পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8מלא বঙ্গদর্শন । [ ৪র্থ বর্ষ, আশ্বিল। نساجی - عست ع---بی জানের আশ্রয়ে কাহারে কিছুতে বিশেষ ৰাঘাত ঘটে না । অতএব এখন ছিন্দুসমাজ কেবলমাত্র ত্যাগ করিতেই পারে । শুদ্ধমাত্র ত্যাগ করিবার শক্তি বলরক্ষা-প্রাণরক্ষার উপায় নছে । * আক্কেলৰ্দাত যখন ঠেলিয়া উঠিতে থাকে, তখন বেদনায় অস্থির করে । কিন্তু যখন সে উঠিম্বা পড়ে, তখন শরীর তাহাকে স্বস্থভাৰে রক্ষণ করে। যদি দাত উঠিবার কষ্টের কথা স্মরণ করিয়া দাতগুলাকে বিসজ্জন দেওয়াই শরীর সাব্যস্ত করে, তবে বুঝিৰ, তাহার অবস্থা ভাল নহে,--বুঝিব, তাহার শক্তিহীনতা ঘটিয়াছে । সেইরূপ সমাজের মধ্যে কোনো প্রকার নুতন অভু্যদল্পকে স্বকীয় করিয়া লইবার শক্তি একেৰারেই না থাকা, তাহাকে বর্জন করিতে নিরুপায়ভাবে বাধ্য হওয়া সমাজের সঞ্জীৰতার লক্ষণ নহে। এবং, এই বর্জন করিবার জন্ত ইংরাজের আইনের সহায়তা লওয়া সামাজিক আত্মহত্যার উপায় । . যেখানেই সমাজ আপনাকে খণ্ডিত করিয়া থওটিকে আপনার বাহিরে ফেলিতেছে, সেখানে যে কেবল নিজেকে ছোট করিতেছে, তাহা নছে—ঘরের পাশেই চিরস্থারী বিরোধ স্বষ্টি করিতেছে। কালে কালে ক্রমে ক্রমে এই বিরোধী পক্ষ যতই বাড়িয়া উঠিতে থাকিবে, হিন্দুসমাজ ততই সপ্তপুর্থীর ৰেষ্টনের মধ্যে পড়িৰে । কেবলি খোওয়াইতে থাকিব, এই যদি আমাদের অবস্থা হয়, তবে নিশ্চয় দুশ্চিন্তার কারণ ঘটিয়াছে। পূৰ্ব্বে আমাদের এ দশ ছিল না। আমরা খোওয়াই নাই, আমরা ব্যৰস্থাবদ্ধ করিয়া সমস্ত রক্ষা করি স্নাছি — ইহাই আমাদের বিশেষত্ব, "ইহাই আমাদেয় বল । শুধু এই নয়, কোনো কোনো সামাজিক প্রথাকে অনিষ্টকর জ্ঞান করিয়া, আমরা ইংরাজের আইনকে ঘাটাইয়া তুলিয়াছি, তাহা ও কাহারো অগোচর নাই । যেদিন কোনো পরিবারে সস্তানদিগকে চালনা করিবার জন্ত পুলিসম্যান্‌ ডাকিতে হয়, সেদিন আর পরিবাররক্ষার চেষ্টা কেন ? সেদিন বনবাসই শ্রেয় । মুসলমানসমাজ আমাদের এক পাড়াতেই আছে এবং খৃষ্টানসমাজ আমাদের সমাজের ভিতের উপর বদ্যার মত ধাক্কা । দিতেছে । প্রাচীন শাস্ত্রকারদের সময়ে এ সমস্তাট ছিল না । যদি থাকিত, তবে তাহারা হিন্দুসমাজের সহিত এই সকল পরসমাজের অধিকার নির্ণয় করিতেন—এমন ভাবে করিতেন, যা হাতে পরস্পরের মধ্যে নিয়ত বিরোধ ঘটিত না । এখন কথায় কথায় ভিন্ন ভিন্ন পক্ষে দ্বন্দ্ব বাধিয়া উঠিতৃেছে, এই দ্বন্দ্ৰ—অশাস্তি, অব্যবস্থা ও দুৰ্ব্বলতার কারণ । যেখানে স্পষ্ট দ্বন্দ্ব বাধিতেছে না, সেখানে ভিতরে ভিতরে অলক্ষিতভাবে সমাজ বিশ্লিষ্ট হইয়া পড়িতেছে । এই ক্ষয়রোগ ও সাধারণ রোগ নহে। " এইরূপৃে সমাজ পরের সঙ্গে আপনার সীমানানির্ণয়সম্বন্ধে কোনে কর্তৃত্বপ্রকাশ করিতেছে না ; নিজের ক্ষয় নিবারণের প্রতিও তাহার কর্তৃত্ব জাগ্রত নাই। যাহা আপনি হইতেছে, ভাহাই হইতেছে —যখন ব্যাপারটা অনেকদূর অগ্রসর হইয়া পরিস্ফুট হইতেছে, তখন মাঝে মাঝে হাল ছাড়িয়।