পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇe-6 জন্য নহে । ন্যায়ুশক্তি মনুষ্যস্থই নহে, তাহ। প্রকৃতির স্বঃ । এইজন্তই বলিতে হয়, শাস্ত্র কেবল সংজ্ঞা, পরিভাষা ও তাহার প্রয়োগকৌশলাদি উপদেশ করে, অন্য কিছু করে না। আমরা এমন অনেক জিনিষ জানি, যাহার জ্ঞান থাকিতেও, আমরা নাম জানা না থাকায় লোককে বলিতে বা পরিচর দিতে পারি না, এবং বুঝাইবার উপযুক্ত শব্দাদি জানা না থাকায় তাহার বর্ণনা করিতে পারি না । যিনি জিনিষ চেনেন, অথচ নামাদি জানেন না, তিনি তাহা বুঝাইতে বা উপদেশ করিতে অশক্ত । যিনি সংজ্ঞা-পরিভাষাদি-ঘটিত শাস্ত্র জানেন, অথচ জিনিষ চেনেন না, তিনিও বস্তুতত্ত্ব-উপদেশের অযোগ্য। কেন না, তাদৃশ ব্যক্তির উপদেশ অনেক সময়ে বিপরীতই হইয়া থাকে। একদা এক বেদাস্তের ছাত্র “স গুরুম অভিসরেৎ শ্রোত্ৰিয়ং ব্রহ্মনিষ্ঠম্” এই শ্রত্যংশ পড়িবার সময় প্রশ্ন করিল—“গুরুর বিশেষণে, ব্ৰহ্মজ্ঞ ও শাস্ত্রজ্ঞ এই দুই কথা কেন । , কেবল ব্রহ্মজ্ঞের অথবা কেবল শাস্ত্র"ৱননিকট গেলেই ত শিষ্যের অভীষ্টলাভ | s পারে।” গুরু বলিলেন—“তাহা ནཱ་ད་ནྀ་ না | কারণ এই যে, বুঝাইবার উপযুক্ত বা প্রপঞ্চ জানা না থাকিলে গুরু আপনার ব্ৰহ্মজ্ঞান শিষ্যে সঞ্চারিত-করিতে পারেন না এবং বাক্প্রপঞ্চ জানা থাকিলেও ব্ৰক্ষুসম্প্রত্যয়ের অভাবে তিনি হয় ত শিষ্যকে ব্রহ্মের পরিবর্তে অব্ৰহ্মই বুঝাইবেন।” কেবল-শাস্ত্রজ্ঞের উপদেশ অনেক সময়ে মঙ্গবাসী অধ্যাপকের উপদেশের অন্তরূপ হইম্বা থাকে। জনৈক মরুবাসী অধ্যাপক ৰঙ্গদর্শন । [ ৪র্থ বর্ষ, শ্রাবণ । কোষগ্রন্থ পড়াইতেছিলেন । যে অংশে নারিকেলবৃক্ষের নাম-লিঙ্গাদি বর্ণিত আছে, সেই ংশ পড়াইবার সময় ছাত্র জিজ্ঞাসা করিল, *নারিকেলগাছ কিরূপ ?” অধ্যাপক শাস্ত্র ব্যতীত চক্ষে নারিকেলগাছ দেখেন নাই ; কোন লোকের মুখে শুনিয়াছেন, নারিকেলগাছ পূৰ্ব্ববাঙলায় জন্মে। তিনি বলিলেন— “স তু প্রাগেদশীয়লতাবিশেষঃ ।” অতএব যে গুরু, ব্ৰহ্ম ও ব্ৰহ্মশাস্ত্র, উভয়ই বিদিত থাকেন, সেই গুরুই ব্ৰহ্ম-উপদেশের যোগ্যপাত্র। তাই আমার বক্তব্য, কেবল জ্ঞান স্বব্যবহার ব্যস্থ কাল্পীর ব্যবহারের অনুপযোগী। কাজেহুমান ঝতে হইতেছে, আমরা স্বতঃসিদ্ধ স্লায়িক হইলেও শাস্ত্রশিক্ষিত নৈয়াক্ষিক হি । তাহ নহি বলিয়াই আমরা জিজ্ঞাসিত হইলে বলি—“আমরা নৈয়ায়িত্ব নহি, স্থায় কি, তাগ জানি না।” আম খান ন্যায় জানি না বলা, আর কোন স্বতঃসিদ্ধদশবাসী অতিনেতার গদ্য জানি না ষ্ট্রে প্রায় সমান। জনৈক বিদেশবাসী অতিএত রঙ্গস্থলে আসিয়া বলিয়াছিলেন, “কি ও ইর্য্য ! আমি বিশবৎসর পর্য্যস্ত গস্তে কথা কহিয়া আসিয়াছি, অথচ গপ্ত কি, তাহা জানিতাম না ।” এই ব্যক্তি যেমন গদ্যপগুবিভাগের নামলক্ষণাদিশিক্ষার পর আশ্চর্য্য হইয়াছিল, সেইরূপ আমরাও ন্যায়শাস্ত্র পড়ার পর আশ্চৰ্য্য হইতে পারি। .এ বিষয়ে আর অধিক প্রসক্তামুপ্রসক্ত কথা তুলিবার প্রয়োজন নাই। এক্ষণে প্রকৃত বিষয়ের পুনরালোচনা করা বাউক । পৰ্বীধামুমানপ্রণালীর নাম “ন্যায়। এ कथां श्रांमांब्र कब्रिट कथां नtश् ; देह छांवj