পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩১২ ' সেইখানে যাইবার জন্ত আমার মন উৎসুক হইল্প উঠিয়াছে। এই দেশীয় শকটগুলি স্বদীর্ঘ “কফিনে”র (শবাধার) ন্যায় ; পিছন দিক্‌ দিয়া উহাতে ঢুকিতে হয় ; এবং পর্য্যটনকালে বাধ্য হইয়া উহার মধ্যে গুইয়া থাকিতে হয়। উহাদের বুধবাহনের দুলকিচালে নাচিতে নাচি৩ে চলে । আমার रुअभयॉन ।


-تسمس --. ۲۰ م.

ৰ বৰ্ষ, আলি। গাড়ির বুযযুগল শাদ , উহাদের শিং নীলরঙে রঞ্জিত। ভূতাদের গাড়ির বৃথদুটি কপিশ. রঙের ; এবং উহাদের শিং ভাব দিয়া বাধানে । এখনও স্বৰ্য্য অস্ত যায় নাই । ইত্যবসরে, আমাদের চারিটি নিরাহ শান্ত অলস বুধ তৃণভূমির উপর সটান গুইয়া পড়িয়াছে। শ্ৰীজ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর । ‘স্বদেশী সমাজ” প্রবন্ধের পরিশিষ্ট । * “স্বদেশী সমাজ” শীর্ষক যে প্রবন্ধ আমি প্রথমে মিনার্ভা ও পরে কর্জন রঙ্গমঞ্চে পাঠ করি, + তৎসম্বন্ধে আমার শ্রদ্ধেয় সুহৃদ শ্ৰীযুক্ত বলাইচাঁদ গোস্বামী মহাশয় কয়েকটি প্রশ্ন উত্থাপন করিয়াছেন । নিজের ব্যক্তিগতকৌতুহলনিবৃত্তির জন্য এ প্রশ্ন গুলি তিনি আমার কাছে পাঠান নাই, হিন্দুসমাজনিষ্ঠ ব্যক্তিমাত্রেরই যে যে স্থানে লেশমাত্র সংশয় উপস্থিত হইতে পারে, সেই সেই স্থানে তিনি আমার মনোযোগ আকর্ষণ করিয়া আস্তরিককৃতজ্ঞতা-ভাজন হইয়াছেন। কিন্তু প্রশ্নোত্তরের মত লিখিতে গেলে লেখা নিতান্তই আদালতের সওয়াল-জবাবের মত হইয়া দাড়ায় । সেরূপ থাপ্‌ছাড়া লেখায়

  • ইহা ইতিপূৰ্ব্বে বঙ্গবাসীতে বহির হইয় গেছে।

সকল কথা স্বম্পষ্ট হয় না, এইজন্ত সংক্ষিপ্তপ্রবন্ধ-আকারে আমার কথাটা পরিস্ফুট করিবার চেষ্টা করি । কর্ণ যখন র্তাহার সহজ কবচটি ত্যাগ করিয়াছিলেন, তখনি তাহার মৃত্যু ঘনাইয়াছিল ; অৰ্জ্জুন যখন তাহার গাওঁীব তুলিঙে পারেন নাই, তখনি তিনি সামান্ত দস্থ্যর হাতে পরাস্ত হইয়ছিলেন । ইহা হইতে বুঝা যাইবে, শক্তি সকলের এক জায়গাধু নাই—কোনো দেশ নিজের অস্ত্রশস্ত্রের.মধ্যে নিজের বল রক্ষা করে, কোনো দেশ নিজের সৰ্ব্বাঙ্গে শক্তিক বচ ধারণ করিয়া জয়ী হয় । যুরোপেল যেখানে লল, আমাদের সেখানে বল নহে। যুরোপ আত্মরক্ষার জন্য যেখানে কিন্তু “স্বদেশী সমাজ” প্রবন্ধের সঠিত এই প্রবন্ধের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। সেজন্ত অনেকের আগ্রহে ও অনুরোধে এবং ইহার স্থায়িত্বসঙ্কল্পে উক্ত “স্বদেশী সমাজ” প্রবন্ধের পরিশিষ্টরূপে ইহা বঙ্গদর্শনে প্রকাশিত হইল।-- সহঃ সঃ ) g + গত ৭ই শ্রাবণ শুক্রবার মিনার্ভারঙ্গমঞ্চে চৈতন্তলাইব্রেরির বিশেষ অধিবেশনে প্ৰবন্ধটি প্রথম পাঠত হইয়াছিল । তাহার পর পরিবর্ধিত আকারে ১৬ই শ্রাবণ রবিবার কঞ্জনৰ্বঙ্গমঞ্চে ভায়ের বঙ্গদর্শন হইতে পুনঃপঠিত হয় ।