পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম সংখ্যা । ] এত শুনাসন, এত লেমনেড-সোডাওয়াটার গাড়িঘোড়া, এত রসদের দায় আমাদের পরে কেন –তৰে কথাটা অন্তায় হইত না । কিন্তু কাজের দোহাই দিয়া ফাকায় থাকাট। আমাদের জাতের লোকের কৰ্ম্ম নয়। আমরা শিক্ষার চোটে যত ভয়ঙ্কর কেজো হইয়। উঠি না কেন, তবু আহবানকারীকে কাজের উপরে উঠিতে হইৰে । কাজকেও আমরা হৃদয়ের সম্পর্ক হইতে বঞ্চিত করিতে চাই না। বস্থত কনফারেন্সে কেজো অংশ অfমাদের চিত্তকে তেমন করিয়া আকর্ষণ করে নাই,-আতিথ্য যেমন করিয়াছিল । কনফারেন্স, তাহার বিলাতি অঙ্গ হইতে এই দেশী হৃদয়টুকুকে একেবারে বাদ দিতে পারে নাই । আহবানকারিগণ অস্থিতবর্গকে অতিথিতাবে, আত্মীয়ভাবে সংবৰ্দ্ধনা করাকে আপনাদের দায় বলিয়া গ্রহণ করিয়াছিলেন । তাহাদের পরিশ্রম, কষ্ট, অর্থব্যয় যে কি. পরিমাণে বাড়িয়া উঠিয়াছিল, তাহ যtহার। দেখিয়াছেন, তাহারাই বুঝিবেন । কস্গ্রেসের মধ্যেও যে অংশ আতিথ্য, সেই অংশই ভারতবর্ষীয় এবং সেই অংশই দেশের মধ্যে পুর। কাজ করে –যে অংশ কেজে, তিনদিনমাত্র তাহার কাজ, বাকি বৎসরটা তাহার गाख्हे !sब बाग्न न। अडिथिब्र अडि যে সেবার সম্বন্ধ বিশেষরূপে, ভারতবর্ষের প্রকৃতিগুহ, তাহাকে বৃহৎভাৰে অনুশীলনের উপলক্ষ্য ঘটিলে ভারতবর্ষের একটা বৃহৎ জানন্দের . কারণ হয়। যে আতিথ্য গৃহে -গৃহে আচরিত হয়, তাহাকে বৃহৎ-পরিতৃপ্তি निदाब बछ शूद्रोकारण बड़े बड़ पञ्जाश्ईन ৰুইত—এখন বহুদিন হইতে সে সমস্ত লুপ্ত স্বদেশী সমাজ । ૨G છે হইয়াছে। কিন্তু ভারতবর্ষ তাহ ভোলে নাই বলিয়া যেই দেশের কাজের একটা উপলক্ষ্য অবলম্বন করিয়া জনসমাগম হইল, অমনি ভারতলক্ষ্মী তাহার' বহুদিনের অব্যবহৃত পুরাতন সাধারণ-অতিথিশালার দ্বার উদঘাটন করিয়া দিলেন, তাহার যজ্ঞভাণ্ডারের মাঝখানে তাহার চিরদিনের আসনটি গ্রহণ করিলেন। এমনি করিয়া কনগ্রেস কন্‌ ফারেন্সের মাঝখানে খুব যখন বিলাতী বক্তৃতার ধুম ও চটপট করতালি—সেখানেও, সেই ঘোরতর সভাস্থলেও আমাদের যিনি মাতা, তিনি স্থিতমুথে তাহার একটুখানি ঘরের সামগ্ৰী, তাহার স্বহস্তরচিত একটুখানি মিষ্টান্ন, সকলকে ভাঙিয়া, বাটিয়া, খাওয়াইয়৷ চলিয়া যান, আর যে কি করা হইতেছে, তাহ তিনি ভাল বুঝিতেই পারেন না । মা’র মুখের হাসি আরো একটুখানি ফুটিত,—যদি তিনি দেখিতেন, পুরাতন যজ্ঞের ন্তায় এই সকল আধুনিক যজ্ঞে কেবল বইপড় লোক নয়, কেবল ঘড়িচেনধারী লোক নয়--- আহুত-অনাহুত আপামরসাধারণ সকলেই অবাধে এক হইয়াছে । সে অবস্থায় সংখ্যtয় ভোজ্য কম হইত, আড়ম্বরেও কম পড়িত— কিন্তু আনন্দে-মঙ্গলে ও মাতার আশীৰ্ব্বাদে সমস্ত পরিপূর্ণ হইয়া উঠিত। যাহাই হউক, ইহ স্পষ্ট দেখা যাইতেছে, ভারতবর্ষ কাজ করিতে বসিয়াও মানৰ সম্বন্ধের মুধুর্য্যটুকু ভুলিতে পারে না। সেই সম্বন্ধের সমস্ত দায় সে স্বীকার করিয়া বসে । আমরা এই সমস্ত বহুতর অনাবশুক দীক্ষ্ম সহজে স্বীকার করাতেই ভারতবর্ষে ঘরে পরে, উচ্চেনীচে, গৃহস্থে ও জাগৰকে একটি ধনিষ্ঠ