পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శిe: গৌতম হইতে দর্শনকার গৌতুম ভিন্ন ব্যক্তি । গৌতমের.অক্ষপাদ নাম কেন ? এ সম্বন্ধে জনবাদ এই ষে, ইনি কোন এক শিষ্যের প্রতি কুপিত হইয়া বলিয়াছিলেন, “তুই আমার সম্মুখ হইতে দূর হ–এ চক্ষে আর তোকে দেখিব না।” শিষ্য গুরু কর্তৃক অভিশপ্ত হইয় গুরুতর মনস্তাপে কষ্ট পাইতে লাগিল । পরে বহু আরাধনার পর তাহাকে প্রসন্ন করিলে তিনি বলিলেন, “আমি যাহ। বলি স্নাছি, তাহার অন্তথা হইবে না ; পরস্ত আজ হইতে তোকে আমি পদদ্বারা দর্শন করিব।” এতদুপলক্ষ্যেই তাহার পাদপ্রদেশে অক্ষি অর্থাৎ চক্ষু আবিভূত হইয়াছিল এবং তাহাতেই তিনি তদবধি অক্ষপাদ অাখ্যায় অভিহিত হইরা আসিতেছেন । এ জনবাদের কোন মূল আছে কি না, তাহা আমরা জানি না । আমাদের বোধ হয়, আমরা এখন যেমন কোন অতিসতর্ক লোক দেখিলে বলি, লোকটার পিছুদিকে ও সাতটা চোখ ; বোধ হয়, পূৰ্ব্বকালের মুনিঋষির ইহাকে ষৎপরোনাস্তি বুদ্ধিমান দেখিয়া ‘পায়েও চক্ষু অর্থাৎ দর্শনসাধন ইঞ্জিয়', এতদৰ্থে অক্ষপাদনাম প্রচার করিয়াছিলেন । বাহাই হউক, গোত্রকার, স্মৃতিকার ও দর্শনকার গৌতম যে একুই ব্যক্তি, তাহানহে । এই অক্ষপাদ যে দেশে বাস করিতেন, সে দেশ নিঃসন্দিন্ধরূপে নিৰ্ণীত হয় না। বর্তমান ছাপরাজেলার মধ্যে গৌতমাশ্রম নামে এক অরণ্যকল্প স্থান আছে। সে দেশের প্রবাদ এই যে, মহৰি গৌতম উক্ত স্থানে থাকিয় স্তায়দর্শন রচনা করিয়া বঙ্গদর্শন । [ ৪র্থ বর্ষ, শ্রাবণ । ছিলেন। ঐ স্থানে বৎসর বৎসর গৌতমের নামে একটি মেলা হইয়া থাকে। অনধিক ৪e বৎসর হইল, অনেকগুলি ভদ্রলোক একত্র হইয়া উক্ত স্থানে একটি মঠ নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছেন। তাছাতে জনৈক নৈয়ায়িক ও কতিপয় ছাত্র বৃত্তিপ্রাপ্তে বাস করিতেছেন। ঐ স্থান যদি সত্যসত্যই অক্ষপাদ-গৌতমের জন্মস্থান বা বাসস্থান হয়, তােহা হইলে বলিতে পারি, অহল্যাপতি গৌতমই অক্ষপাদ । কেন না, রামায়ণের ও মহাভারতের বর্ণনা অনুসারে ঐ স্থান অহল্যাপতি গৌতমের বাসস্তান বলিয়া অনুভূত इंग्रे ! 鬱 গৌতম ও তৎপ্রণীত দ্যায়দর্শন কত পুরাতন, তাহ অন্মদাদির দুজ্ঞেয় । ইহার আবির্ভাবকালসম্বন্ধে ধিনি যে প্রকার অমুমান করেন করুন, অব্যভিচরিত হইবার সম্ভাবনা নাই। একদিকে দেখা যায়, মন্থ যে অত পুরাতন, তাহার গ্রন্থেও আম্বী; ক্ষিকা বিদ্যার উল্লেখ আছে । আবার অপরদিকে দেখুন, ক্ষণভঙ্গৰাদ প্রভৃতি অধস্তন অনার্যমতেরও আভাস গৌতমের গ্রন্থে রহিয়াছে । অতএৰ গৌতমের কালনির্ণয়ের জন্য প্রয়াসবাহুল্য স্বীকার করা বৃথা । তবে এইমাত্র বলিতে পারা যায় যে, কপূিলের ও কণাদের দর্শনের পর গৌতমের দর্শন। বোধ হয়, দর্শনগুলির পৌৰ্ব্বাপর্যক্রমনিয়মে প্রাগুক্ত কপিলন্ত কণাদস্ত গৌতমস্ত পতঞ্জলেঃ” শ্লোকটি রচিত হইয়াছে। অবশেষে বক্তব্য এই যে, কপির্গের পর গৌতম, এ কথা জগজিৎ, “পরন্তু কণাদের পর গৌতম, এ কথা সন্দিগ্ধ। ና