পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S్చరి3 বন্দী কহিল—“সেই ভাল, ডুলির উপর দুটি খড়ও বিছিয়ে দিও,—যাতে একটু আরামে যেতে পারি।” • সিপাহীর কেহ ডালপালা জুটাইয়া ভুলি গড়িতে, কেহ বা গ্যানেটোর ঘাটায় কাপড় বাধিতে ব্যস্ত, এমন সময়ে হঠাৎ সন্ত্ৰীক মাটিয়োকে মাকীর রাস্তার বাকের উপর দেখা গেল। স্ত্রীটি মস্ত এক বাদামভর থলের ভারে কষ্টে ঝুকিয়া চলিতেছে, স্বামীটি কেবল হাতে এক বন্দুক, পিঠে ঝোলান এক বন্দুক লইয়া থাতিরনদারংভাবে আসিতেছে—কারণ পুরুষমানুষের অস্ত্রশস্ত্র ছাড়া অন্ত কোন বোঝা বহিতে নাই । বাড়ীতে সিপাহী দেখিয়া মাটিয়ে প্রথমেই ভাবিল, বুঝি তাহাকেই ধরিতে আসিয়াছে। তাহার এমন খট্কা লাগে কেন ? সে কি কর্তৃপক্ষদের সঙ্গে কিছু বাদাবাদী করিয়াছিল ? ভাহা নহে—মাটিয়োর ত সরকারের বাধ্য বলিয়া সুখ্যাতিই ছিল । তবে হাজায় হৌক কসিকাবাসী, তাহার উপর পাহাড়ী ৷ ও জাতের এমন প্রায় কেহই নাই, যাহার পুৰ্ব্বকথা ভাবিতে বসিলে একটানা-একটা গলদ মনে না পড়ে হয় বন্দুকের গুলি, নয় ছোরার খোচী, নয় ত ঐরকম ছোটখাটে। কিছু একটা । অন্তদের অপেক্ষ এ সম্বন্ধে মাটিয়োর মনটা কিছু পরিষ্কারই ছিল, কারণ বছরদশেক হইল, সে কোন মানুষের দিকে বন্দুক’ তাগ করে নাই। তবু সাবধানের মার নাই, সুতরাং সে বাচিবার একচোটু ভালরকম চেষ্টা वृत्रमलन । [ ৪র্থ বর্ষ, ভাদ্র। স্ত্রীকে কহিল-—“ওগো ! বেঁচে কা রেখে তৈরী হও ।” গীসেপ তৎক্ষণাৎ হুকুমমত কাজ করিল। পাছে কাজের সময় বাধে বলিয়া কাধেঝোলান বন্দুকটা সে স্ত্রীর হাতে দিল । হাতের টার ঘোড়া তুলিয়া ধীরে ধীরে গাছের সারের ধার দিয়া বাড়ীর দিকে চলিতে লাগিল, যাহাতে গোলযোগ দেখিলেই সে একলাফে বড় একটা গাছের পিছনে নিজের শরীর আড়াল করিয়া বন্দুক ছাড়িতে পারে। স্ত্রী ফালত বন্দুকটা আর টোটার বাক্স লইয়া পিছনে পিছনে লাগিয়া রহিল । যুদ্ধের সময় স্বগৃহিণীর কার্য্য স্বামীর অস্ত্র জোগান । ওদিকে জমাদার মাটিয়োকে এভাবে পা টিপিয়া টিপিয়া বন্দুক তুলিয়া আসিতে দেখিয়া মহা শশব্যস্ত হইয়া পড়িল । সে ভাবিল , -“কি জানি যদি এই গ্যানেটোর সঙ্গে মাটিয়োর কোন আত্মীয়ুত থাকে, কিংবা যদি বন্ধুই হ’য়ে ওকে খালাস করতে তা হ’লে চিঠি ডাকে দিলে মেন নির্ঘাত ঠিকানায় পৌঁছয়, ওর দুই বন্দুকের দুই গুলি দু’জনকে পাবেই পাবে। আর ফুটুম্বিত ভুলে যদি আমারই উপর বন্দুকের মাছিটা ফেলে বসে ?” এই সমস্তার অবস্থায় সে এক অতি সাহসিক মতলব আঁটিল। সে কুটুম্বোচিত সম্ভাযণ করিয়া একাই মাটিয়োর দিকে অগ্রন্থঃ হইয়া ঘটনাটা তাহাকে বুঝাইয়া বলিতে চলিল। যে অল্প পথটুকু তাৰাকে এইভাবে যাইতে ৰুইল, সেটা ভয়ঙ্কর’লন্ত বোধ হইতে `ਿ পারিবার মত ৰ্যবস্থা করিল। • লাগিল । নিকটে গিয়াই হাকিল—“কিগো