পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৫২ সম্বন্ধের ব্যবস্থা স্থাপিত হইয়াছে । এইজন্তই এ দেশে টোল, পাঠশালা, জলাশয়, অতিথিশাল, দেবালয়, অন্ধ-খঞ্জ-আতুয়দের প্রতিপালন প্রভূতি সম্বন্ধে কোনোদিন কাহাকে ও ভাবিতে হর নাই । আজ যদি এই সামাজিক সম্বন্ধ বিশ্লিষ্ট হইয়া থাকে, যদি অন্নদান, জলদান, আশ্রয়দীন, স্বাস্থ্যদান, বিদ্যাদান প্রভূতি সামাজিক কৰ্ত্তব্য ছিল্পসমাজ হইতে স্বলিত হইয়া বাহিরে পড়িয়া থাকে, তবে আমরা একেবারেই অন্ধকার দেখিৰ না । - গৃহের এবং পল্লীর ক্ষুদ্রসম্বন্ধ অতিক্রম করির প্রত্যেককে বিশ্বের সহিত যোগযুক্ত করিয়া অনুভব করিৰার জন্ত হিন্দুধৰ্ম্ম পন্থা নির্দেশ করিয়াছে। হিন্দুধৰ্ম্ম সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রতিদিন পঞ্চযজ্ঞের দ্বারা দেবতা, ঋষি, পিতৃপুরুষ, সমস্ত মনুষ্য ও পশুপক্ষীর সহিত আপনার মঙ্গলসম্বন্ধ স্মরণ করিতে প্রবৃত্ত করিয়াছে । ইহা যথার্থক্টপে পালিত হইলে ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকের পক্ষে ও সাধারণভাবে বিশ্বের পক্ষে মঙ্গলকর হইয়া উঠে । এই উচ্চভাৰ হইতেই আমাদের সমাজে প্রত্যেকের সহিত সমস্ত দেশের একটা প্রাত্যহিক সম্বন্ধ কি বাধিয়া দে ওয়া অসম্ভব? প্রতিদিন প্রত্যেকে স্বদেশকে. স্মরণ করিয়া এক পয়সা বা তদপেক্ষ অল্প—একমুষ্টি ৰ অৰ্দ্ধমুষ্টি তণ্ডুলও স্বদেশবলিস্বরূপে উৎসর্গ করিতে পাৱিবেন না ? হিন্দুধৰ্ম্ম কি আমাদের প্রত্যেককে প্রতিদিনই—এই আমাদের দেৱতার ৰিহারস্থল, প্রাচীন ঋষিদিগের তপতার অপ্রম, পিতৃপিতামহদের মাতৃভূমি বঙ্গদর্শন । [ ৪র্থ বর্ষ, ভাদ্রপ ভারতবর্ষের সহিত প্রত্যক্ষসম্বন্ধে ভক্তির ' বন্ধনে বঁাধিয়া দিতে পারিবে না ? স্বদেশের সহিত আমাদের মঙ্গলসম্বন্ধ,—সে কি আমাদের প্রত্যেকের ব্যক্তিগত হইবে না ? আtণর কি স্বদেশকে, জলদান-বিস্তাদান প্রভৃতি মঙ্গলকৰ্ম্মগুলিকে পরের হাতে বিদায়দান করিল্প। দেশ হইতে আমাদের চেষ্টা, চিস্তা ও হৃদয়কে একেৰারে ‘বচ্ছিল্প করিয়া ফেলিখি ? গৰমে স্ট মাজ বাংলাদেশের জলকষ্টনিবারণের জন্ত পঞ্চাশহাজার টাকা দিতেছেন—মনে করুন, আমাদের মান্দোলনের প্রচও তাগিদে পঞ্চাশলক্ষ টাকা দিলেন এবং দেশে জলের কই একেবারেই রছিল না—তাহার ফল কি হইল ? তাহার ফল এই গুইল যে, সহায়তা লাভ-কল্যাণলাভের স্বত্র, দেশের যে হৃদয় এতদিন সমাজের মধ্যেই কাজ করিয়াছে ও তৃপ্তি পাইয়াছে, তাইকে বিদেশীর হাতে সমপণ করা হইল । যেখ;ণ হইতে দেশ সমস্ত উপকারই পাইবে, সেইখানেই সে তাহার সমস্ত হৃদয় স্ব ভাবতই দিবে। দেশের টাকা নান। পথ দিয়া নানা আকারে বিদেশের দিকে ছুটয় চলিয়াছে বলিয়া আমরা আক্ষেপ করি—কিন্তু দেশের হৃদয় যদি যায়, দেশের সহিত যতকিছু কল্যাণসম্বন্ধ একে একে সমস্তই যদি বিদেশী গবমেন্টরই করায়ত্ত হয়, আমাদের আরকিছুই অবশিষ্ট না থাকে, তৰে সেটা কি বিদেশগামী টাকার স্রোত্রে চেয়ে অল্প আক্ষেপের বিষয় হইবে ? 4वेङ्करे कि আমরা সভা করি, দরখাস্ত করে, , ও এইরূপে দেশকে অস্তরে-বহিরে সম্পূর্ণভাৰে *び研* ছাণ্ডে ভুলিয়া দিবার চেষ্টাকেই ৰলে দেশ 'श्टेिउबिठ1 ? हेश कमt5हे ९इंप्ठ गां८ब्र मा !