পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম সংখ্যা । ] চিরদিনু ভুলিয়া থাকিলে চলিবে না। আমি যদি পরকে বলি তুমি আমার হইয়া হজম করিয়া দাও—এবং সেরূপ হজম করা যদি পরের দ্বারা সম্ভবপর হয়, তবে তাহাতে মঙ্গল নাই। ব্যবহারের অভাৰে নিজের পাকস্থলীটিকে সম্পূর্ণ খোয়াইয়া পরাশ্রিতশ্ৰেণীয় জীবের স্তায় চিরকাল পরের গাত্রে সংলগ্ন হইয়া দিব্য পরিপুষ্ট ভাবে চোখ বুজিয়া থাকাকে গৌরবের বিষয় বলা চলে না । ইংরাজের পীক দলী তাহার ষ্টেটের মধ্যে থাকিতে পারে, কিন্তু ষ্টেট, তাহার সমাজের बहि5ख नटश्-हे:ब्रांख मर्कनाहे ब्राखटैनडिक আন্দোলন লষ্টয়া ব্যাপৃত থাকে, কারণ রাজনীতি তাছার স্বকীয় কলেবরের মধ্যেই। আমরা তাছার নকল করিয়া পরের পাকস্থলীতে নি তই যদি আন্দোলন উপস্থিত করিতে যাক্ট, তাছাতে কি আমাদের হজমের কোনো সহায়তা করিবে ? যাহারা জাবর কাটে, তাহাদের হজম করিবার বিধি একরূপ ; যাহাবু জাবর কাটে না, তাহদের হজম করিবার বিধি অন্তরূপ। জাবরকাটা হজম করিবার সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় বলিয়া যদি প্রমাণিত হয়, তথাপি তাহা সকলের পক্ষে স্বসাধ্য নহে, এ কথা স্বীকার করিতে হইবে । র্যাঙ্গার রাজদ্বারে ভিক্ষাবৃত্তিকে দেশের পক্ষে মঙ্গলকর বলেন না, তাহাদিগকে অন্যপক্ষে প্রেসিমিষ্ট অর্থাৎ আশাঙ্গনের দল নাম দিয়াছেন। অর্থাৎ রাজার কাছে কোনো আশা নাই বলিয়া আমরা যতটা `इडांश्वांन इहेब्रां পড়িয়াছি, ততটা নৈরাশুকে তাছার অমূলক বলিয়া জ্ঞান করেন। • আমি স্পষ্ট কৰিয়া বলিতেছি, রাজা - স্বদেশী সমাজ । ૨8.૩ আমাদিগকে মাকে মাঝে লগুড়াঘাতে তাহার সিংহদ্বার হইতে খেদাইতেছেন বলিয়াই যে অগত্য আত্মনির্ভরকে শ্রেয়োজন করিতেছি, কোনোদিনই আমি এরূপ দুলভদ্রীক্ষণগুচ্ছলুব্ধ হতভাগ্য শৃগালের সান্তনাকে আশ্রয় করি নাই। আমি এই কথাই বলি, পরের প্রসাদভিক্ষাই যথার্থ “পেসিমিঃ” আশাহীন দীনের লক্ষণ । গলায় কাছা না লইলে আমাদের গতি নাই, এ কথা আমি কোনোমতেই বলিল না—আমি স্বদেশকে বিশ্বাস করি, আমি আত্মশক্তিকে সম্মান করি। আমি নিশ্চয় জানি যে, যে উপায়েই হৌক, আমরা নিজের মধ্যে একটা স্বদেশীয় স্বজাতীয় ঐক্য উপলব্ধি করিয়া আজ যে সার্থকতালাভের জন্ত উৎসুক হইয়াছি, তাহার ভিত্তি যদি পরের পরিবর্তনশীল প্রসন্নতার উপরেই প্রতিষ্ঠিত হয়, যদি তাহ। বিশেষভাবে ভারতবর্ষের স্বকীয় না হয়, তবে তাহা পুনঃপুনই ব্যর্থ হইতে থাকিবে । অতএব ভারতবর্ষের যথার্থ পথটি যে কি, আমাদিগকে চারিদিক্ হইতেই তাহার সন্ধান করিতে হইবে । মানুষের সঙ্গে মানুষের আত্মীয়সম্বন্ধস্থাপনই চিরকাল ভারতবর্ষের সর্বপ্রধান চেষ্টা ছিল। দূর আত্মীয়ের সঙ্গেও সম্বন্ধ রাখিতে হইবে, সস্তানের বয়স্ক হইলেও সম্বন্ধ শিথিল হইবে না, গ্রামস্থ ব্যক্তিদের সঙ্গে ও বর্ণ ও অবস্থানিবিচারে যথাযোগ্য আত্মীরসম্বন্ধ রক্ষা করিতে হইবে ; গুরুপুরোহিত, অতিথি-ভিক্ষুক, ভূস্বামি-প্রজাতৃত্য সকলের সঙ্গেই যথোচিত সম্বন্ধ রাধু কুহি, য়াছে। এগুলি কেবলমাত্র শাস্ত্রবিহিত