পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बर्फे ऋशा। । সমিতি লইয়া দলাদলি --যাহারা সুশিক্ষিত হইয়াও বারোয়ারির আমোদপ্রমোদের জন্য সহস্ৰ সহস্র টাকা উড়াইয়া দিতেছে, অথচ সাধারণহিতকল্পে প্রতিষ্ঠিত স্কুল কিংবা ডাক্তারথানার চাদ স্বাক্ষর করিয়া দিতে অনিচ্ছুক— এই প্রকার লোকমণ্ডলীর মধ্যে শুদ্ধ এক বিশালদেশবাণী ও এক ইংরেজ সম্রাটের শাসনাধীনে থাকিয়া একপ্রকারমুখভাগী এবং এক প্রকারদুঃখভোগী বলিয়া কি কখনও একতfবন্ধন হইতে পারে, না জাতীয়তার গঠন হইতে পারে ? বস্তুত আমাদের হিন্দুজাতির মধ্যে কখনও স্বদেশপ্রীতিমূলক . জাতীয়বন্ধন ঘটে নাই। “আমরা একজাতি”—“আমাদের এক দেশ” বলিয়া সৰ্ব্বজনীন জাতীয়ভাব কখনও হিন্দুজাতির মধ্যে বদ্ধমূল হইয়াছিল বলিয়া বোধ হয় না। স্বতরাং এইরূপ জাতীয়তাস্থষ্টির পূৰ্ব্বে আমাদের মধ্যে যাহাতে ব্যক্তিগত মনুষ্যত্বের ফ্রিকাশ হয়, সৰ্ব্বাগ্রে তাহার চেষ্টা করা আবশুক । আমাদের মধ্যে ব্যক্তিগত মনুষ্যত্ব গঠিত ইলে, তাছার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক শ্ৰীবৃদ্ধি এবং জাতীয় উৎকর্ষ অবশুম্ভাবী। nią si ( honesty ), ঐকান্তিকতা (sincerity), *64yfāśi (devotion to duty), Ashfoi ( moral courage ), cool ( unity ), স্বার্থত্যাগ ( selfsacrifice ) ,ইত্যাদি মজুষ্যোচিত નામ আমাদের মধ্যে বন্ধিত হইলে, সেই সঙ্গে সঙ্গে জাতীয়জুশক্তি জমাট বাধিবে । কিন্তু এই সকল গুণ লাভ করিতে হইলে সাধনা চাই, তপস্ত। চাই। মহর্ষি:বিশ্বামিত্র ফেকঠোর সাধনা ৰঙ্গে তাহার ভাঙ্গার অন্তস্তলে লুকারিত ' তপস্যা ՀԵՑ উচ্চতম শক্তিসকলের ৰিকাশ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন, আমাদিগকেও সেইরূপ কর্মের সাধনা, কঠোর তপস্তপ করিতে হইবে । মহর্ষি বিশ্বামিত্র অর্মিাদের বর্তমান যুগের আদর্শ ; --র্তাহার অদম্য অধ্যবসায়, দুর্জয় প্রতিজ্ঞ এবং কঠোর আত্মসংষমই আমাদের উদ্ধারের একমাত্র উপায়। তাহার জীবন্ত দুষ্টান্ত সম্মুখে রাখিয়া আজ আমাদিগকে আত্মসংযম, স্বার্থত্যাগ, কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠার মন্ত্রে দীক্ষিত হইয়া কঠোর তপস্তা করিতে হইবে। মহর্বি বিশ্বামিত্রের পরমোদার বিশ্বপ্রীতির আদর্শে আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সম্প্রদায়গত, জাতিগত, ধৰ্ম্মগত ভেদ ভুলিয়াগিয়া এই হিন্দুস্থানের হিন্দু-মুসলমান, শিখখ্ৰীষ্টান প্রভৃতি সৰ্ব্বপ্রকার জাতি মিলিয়া এক অভিনব বিশাল মহাজাতি গঠন করিতে হইবে । এইরূপে তপস্তাদ্বারা আমাদের মধ্যে মনুষ্যত্বের বিকাশ এবং জাতীয়তাশক্তির ফুরণ হইলে—লোকপিতামহ ব্ৰহ্মা যেমন একদিন বিশ্বামিত্রকে ব্রাহ্মণ্যপদবীতে বরণ করিবার জন্ত স্বয়ং অবনীতে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন, গুণগ্ৰাহী ইংরেজজাতিও তদ্রুপ আমাদিগকে সসন্ত্রমে উচ্চতম রাজনৈতিক স্বাধীনতার মাল্যচন্দন পরাইবার জন্য অগ্রসর হইবেন— তখন আর আমাদিগকে বিলাত পর্য্যত্ত গিরা ভিক্ষুকের স্তায় ইংরেজের দ্বারে দ্বারে ভারতের দুঃখকাহিনী কীৰ্ত্তন করিয়া বেড়াইতে কুইবে না। বঙ্গের মুখত্র যাহা হইতে উজ্জ্বল হইয়াছে, সেই মহাকবি দীপক রাগে গাছিয়াছেন“ছিল বটে আগে তপস্তার বলে কাৰ্য্যসিদ্ধি হ’ত এ মহীমণ্ডলে,