পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ সংখ্যা । } উদ্যম প্রয়োগ করে, আমাদের আত্মরক্ষার জন্ত সেখানে উদ্যমপ্রয়োগ বৃথা । য়ুরোপের শক্তির ভাণ্ডার ষ্টেটু অর্থাৎ সয়কার । সেই ষ্টেটু দেশের সমস্ত হিতকর কৰ্ম্মের ভার গ্রহণ করিয়াছে ;–ষ্টেটুই ভিক্ষাদান করে, ষ্টেটুই বিদ্যাদান করে, ধৰ্ম্মরক্ষার ভারও ষ্টেটের উপর । অতএব এই ষ্টেটেয় শাসনকে সৰ্ব্ব প্রকারে সবল, কম্মিষ্ঠ ও সচেতন করিয়া রাখা, ইহাকে আভ্যন্তরিক বিকলতা ও বাহিরের আক্রমণ হইতে বাচানোই যুয়োপায় সভ্যতার প্রাণরক্ষার উপায় । আমাদের দেশে কল্যাণশক্তি সমাজের মধ্যে । তাহ ধৰ্ম্মরূপে আমাদের সমাজের সৰ্ব্বত্র ব্যাপ্ত হইয়া আছে । সেই জন্তই এতকাল ধৰ্ম্মকে, সমাজকে বাচানোই ভারতবর্ষ একমাত্র আত্মরক্ষার উপায় বলিয়া জানিয়া আসিয়াছে। রাজত্বের দিকে তাকায় নাই, সমাজের দিকেই দৃষ্টি রাখিয়াছে। এইজন্ত সমুজের স্বাধীনতাই যথার্থভাবে ভারতবর্ষের স্বাধীনুতা। কারণ, মঙ্গল করিবার স্বাধীনতাই স্বাধীনতা, ধৰ্ম্মরক্ষার স্বাধীনতাই স্বাধীনতা । এতকাল নানা ছব্বিপাকেও এই স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ ছিল । কিন্তু এখন ইহা আমরা মচেতনভাবে, মূঢ়ভাবে পরের হাতে প্রতিদিন তুলিয়া দিতেছি। ইংরাজ আমাদের রাজত্ব চাহিয়াছিল, রাজত্ব • পুইয়াছে— =সমাজটাকে নিতান্ত উপরিপাওনার মত লইভেছে—“ফাউ” বলিয়া ইহ। . আমর তাহার হাতে বিনামূল্যে তুলিয়া দিতেছি। • তাহার একটা প্রমাণ দেখ ! ইংরাজের আইন আমাদের সমাজরক্ষার ভার লইয়াছে। e হয় ত যথার্থভাবে রক্ষা করিতেছে, কিন্তু তাই W2 “স্বদেশী সমাজ” এরন্ধের পরিশিষ্ট । "రిలి বুঝিয়া খুলি থাকিলে চলিবে না। পূৰ্ব্বকালে সমাজবিদ্রোহী সমাজের কাছে দণ্ড পাইয়া অবশেষে সমাজের সঙ্গে রক্ষা করিত। সেই রফ অনুসারে আপোষে নিম্পত্তি হইয় ঘাইত। তাহার ফল হইত এই, সামাজিক কোনো প্রথার ব্যত্যয় যাহারা করিত, তাহারা স্বতন্ত্রসম্প্রদায়রূপে সমাজের বিশেষ একটা স্থানে আশ্রয় লইত । এ কথা কেহই বলিবেন না, হিন্দুসমাজে আচারবিচারের কোন পার্থক্য নাই। পার্থক্য যথেষ্ট আছে, কিন্তু সেই পার্থক্য সামাজিক ব্যবস্থণর গুণে গণ্ডীবদ্ধ হইয়া পরস্পরকে আঘাত করে না । আজ আর তাহা হইবার জো নাই । কোনো অংশে কোনো দল পৃথক্ হইতে গেলেই হিন্দুসমাজ হইতে তাছাকে ছিন্ন হইতে হয়। পূৰ্ব্বে এরূপ ছিন্ন হওয়া একটা বিভীষিক বলিয়া গণ্য হইত। কারণ, তখন সমাজ এরূপ সবল ছিল যে, সমাজকে অগ্রাহ করিয়া টিকিয়া থাকা সহজ ছিল না । সুতরাং যে দল কোনো পার্থক্য অবলম্বন করত, সে উদ্ধতভাবে বাহির হইয়া ৰাইত না । সমাজও নিজের শক্তিসম্বন্ধে নিংসংশয় ছিল বলিয়াই অবশেষে ঔদার্য্য প্রকাশ করিয়া পৃথকৃপন্থাবলম্বীকে যথাযোগ্যভাবে নিজের অঙ্গীভূত করিয়া লইত । এখন যে দল একটু পৃথক হয়, তাছাকে ত্যাগ করিতে ছয় । কারণ, ইংরাজের আইন কোল্ট হিন্দু, কোনটা অহিন্দু, তাহ স্থির করিবার ভার লইয়াছে—রফ করিবার ভার ইংরাজের হাতে নাই ; সমাজের হাতেও নাই। তাহার কারণ, পৃথকু হওয়ার দরুণ, कtझां८ब्रां কোনুে ক্ষতিবৃদ্ধি नांझे-झेश्ब्रांछब्रक्लिड शङङ्ग