পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম সংখ্যা । | প্রকৃতি-পুরুষ-তত্বে ঈশ্বরবাদ সমারোপিত করিয়া গীতা তাহাকে নুতন করিয়া গড়িয়া তুলিয়াছেন। সাংখ্যদর্শনে কি স্বষ্টি, কি মুক্তি, কিছুতে ঈশ্বরের কোন সম্পর্কই নাই, সাংখ্যের লক্ষ্য যে কৈবল্যমুক্তি, তাহা লাভ করিবার প্রকৃষ্ট উপায়—জ্ঞান । কিসের জ্ঞান ? সাংখ্যোক্ত পঞ্চবিংশতি তত্ত্বের জ্ঞান - প্রকৃতি ও পুরুষের ভেদজ্ঞান । এই তত্ত্ব জ্ঞান যাহার আয়ত্ত হইয়াছে, তাহার মুক্তি কর্সিকাৰীপের একটি গল্প। অতএব দেখা যাইতেছে, সাংখ্যের २२१ মুনিশ্চিত। এই জ্ঞানদ্বারা পুরুষ যখন আপনাকে আপনি সম্যকৃরূপে জানিতে পারে, তখন প্রকৃতি-নর্তকীর লীলাখেল থামিয়া যায়, স্বষ্টির বিরাম হয়, তখনই জীব দুঃখের অধিকার ছাড়াইয়া কৈবল্যধামে উপনীত হয়। ইহাই সাংখ্যপ্রদর্শিত মুক্তিপথ। গীতানির্দিষ্ট মুক্তিপথ স্বতন্ত্র । ঈশ্বরকে আশ্রয় করিয়া, তাহার প্রতি লক্ষ্য রাথিয়া, সে পথে বিচরণ করিতে হয়। ঈশ্বরকে ছাড়িয়া জীবের মুক্তিলাভের অন্ত উপায় নাই। শ্ৰীসত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর । কলিকাদ্বীপের একটি গম্প । S AeeSASeeS S S AAAA S { অনুবাদ ] পটোভেন্ধিয়োসহর হইতে কfসকাদ্বীপের ভতরের দিকে উত্তরপশ্চিম মুখে চলিতে থাকিলে দেখিবে যে, জমি ক্রমেই চড়তি । বড় বড় পাখরের ফঁাকে অাকাবাক পথ ধরিরী, মাঝে মাঝে নালা পার হইয়া, ঘণ্টাতিনেক চলিলে মাকানামক জঙ্গলের ধারে আসিয়া পড়িবে। এই মাকৗজঙ্গল কপিকার ছাগপালকদের ও যাহার কোনরকম বে-আইনী কাও করিয়া ফেলিয়াছে, তাহাদের ੱਚ। ‘’ 聽 কর্সিকার চাষীর জমিতে সার দেওয়া বঁাচাইবার জন্য জঙ্গলের এক জায়গায় আগুন লাগাইয়া দেয়। আগুন যদি দরকারের চেয়ে বেশীরকম ছড়াইয়া পড়ে, তাহার আর উপায়" নাই ; কিন্তু সে যেমনই হোক, এই ছাইপড়া জমিতে বুনানী করিলে চাষীর ফসলের আর মার থাকে না । ক্ষেত উঠির গেলে, আগেকার গাছের যে গোড়াগুলি পুড়িয়া যায় নাই, তাহা হইতে তাজা ডালপালা গজায় ; এইগুলি বৎসরকতকের মধ্যে পাচছয়হাতপরিমাণ ঠেলিয়া উঠে। এইপ্রকার ঘন গাছড়ার জঙ্গলকুে মাকী কহে। ইহাতে পাচরকমের গাছ যেমন তেমন জড়জড়ি করিয়া বাড়িতে থাকে। কুড়লহাতে না গেলে ইহার মধ্যে মানুষের যাতায়াতের সাধ্য নাই। জায়গায় জায়গায় এই মাকী এত ঘন ও ঘেঁষাঘেষি যে, বুনো ছাগলগুলাও ভেদ করিতে পারে না । . . ~~