক্ত স্বাথানুমানকে পরাথাকুমানের মূল, বীজ, আদশ বা অনুবাদ বলা যায় । যে স্থলে কোন কারণবশত স্বতঃসিদ্ধ স্বার্থtছুমানশক্তি সুপ্তকল্প হয়, সেই স্থলে পরার্থাঙ্কুমানের উদয় বা অবির্ভাব হইয়া থাকে । মনে করুন, আমি ও আমার ভৃত্য, আমরা উভয়েই দূর হইতে পৰ্ব্বতোপরি ধূমোদগমন হইতে দেখিলাম, দেখিয়া আমি বুঝিলাম, পৰ্ব্বতোপরি বহি আছে। কিন্তু আমার ভৃত্য তাছা বুঝিল ন, অথবা বন্ধিসম্ভাবে অবিশ্বন্ত ৰ সন্দিহান হইল । কাজেই আমাকে তখনু পরার্থীকুমান প্রণালী অবলম্বন করিতে হইল। তাছা অন্ত কিছু নহে, তাহ একপ্রকার বাক্প্রপঞ্চ সেই বাৰূপ্রপঞ্চ°একটি পাঁচবিভাগেবিভক্ত মহাৰাক্য। এখন বিভাগের নাম স্বার্থানুমান । নাম প্রতিজ্ঞ, দ্বিতীয় বিভাগের নাম হেতু,