পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ፃ8. बृजभलन । { ৪র্থ বর্ষ, আশ্বিন । হইতে লাগিল, তিনি ততই এক একটি উচ্চস্তস্মৈ উঠিতে লাগিলেন। ব্ৰহ্মা প্রথমে উণৰণকে পরীক্ষণ করতে আসিয়া দেখেন, তিনি জার সেই ক্ষত্রিয় রাঙ্গ বিশ্বামিত্র নাই, তিনি তপস্তার ফলে হইয়াছেন ‘রাজর্ষি’— অর্থাৎ অৰ্দ্ধেক রাক্তা, অৰ্দ্ধেক ঋষি । কিন্তু বিশ্বামিত্র তাহাতে সন্তুষ্ট নহেন, তাষ্ট আবার তপস্তায় প্রবৃত্ত হইলেন। তিনি তপঃপ্রভাবে আরও উচ্চে উঠিতে লাগিলেন । এই সময়ে সেই ত্রিশঙ্কুর ব্যাপার সঙ্ঘটিত হইল। ইহা ও বিশ্বামিত্রের একটি বিশেষ পরীক্ষা । সেই ত্রিভুবনবিস্ময়কারী ঘটনায় আমরা দেখিতে পাই, বিশ্বামিত্র তপস্তায় বহুদূর অগ্রসর হইয়াছেন। অন্তান্ত ঋষিগণ র্তাহাকে একজন ঋষি বলিয়া গণ্য করিতেছেন। এমন কি, সকলেই তাহার তপোভয়ে ভীত । তাহার তপঃ প্রভাবে ত্রিশষ্ণু স্বৰ্গলোক পৰ্য্যন্ত উঠিতে পারিলেন। এমন কি, তপোবলে তিনি আর একটি স্বৰ্গ স্বষ্টি করিতে আরম্ভ করিলেন । তাহার তপস্তার দুর্গমনীয় তেজে মুরাস্বরগণ কম্পিত হইয়া আসিয়া তাহার সহিত সন্ধিস্থাপন করিলেন। কিন্তু তপস্তায় এতদূর অগ্রসর হইলেও বিশ্বামিত্রের মধ্যে তখনও রজোগুণ ঝুঁহিয়াছে। তখনও তিনি ক্রোধ, জিগীষ, জিঘাংসার বশীভূত, তখনও তিনি ব্রাহ্মণ হইতে পারেন নাই। সেজন্য তিনি মাবার তপস্ত। আরস্ত করিলেন । এবার অম্বৰীৰ ब्रांखोद्भ পালা । ইহাও বিশ্বামিত্রের পরীক্ষার জন্ত । এবার তপঃপ্রঙ্গৰে তাহার চিত্ত্ব আরও প্রশস্ত ও প্রশাস্ত হইয়াছে। তিনি একটি গরুর লোভ বরং করিতে ন পারিয়া বশিষ্ঠের সঙ্গে * যুদ্ধ আরম্ভ করিয়াছিলেন, এবার তিনি শিশু শুনঃশেফের প্রাণরক্ষার্থ নিজের পুত্রদিগকে অম্বরীষ রাজার যজ্ঞে জীবনাহুতি দিতে আদেশ করিলেন । তাহার এতদূর চিত্তোল্পতি দেখিয়া ব্ৰহ্মা আসিয়া তাহাকে বলিলেন —“বিশ্বামিত্র, তুমি ঋষি হইয়াছ ।” কিন্তু ঋষি হইরাও তিনি সস্তুষ্ট নহেন, তাই আবার ঘোরতর তপস্ত আরম্ভ করি আবার তাহার পরীক্ষণ হইল । এবারকার পরীক্ষায় তিনি পরাস্ত হইলেন । মেনকার রূপের মোহে তিনি মুগ্ধ হইয়। পড়িলেন। কিন্তু সে ক্ষণকালের জন্ত। এইরূপ ক্ষণস্থায়ী চিত্তবিভ্রংশ অনেকেরই ঘটিছে পারে। তাহার পূর্বসঞ্চিত তপোবল আৰার জাগিয়া উঠিল । কামরিপুর পরাভৰ ঘটিল। তখন অসুতাপের বহূিতে দগ্ধ হইয় তাহার চিত্ত আবার নিৰ্ম্মলভাব ধারণ করিল। এবার ব্রহ্মা আসিয়া তাহাকে আর একগ্রেড় উপরে প্রোমোশন দিলেন । এবার তিনি ‘মহর্ষি হইলেন । তিনি এখন লোভকে জর করিয়াছেন, কামকে জন্ম করিয়াছেন, কিন্তু তবুও তিনি ব্রাহ্মণ ২ইজে পারিলেন না । তাই তিনি জাৰার অধিকতর কঠোর তপস্ত আরম্ভ করিলেন। তাহার আবার পরীক্ষ হইল । ইশ্র তাহার তপোভঙ্গের জন্য রপ্তাকে প্রেরণ করিলেন। কিন্তু রম্ভ। তাছাকে রূপের মোৰে মজুইকে পুরিল না- সে নিজে মজিল । তাহাৰে অভিশপ্ত করিয়া বিশ্বামিত্র ও পরীক্ষার উত্তীর্ণ হইলেন না। তিনি লোভজয় করিয়াছেন, কামজয় করিয়াছেন, কিন্তু এখনও ক্ৰোধ লেন । ,জয় করিতে পারেন নাই। তিনি জহুতথ