পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খুড়া-মহাশয়। سمس سٹیچs=Roچ 5بج ہمسـ প্রথম পরিচ্ছেদ । শরতের সন্ধ্যা উত্তীর্ণপ্রায় । বড় ঘরের বারান্দায় মাদুর পাতিয়া বসিয়া গগন চক্রবর্তী তামাক খাইতেছেন। ঘরের মধ্যে র্তাহার বুদ্ধ জ্যেষ্ঠভ্রাতাটি পীড়িত, এখনি ডাক্তার আসিবার কথা আছে । ইহারা দুই ভাই, নবীন ও গগন । গ্রামটি নৈহাটির নিকট চন্দ্রদেবপুর। ইহারা এখানকার মধ্যবিত্ত গৃহস্থ, কিন্তু শুনা যায় নাকি,বৃদ্ধ নবীনের হাতে নগদ দশহাজার টাকা আছে । কেহ বলে ইহা বাজে গুজব, কেহ বলে ইহা সত্য কথা । কিন্তু কেহই সে টাকা স্বচক্ষে দেখে নাই । সে টাকা যে লোহার সিন্ধুকটিতে অাছে অথবা নাই, সেই সিন্ধুকটি মাত্ৰ সকলে দেখিয়াছে। সেটি বৃদ্ধের শয়নকক্ষে অবস্থিত। বৃদ্ধ সৰ্ব্বদা সেই ঘরে থাকিয়া সিন্ধুকটি আগলাইয়া থাকিতেন। র্তাহার পুত্র নবকুমার পশ্চিমে চাকরি করে, সে অনেকবার পিতাকে স্বীয় কৰ্ম্মস্থানে লইয়া যাইবার চেষ্টা করিয়াছে, কিন্তু বৃদ্ধ কখনও ধান নাই। সকলে বলে, তিনি সিন্ধুকটি ফেলিয়া যাইতে পারেন না । , গগন চক্রবর্তী বসিয়া-বসিয়া নীরবে তামাক খাইতে লাগিলেন । ক্রমে ডাক্তারবাবুর লন্ঠনের অালে উঠানে পড়িল । ডাক্তারবাৰু আসিয়া বারান্দার নিম্নে দাড়াইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন---“চক্ৰবৰ্ত্তিমশাই, খবরकि ?”* চক্ৰবৰ্ত্তী হু কাটি নামাইয়া বলিলেন— “ডাক্তারবাৰু? এস । খবর ভাল । এখনও বেহুস রয়েছেন,—বডড জরটা রয়েছে কিনা । কিন্তু নাড়ী বেশ চলছে এখনও । উঠে এস —একবার দেখ না ।” ডাক্তারবাবু উঠিয়া আসিলেন । চক্রবৰ্ত্তা ছকাটি সযত্নে দেওয়ালে ঠেস দিয়া রাখিয়া দুয়ার খুলিয়া রোগীর কক্ষে প্রবেশ কয়িলেন । ডাক্তারও তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ প্রবেশ করিলেন । পিলস্কজের উপর একটি মাটীর প্রদীপ মানভাবে জলিতেছিল। একখানি লম্বা ও চওড়া তক্তাপোষের উপর মলিন শয্যায় শয়ন করিয়া বৃদ্ধরোগী নিদ্র যাইতেছেন। র্তাহার পদতলে বসিয়া তাহার পুত্রবধু সাবিত্রী পায়ে হাত বুলাইতেছে। ইহাদের প্রবেশ করিতে দেখিয়া সাবিত্রী ঘোমটা টানিয়া দিল । গগন চক্ৰবৰ্ত্তী প্রদীপটা একটু উজ্জ্বল করিয়া দিলেন । ডাক্তার বৃদ্ধের নাড়িপরীক্ষা করিলেন,— থাম মিটার দিয়া উষ্ণতা লইলেন। পরীক্ষাস্তে বলিলেন—“এখনও খুব জর। সে ফিবার-মিকৃশ্চারটা খাওয়ান হচ্চে ?” , সাবিত্রী তাহার ঘোস্টাবৃত মস্তক সঞ্চালন করিয়৷ জানাইল, হইতেছে। ডাক্তার বলিলেন--“আজি ' সারারাত্রি .ওটা দেওয়া হৈাক। ভোরের দিকে রিমিশন হবার সম্ভাবনা।”