পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

きb"も ডুৰিয়া তাহাতে আহ্মবিসর্জন করে, সেইরূপ ভপষ্ঠ। হিন্দুজাতির এতই প্রিয়, ধৰ্ম্ম হিন্দু জাতির জীবনের অনুসের সহিত এতদূর গৃঢ় ও গাঢ়ন্ধপে সম্বন্ধ যে, এই বর্তমান সময়েও যিনি যিনি নিজের জীবনে কিছুমাত্র তপোমাহাত্ম্য বিকশিত করিতে সমর্থ হইয়াছেন, তাহারাই হিন্দুসমাজের একএকটি নেতা ৰলিয়া পরিগণিত হইয়া একএকটি সম্প্রদায় গঠন করিয়া গিয়াছেন । এইরূপে বর্তমান সময়ে মহাবীর শিবাজীর বৈরাগ্যস্তোতক-গৈরিকপতাকা-তলে মহারাষ্ট্রীয় জাতির এক মহাজাতীয় অভু্যখান ঘটিয়াছিল । এইরূপে সন্ন্যাসত্ৰত শিখগুরুর অধিনায়কতায় ভারতগৌরব শিখজাতির এক বিরাট অভু্যখনি ঘটির ছিল । এইরূপে প্রেমাবতার শ্ৰীগৌরাঙ্গদেবের সন্ন্যাসসাধন বলে বঙ্গদেশে এক তুমুল প্রেমতরঙ্গপ্রবাহ ছুটিয়ছিল। এইরূপে তপস্বিপ্রবর শ্রীরামকৃষ্ণদেবের তপঃসাধনার দৃষ্টাস্তে বৰ্ত্তমান সময়েও আর্য্যধৰ্ম্মের এক বিশাল অভু্যত্থান ঘটিয়াছে। শুদ্ধ তপস্তাদ্বারা মানবজীবন কতদূর উন্নত হইতে পারে, তাহা এই শেষোক্ত মহাপুরুষের জীবনী পর্য্যালোচনা করিলে বুঝিতে পারা যায়। Mr. William Digby $fet: “Prosperous British India” নামকু গ্রন্থে বলেন—. “During the last Century the finest fruit of British intellectual culture was probably to be found in Robert Browning. and John Ruskin. Yet they were mere gropers it; the dark compared with बङ्गमञ्चब। ৪র্থ বর্ষ, আশ্বির্য। the uncultured and illiterate Ram Krishna of Bengal, who knowing naught of what we term learning, spake as no other man of his age spoke and revealed God to weary mortals”—(Chap. II.—p. 99). সেই ক্রেতাযুগে আমরা দেখিতে পাই, ক্ষত্রিয় রাজা বিশ্বামিত্ৰ এক তপস্যাকে আশ্রয় করিয়া ব্রহ্মর্ষিপদবীতে উন্নীত হইয়াছিলেন । এই ঘোর কলিযুগেও আমরা দেখিতেছি, ধেলে শস্যার বলে একটি অশিক্ষিত বিষয়কুreaণ শাস্ত্রজ্ঞানশূন্ত সামান্ত পুঞ্জারী উনবিংশ শতাব্দীর মহাগৌরবান্বিত পাশ্চাতা শিক্ষা ও সভ্যতার উজ্জ্বলতম &ritor Robert Browning s John Ruskinকে ৪ দিব্যজ্ঞানের আলোকে নিম্প্রভ করিয়াছেন । বর্তমান সময়ের বাঙালীসমাজেও তপস্তায় ফল প্রত্যক্ষ দেখা যাইতেছে। আৰু ভারতবর্ষের অন্তান্ত জাতি অপেক্ষ বাঙালীজাতি বুদ্ধিবলে, বিস্তাবলে এতদূর উন্নত কিসে? এই জাতীয় অধঃপাতের দিনেও আর কোন প্রদেশ স্বল্পকfলমধ্যে রামমোহন রায়, মধুসূদন দত্ত, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, কেশবচন্দ্র সেন, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রাজেন্দ্রলাল. মিত্র, ধুেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, দ্বারকানাথ মিত্র, ভুদেৰ মুখোপাধ্যয় প্রভৃতি । সমুগ্র ভারতের মুখেীৰ্জ্জল্যকারী এতগুলি রত্ব ( আমি কোন জীবিত মহাত্মার নামোল্লেখ করিতেছি না ) প্রসব কৱিন্তে সক্ষম হইয়াছে ? ইহার কারণ–এইসকল মহাত্মা লিগের পিতৃপিতামহগণের তপস্যা । বর্তমান