পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૯૭ মধ্যে কোথাও কোনো ব্যবস্থা থাকিবে না ? ব্যাধির বীজ বহির হইতে শরীরের মধ্যে না প্রবেশ করিলেই ভালs—কিন্তু তবু যদি প্রবেশ করিয়া বসে, তবে শরীরের অভ্যস্তরে রোগকে ঠেকাইবার, স্বাস্থ্যকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করিবার কোনো কর্তৃশক্তি কি থাকিবে না ? সেই কর্তৃশক্তি যদি আমরা সমাজের মধ্যে স্বদূঢ়স্বম্পষ্ট করিয়া রাখি, তবে বাহির হইতে বাংলাকে আঘাত করিয়া বাংলাকে নিৰ্জ্জীব করিতে পারিবে না। সমস্ত ক্ষতকে আরোগ্য করা, ঐক্যকে আকর্ষণ করিয়া রাখা, মূচ্ছি তকে সচেতন করিয়া তোলা ইহারই কৰ্ম্ম হইবে । আজকাল বিদেশী রাজপুরুষ সৎকর্মের পুরস্কারস্বরূপ আমাদিগকে উপাধিবিতরণ করিয়া থাকেন - কিন্তু সংকয়ের সাধুবাদ ও আশীৰ্ব্বাদ আমরা স্বদেশের কাছ হইতে পাইলেই যথার্থভাবে ধন্ত হইতে পারি। স্বদেশের হইয়। পুরস্কৃত করিবার শক্তি আমরা নিজের সমাজের মধ্যে যদি বিশেষভাবে স্থাপিত না করি, তবে চিরদিনের মত আপনাদিগকে এই একটি বিশেষ সার্থকতাদান হইতে বঞ্চিত করিব । আমাদের দেশে মধ্যে মধ্যে সামান্ত উপলক্ষো হিন্দুমুসলমানে বিরোধ বাধিয়া উঠে, সেই বিরোধ মিটাইয়া-দিয়া উভয় পক্ষের মধ্যে প্রীতিশাস্তিস্থাপন, উভর পক্ষের স্ব স্ব অধিকার নিয়মিত করিয়া দিবার বিশেষ কর্তৃত্ব সমাজের কোনো স্থানে যদি না থাকে, তবে সমাজকে বারেবারে ক্ষতবিক্ষত হইয়া উত্তরোত্তর দুৰ্ব্বল श्हेप्ड इच्च । অতএব একটি লোককে আশ্রয় কঞ্জিয়৷ বঙ্গদর্শন । [ ৪র্থ বর্ষ, ভাদ্রণ হৃদয়স্থাপন, আপন ঐক্যপ্রতিষ্ঠা করিতেই হইবে, নহিলে শৈথিল্য ও বিনাশের झ {७ হইতে আত্মরক্ষার কোনো উপায় দেখি না । অনেকে হয় ত সাধারণভাবে আমার এ কথা স্বীকার করিবেন, কিন্তু ব্যাপারথান ঘটাইয়া তোলা তাহারা অসাধ্য ৰলিয়া মনে করিতে পারেন। উtহার বলিবেন–নির্বাচন করিব কি করিয়া, সবাই নিৰ্ব্বাচিতকে মানিবে ৫ে ন, আগে সমস্ত ব্যবস্থাতন্ত্ৰ স্থাপন করিয়া তবে ত সমাজপতির প্রতিষ্ঠা সম্ভবপর হুইবে, ইত্যাদি । আমার বক্তব্য এই যে, এই সমস্ত তর্ক লইয়। আমরা যদি একেবারে নিঃশেষপূৰ্ব্বক বিচারবিবেচনা করিয়া লইতে বসি, ভৰে কোনোকালে কাজে নাব সম্ভব হইবে না । এমন লোকের নাম করাই শক্ত,—দেশের কোনো লোক বা কোনো দণ पै{* {ङ्ग म६८* কোনো আপত্ত্বি না করিলেন । দেশের সমস্ত লোকের সঙ্গে পরামর্শ মিটাই যু।-লইয়: লোককে নিৰ্ব্বাচন করা সাধ্য হইবে না। আমাদের প্রথম কাজ হইবে—যেমন করিয়া হোক, একটি লোক স্থির করা এবং তাহার নিকট বাধ্যতা স্বীকার করিয়। ধীরে ধীরে ক্রমে এমে তাছার চারিদিকে এক 同 ব্যবস্থাতন্ত্র গড়য়া তোলা । যদি সমাজপতিनिरमांशa अ४दि ममट्झष्य् ि११, निं अle' সমাজের অন্তর্গত না হওয়াতে -লম’লে অধিনায়কের যথাৰ্থ অভাব ঘটিয়া থাকে, ষদি পরঞ্জাতির সংঘর্ষে আমরা প্রত্যই অধিকারচ্যুত হইতেছি বলিয়। সমাজ নিজেকে বাধিয়া-তুলির উঠিয়৷ नैाज़ाइदाई छछ हेक्रुक আমাদের সমাজকে এক জায়গায় আপন নয়, তবে কোনো একটি যোগ্যলোককে