পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.'চতুর্থ সংখ্যা। ] গৌতমদর্শনের ভাষ্যলেখক বাৎস্তায়ন । ৰাৎস্তারনের পূৰ্ব্বে আর কেহ স্থায়ভাষ্য লিখিয়াছিলেন কি না, তাহ আমরা বিদিত নছি যে মহাপুরুষ এতদ্দেশে চাণক্যপণ্ডিত নামে পরিচিত, সেই মহাপুরুষেয়ই অন্ত নাম বাৎস্তাঞ্জন । ইহার আরও সাতটি নাম আছে ; যথা— “বাৎস্যায়নে ময়নাগঃ কৌটিলাচণকাত্মজঃ । গ্রামিলঃ পক্ষিলস্বামী বিষ্ণুগুপ্তোহজুলশ্চ সঃ।” অতএব এই চাণক্যপণ্ডিতই নীতিশাস্ত্রের বিষ্ণুগুপ্ত বা বিষ্ণুশৰ্ম্ম, শব্দশাস্ত্রের কৌটিল্য এবং ন্যায়ভাষ্যের বাৎস্যায়ন । প্রাচীন মুদ্রারাক্ষস নাটকে চাণক্যের প্রায় সকল নামই ব্যৰহৃত হইয়াছে এবং পক্ষিলস্বামী নামটি নানাশাস্ত্রলেখক বাচস্পতিমিশ্রই ব্যবহার করিয়াছেন । চাণক্যাপরনাম। বাৎস্যায়ন অনুন ২৪০০ বৎসর পূৰ্ব্বে মগধদেশ অলঙ্কত করিয়া জীবিত ছিলেন । • ইনিই প্রাচীন নন্দ বংশের ধ্বংসকর্তা ও মৌর্য্যবংশের প্রতিষ্ঠাতা । ইনিই চন্দ্রগুপ্তনামক মৌর্য্যপুত্রকে নন্দবংশীয় সিংহাসনে অধিরূঢ় করান। ইহার কালনির্ণয়সম্বন্ধে যুরোপীয় পণ্ডিতগণ যাহা বলেন বলুন, ঐভদেশীয় পণ্ডিতদিগের মতে ইনি অনুন ২৪•• বৎসর পূৰ্ব্বে জীবিত ছিলেন। ইহার কৃত ন্যায়ভায্যের বান্তিকলেখকু উদ্যোতকরমিশ্র। উদ্যোন্তকর মিথিলাবাসী ছিলেন। ইহার বাৰ্ত্তিকপাঠে জানা যায়, তৎপূর্কে ন্যায়ভায্যের উপর অনেকগুলি ব্যাখ্যাগ্রন্থ বিদ্যমান ছিল । উদ্যোত করের বাৰ্ত্তিক আৰ্তিাবের পূৰ্ব্বে ৰে সকল ভাষ্যকাথাকার গৌতমমুক্সি ও স্থায়দর্শন। ૨૭૭ কার দিঞ্চ নাগাচাৰ্য্য। মহামহোপাধ্যায় ৰাচস্পতিমিশ্র লিখিয়াছেন যে, দিঙ নাগের দুষ্টব্যাখ্যা প্রচারিত দেখিয়াই উদ্যোতকর তৎশোধনাৰ্থ বাৰ্ত্তিক প্রণয়ন করেন । কালিদাসের মেঘদূতকাব্যের টীকায় এক দিঙনাগের উল্লেখ দেখা যায়, সে দিঙ নাগ ন্যায়ভাষ্যব্যাখ্যাকার কি না, আমরা নিশ্চয় করিতে পারি না । কেহ কেহ বলেন, দিঙ নাগ এক বৌদ্ধপণ্ডিত। তিনি বিক্রমাদিত্যের সমকালিক । অন্যে বলেন, তিনি ১৭০০ বৎসর পূৰ্ব্বে জীবিত ছিলেন এবং তিনিই ন্যায়ভায্যের ব্যাখ্যালেখক । এই শেষোক্ত মত সত্য হইলে বলিতে পারা যায়, মৈথিল উদ্যোতকর ১৭• • বৎসরের কিছুকাল পরে মিথিলাজনপদে প্রাজুভুত হন। দিঙনাগ বৌদ্ধ ছিলেন, সেজন্ত র্তাহার ব্যাখ্যা বৌদ্ধমতাছুযায়ী হইয়াছিল ; কাজেই উদ্যোতকরের নিকট তিনি কুতাকিক ও র্তাহার ব্যাখ্যাও কুব্যাখ্যা । তাই তিনি লিখিয়া গিয়াছেন— “কুতার্কিকাজাননিবৃত্তিহেতোঃ করিযাতে তত্র ময় নিবন্ধঃ ।” মহামহোপাধ্যায় বাচস্পতিমিশ্র উদ্যোতকরকৃত বাত্তিকের উপর তাৎপৰ্য্যনামী টীকা প্রণয়ন করেন। ইনিও মৈথিল এবং ইহার স্থিতিকাল আনুমানিক ৮০০ বৎসর অতীত হইয়াছে । ইহার পরে ইহারই কৃত ন্যায়বাৰ্ত্তিক ত্বাৎপৰ্যটাকার উপর তাৎপৰ্য্যনাল্পী টীকা মহামহোপাধ্যায় উদয়নাচাৰ্য্যকর্তৃক লিখিত হয়। ইহার পরে আর কেহ সমগ্র ন্যায়দর্শনের বিস্তৃতিচেষ্টা করেন ৰিণ্ডমান ছিলেন, তন্মধ্যে অন্যতম ব্যাখ্যা নাই। মিথিলাৰাণী গদেশ এবং পক্ষধর Wo