পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্ধ সংখ্যা । ] কারীয় কথার অনুবাদ । ভাষ্যকার বাৎস্তায়ন বলিয়াছেন—“প্রমাণৈরধপরীক্ষণং ন্যায়ঃ । প্রত্যক্ষণগমাশ্রিতমছুমানম্। সা অঙ্গীক্ষা ; তস্থা প্ৰবৰ্ত্তত ইতি আম্বীক্ষিকী ন্যায়ুবিদ্যা ন্যfয়শাস্ত্ৰম্।।” কতকগুলি প্রমাণদ্বারা, অর্থাৎ প্রতিজ্ঞ, হেতু, উদাহরণ, উপনয় ও নিগমন, এই পাচ প্রমাণভূল্য প্রয়োগের দ্বারা পদার্থনির্ণয় করার নাম ন্যায় ; তাহাই অনুমান ও অঙ্গীক্ষা নামে প্রসিদ্ধ। বলা বাহুল্য যে, অবিরুদ্ধ অনুমানই দ্যায়, অস্তথ। তাকা স্তাস্বাভাস । বাৰ্ত্তিক কার উদ্যোতকর “গুমাণৈরধপরীক্ষণংস্থায়?” এই ভাষ্যোক্ত কথার ব্যাখ্যায় বলিয়াছেন—প্রতিজ্ঞা = শব্দপ্রমাণভুল্য, হেতু = অনুমান প্রমাণতুল্য, উদাহরণ= প্রত্যক্ষতুল্য এবং উপনয়= উপমানপ্রমাণের সদৃশ। অবশেষে বলিয়াছেন, নিগমননামক পঞ্চম অবয়বে ঐ সকলের একত্র সমাহার বা সমাবেশ দেখান হয় । এবংবিধ দ্যায় যথাযথক্কপে প্রযুক্ত হইলে জ্ঞাতব্যপদার্থের তত্ব সম্যকৃরূপে নির্ণীত ও তদ্বিধয়ক ভ্রম প্রমাদসংশয়াদি নিবারিত হয় । কি ঐহিক কৃষিবাণিজ্যাদি, কি পারলৌকিক স্বৰ্গ, অপূৰ্ব্ব ও দেবতাদি, কি অপবর্গপ্রদ আত্মা পরমাত্ম। প্রভূতি, সমস্ত তত্ত্বই এই দ্যাল্পবিস্কার বিষয়। অতএব দ্যায়বিস্কা বা স্কায়ের শাস্ত্র যে কেবল ফঙ্কিকার শাস্ত্র, তাহ নহে । যে মহামুনি, তাদৃশ মহোপকারী শাস্ত্র প্রণয়ন করিয়৷ ইহলোকে কল্পান্তস্থায়িনী কীৰ্ত্তিপতাকা উডঙীন করিয়া গিয়াছেন, সেই মহামুনি যে এই বিস্তৃত ভারতবর্ষের কোন অংশেয় লোক, তাছা ঠিক বিদিত হইবার উপায় নাই অমুসন্ধান আরম্ভ করিলে দেৰ মায় ৰা পাওয়ী গৌতমমুনি ও স্বায়দৰ্শন। ३.e *) যায়, গৌতমের নামে গোত্র, স্মৃতিসংহিতা ও স্তায়দর্শন প্রভৃতি প্রচারিত.আছে। রামায়ণাদিগ্রন্থ-পাঠে জানা যায়, “অহল্যাপতি গৌতম । আবার আধুনিক-বহুগ্ৰন্থ-পাঠে জানা যায়, বুদ্ধ গৌতম ছিলেন। এই সকল গৌতম এক ব্যক্তি কি বিভিন্ন ব্যক্তি, তাহা যথাযথ নির্ণয় করা দুঃসাধ্য। কেবল বৌদ্ধ-গৌতমকেই পৃথকৃ বলিয়া স্থির করা যায় ; অবশিষ্ট গৌতম সন্দেহদোলায় দোলারিত হইতে থাকেন। বাহাই হউক, দ্যায়দর্শনলেখক গৌতমের বিষয় অনুসন্ধানে তাহ পাওয়া যায়, তাহ। এতৎস্থলে কথিত হইতেছে । স্থায়ুভাষ্যকার বাৎস্তায়ন ও তদ্ধাৰ্ত্তিককার উদ্যোতকরমিশ্র ন্যায়দর্শনপ্রণেতা গৌতমকে অক্ষপাদ ও ঋষি বলিয়া পরিচয় দিয়াছেন । যথা— “যোইক্ষপাদস্মৃষিং ন্যায়ঃ প্রত্যভাৎ বন্ধতীং বরম্। তস্ত বাৎস্তায়ন ইদং ভাষ্যজাতমবৰ্ত্তয়ৎ it’’ ६ॉ९२छांग्रन । “যদক্ষপদঃ প্রবরে মুনীনাং শমার শাস্ত্রং জগতো জগাদ । কুতাকিকাজ্ঞাননিবৃত্তিহেতো; করিষ্যতে তত্র ময় নিবন্ধঃ ।” কোন কোন পুরাণেও ন্যায়দর্শনকার গৌতমকে অক্ষপাদ বলিতে দেখা যায়। حــسـ8fl}ة “জহ্মপাদপ্রণীতৃে চ কাণাদে সাংখ্যযোগয়োঃ ।” ইত্যাদি। এখন বিবেচনা করুন, যেমন দর্শনকার গৌতম অক্ষপাদসংজ্ঞায় অভিহিত হইয়াছেন, এরূপ, গোত্রকার ও স্মৃতিকার গৌতম কুত্রাপি অক্ষপাদবিশেষণে বিশেষিত হন নাই। তাঙ্কা না হওয়ায়, নিম্প্রতিবন্ধকে এইরূপ প্রতীতি হইতে পারে, স্বতিকার ও গোত্রকার