পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રજે ૭ দণ্ডায়মান হইলেন। জমাট অন্ধকার,— তাহার উপর আকাশে মেঘ করিয়াছে। মাঠের গ্রান্তে শৃগাল একটা ডাকিয়া উঠিল। গগনচন্দ্র ক্ষণকাল নিস্তব্ধভাবে দাড়াইয়াথাকিয়, ধীরে ধীরে বড় ঘরের বারান্দার দিকে অগ্রসর হইলেন । যে ঘরে গতরত্রে বৃদ্ধের মৃত্যু হইয়াছে,—সে ঘরটি আজ তালবন্ধ। গগনচন্দ্র নিঃশব্দে তালাটা খুলিয়া সেই অন্ধকারঘরে প্রবেশ করিলেন। ভয়ে তাহার বুকটা ফুল্লাহর করিয়া উঠিল। হায় প্রাতৃমেহ !—এতরাত্রে নিদ্রাহানচক্ষে ভ্রাত বুঝি ভ্রাতার মৃত্যুশয্যাটি একবার দেখিবার জন্য ও অশ্রুপাত করিবার জন্ত আসিয়াছেন ! গগনচন্দ্ৰ পুৰ্ব্ববৎ সাবধান তার সহিত ঘরের হুয়ারটি প্রথমে ষন্ধ করিয়া-দিয়া একটি দিয়াশালাই জালিলেন। প্রদীপটি জালিয়া, পূৰ্ব্বকথিত লোহার সিন্ধুকটির নিকট অগ্রসর হইলেন । সিন্ধুকটির উপর হইতে একটি ভাঙা কাঠের হাতবাক্স, একথানি ছিন্ন মহাভারত ও কয়েকটি খালি ঔষধের শিশি নামাইয়া, সিন্ধুকটি খুলিয়। ফেলিলেন । কয়েকটি কাপড়ের পুটুলি তাহা হইতে নমাইবার পর, নীচের দিক্ হইতে পুরাতন-লালচেলাবাধা একটি ছোট পুটুলি , বাহির হুইল । সেইটি খুলিয়। দেখিলেন, তাহার মধ্যে তাড়াবন্ধি অনেক নোট রহিয়াছে। তাহা দেখিবামাত্র, সেই ক্ষীণালোকে, नझे মৃতু্যকক্ষে গগনচন্দ্রের মসারুফ মুখমণ্ডলে শুভ্র দস্তংক্তির ছটা ক্ষণকালের জন্য উদ্ভাসিত হইয়। উঠিল । • . त्रिनिष्कानि । [ ৪র্থ বর্ষ, আখি ন । করিয়া ফেলিলেন । মহাভারত ও ভাetবাক্স ও ঔষধের শিশিগুলি তাহার উপর পূৰ্ব্ববৎ সাজাইঞ্জ'-রাথিয়া, প্রদীপ নিবাইয়া, দুয়ারে তালা বন্ধ করিয়া, নিজ শয্যাগুহে আসিয়া উপস্থিত হইলেন । - দুয়ারটি বন্ধ করিয়া, প্রদীপ জালিয়া, গগনচন্দ্র শষ্যার উপর উপবেশন করিলেন । বালিশের নিয়ে তাহার চশমার খোলটি ছিল । চশমাটি চক্ষে লাগাইয়া, নোটের তাড়াগুলি নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন – কেবল দশটাকার নোট —একখানিও নম্বরওয়ারি নোঢ় তাহাতে ছিল না । একটি তাড়া খুলিয়। নোটগুলি সাবধানে গণনা করিয়া দেখিলেন,—একশতখানি আছে,—হাজার টাকা । প্রত্যেক তাড়াটি খুলিয়া একে একে গণনা করিলেন, প্রত্যেকটিতেই হাজার টাকা করিয়া। এরূপ দশটি তাড়া ছিল—দশহাজার টাকা । একবার গণিয়া তৃপ্তি হইল না,—গগনচক্র নোটু গুলি বারংবার গণিয়া গণিয়া দেখিতে লাগিলেন । এরূপ করতে করিতে ভোর হইয়া পড়িল। তখন তিনি পুটুলিটি নিজের সিন্ধুকে বন্ধ করিয়া, প্রদীপ নিবাষ্টয়া, ঘরের বাহিরে আসিলেন । দুইএকটা কাক ডাকিতে আরম্ভ করিয়াছে—অল্প অল্প আলো হইয়াছে। গাড়টি হাতে করিয়া, বাটীর বাহির হইয়া, আম-" বাগানের ভিতর দিরা গগনচন্দ্র পুষ্করিণীর তীরে উপস্থিত হইলেন। তখনও কোথাও জনমন্তব্যের দেখা নাই। প্রথমেই গগনচঙ্গ, স্বন্ধিতইস্তে পুটুলিগুলি যথাস্থানে পুনঃ- দাদার লোহার সিদ্ধকের চাৰিট, জোরে সন্নিবিষ্ট করিয়া, গগনচন্দ্র সিন্ধুকটি " বন্ধ ছুড়িয়া পুষ্করিণীর মধ্যস্থানে নিক্ষেপ করি,