পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ੋਏ। সংখ্যা । ] বলিয়া ডাক্তারবাবু বাহিরে আসিলেন। গগনচন্দ্রও তাহার সহিত দরজ অবধি যাইলেন । ভাক্তারবাবু জিজ্ঞাসা করিলেন—“নবুকে খবর দিয়েছেন ?” - “নাঃ, দিষ্ট নি। কিছু ভাবনা নেই, দাদা ভাল হ’য়ে উঠবেন । ওরকম ত হয়ই ওঁর মাঝে মাঝে । নবুকে খবর দিলেই এখনই খরচপত্র করে’ বাড়ী আসবে তাই খবর দিই নি ।” ডাক্তারবাবু বলিলেন “গতিক বড় ভাল বোধ হচ্চে মা কি স্থ । আজি পাচ-পাচ 'দল জরটা ছড়ি ল না,--ভাfর জুব্বল হ’য়ে পড়েছেন । স্বর ছাড় বার সময় সামলাতে পারলে হয় ।” গগন বলিলেন—“আরে না না । আমি এতকাল দেখছি । কিছু ভয় নেই।” “দেখা যাকৃ। অনেক ৰয়সটা হয়েছে ঝিন, তাই ভয় হয়।” বলিয়া ডাক্তারবাবু মৃগমদুপদক্ষেপে প্রস্থান করিলেন। ডাক্তারবাবুর কথাই সত্য হইল,—ভোরবেলায় প্রাণবায়ু বৃদ্ধের দেহপিঞ্জর ছাড়িয়া গেল _ মৃত্যুর পূৰ্ব্বে দুষ্ট এক মিনিটের জন্য মাত্র তাহার চেতনা হইয়াছিল । তখন তিনি শুধু বলিয়াছিলেন—“নবু—নবু এসেছে ?" . . . Qe দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । বা ড্রীতে ক্রণীনের রোল উঠিলে, পাড়াবু লোক দুইট-একটি করিয়া আসিয়া সমবেত হক্টতে লাগিল । সকলেই ৰলিল—“তা ৰেশ গেছেন, খই গৈছেন। বয়স হয়েছিল, তোমাদের সব রেখে গেছেন,–এ ত ওঁর উঠিলেন। খুড়া-মহাশয়। - trసీ সৌভাগ্য। তবে নধু কাছে থাকৃলেই হ’ত ।” সৎকারের সমস্তু “ আয়োজন يوه হইতে লাগিল । সেখানে সত্যচরণ নামে একটি যুবক দাড়াইয়া ছিল,—সে নবকুমারের একজন বিশেষ বন্ধু। তাহার হাতটি ধরিয়া গগনচজ বলিলেন -- “তুমি বাবা গিয়ে নবুকে একখানি টেলিগ্রাপ করে দাও । আমার আর হাতপ। আসছে না।” সত্যচরণ বলিল *আচ্ছ, আমি আপিস যাবার সময় ষ্টেশন থেকে টেলিগ্রাপ, করে” দেব এখন।" সত্যচরণ কলিকা ভায় চাকরি করে-রোজ নয়টার ট্রেণে আপিস योंग्नि ! ভাল তৃতীয় পরিচ্ছেদ । সে দিনটি শোকের মধ্যে কাটিয়া গেল । সন্ধ্যা হইলে সকলে দুগ্ধাদি পান করিয়া সকালে সকালে শয়ন করিল । গগনচন্দ্র বিপত্নীক। তিনি এক একঘরে শয়ন করিয়াছিলেন। অনেক রাত্রি হইল,—গৃহের কুত্ৰাপি আর কোন সাড়শব্দ নাই—কেবল গগনচন্দ্র তাহার শয্যায় এপাশ-ওপাশ করিতেছেন । শোকটা ইহারই সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক লাগিয়াছে বুঝি ? ইহা শোক, ন৷ আতঙ্ক ? দুইটি নিকটসম্পৰ্কীয় বৃদ্ধের মধ্যে একটি মরিলে, অপরটির সহজেই একটা আতঙ্ক উপস্থিত হয় ;–র্তাহার মনে হয়, এই বার আমার, পালা ত আসিল । यांश् छ्छेक, क्ल८भ ब्रांबि गंडीब्र रुहेण । গগনচন্দ্র তখন ধীরে ধীরে শষ্যাত্যাগ্ন কল্পিয়৷ অন্ধকারে, অতি সত্তপণুে, নিজের ঘরের খিলটি খুলিয়া, নগ্নপদে ৰাছিয়ে আসয়