পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘मई म९था । ] विनोंने করিয়া উঠিতেছে। কিন্তু আজ পৰ্য্যন্ত বিলাপে কেহ বস্তাকে ঠেকাইতে পারে নাই এবং রোগের চিকিৎসাও বিলাপ নহে । বিদেশী শিক্ষা, বিদেশী সভ্যতা আমাদের মনকে, আমাদের বুদ্ধিকে যদি অভিভূত করিয়া না ফেলিত, তবে আমাদের সামাজিক স্বাধীনতা এত সহজে লুপ্ত হইতে বসিত না । গুরুতর রোগে যখন । রাগীর মস্তিষ্ক বিকল হয়, তখনি ডাক্তার ভয় পায়। তাহার কারণ, শরীরের মধ্যে রোগের আক্রমণপ্রতিরোধেয় যে ব্যবস্থা, তাহ৷ মস্তিষ্কই করিয়া থাকে—সে যখন অভিভূত হইয়া পড়ে, তখন বৈপ্তের ঔষধ তাহার সৰ্ব্বপ্রধান সহায় হক্টতে বঞ্চিত হয় । প্রবল ও বিচিত্ৰশক্তিশালী যুরোপীয় সভ্যতা অতি সহজে আমাদের মনকে অভি ভূত করিয়াছে। সেই মনই সমাজের মস্তিষ্ক ; বিদেশী প্রভাবের হাতে সে যদি আত্মসমর্পণ করে, তবে সমাজ আর আপনার স্বাধীনতা রক্ষা করিবে কি করিয়া ? এইরূপে বিদেশীশিক্ষার কাছে সমাজের শিক্ষিতলোক হৃদয়মনকে অভিভূত হইতে দিয়াছে বলিয়া কেহ বা তাহাকে গালি দেয়, কেহ বা প্রহসনে পরিহাস করে। কিন্তু শাস্তভাবে কেন বিচার করে না যে,—কেন এমনটা ঘটিতেছে ? . ডাক্তাররা বলেন, শরীর যখন সৰল ও সক্রিয় থাকে, তখন রোগের আক্রমণ ঠেকাইতে পারে। নিদ্রিত অবস্থায় • সর্দিকাশি-ম্যালেরিয়া চাপিয়া ধরিবার অবসর পায়। ’ 纖 尊 ৰিলাতিসভ্যতার প্রভাবকে রোগের সঙ্গে “স্বদেশী সমাজ” প্রবৃন্ধের পরিশিষ্ট । 534 তুলনা করিলাম বলিয়া মার্জনা প্রার্থনা করি। স্বস্থানে সকল জিনিষই ভাল, অস্থানে পতিত ভাল জিনিষও জঞ্জাল চোখের.কাজল গালে লেপূিলে লজ্জার বিষয় হইয় উঠে । আমার উপমার ইহাই কৈফিয়ৎ । যাহা হউক, আমাদের চিত্ত যদি সকল বিষয়ে সত্তেজ-সক্রিয় থাকিত, তাহা হইলে বিলাত আমাদের সে চিত্তকে বিহবল করিয়া দিতে পারিত না । দুর্ভাগ্যক্রমে ইংরাজ যখন তাহার কলবল, তাহার বিজ্ঞানদর্শন লইয়। আমাদের দ্বারে আসিয়া পড়িল, তখন আমাদের চিত্ত নিশ্চেষ্ট ছিল । যে তপস্তার প্রভাবে ভারতবর্ষ জগতের গুরুপদে আসীন হইয়াছিল, সেই তপস্তা তখন ক্ষান্ত ছিল । আমরা তখন কেবল মাঝে মাঝে পুথি রৌদ্রে দিতেছিলাম এবং গুটাইয়া ঘরে তুলিতেছিলাম। আমরা কিছুই করিতেছিলাম না। আমাদের গৌরবের দিন বহুদূর পশ্চাতে দিগন্তরেখায় ছায়ার মত দেখা যাইতেছিল। সম্মুখের পুষ্করিণীর পাড়িও সেই পৰ্ব্বতমালার চেয়ে বৃহৎরূপে, সত্যরূপে প্রত্যক্ষ হয় ! যাহাই হউক, আমাদের মন যখন নিশ্চেষ্টনিক্রিয়, সেই সময়ে একটা সচেষ্ট্র-শক্তি, শুষ্ক জ্যৈষ্ঠের সম্মুখে আষাঢ়ের মেঘাগমের স্থায় তাহায় বজ্রবিদ্যুৎ, ৰায়ুবেগ ও বারিৰৰ্ষণ লইয়া অকস্মাৎ দিগদিগন্ত বেষ্টন করিয়া দেখা দিল । ইহাতে অভিভূত করিবে না কেন ! আমাদের বাচিবার উপায় আমাদের নিজের শক্তিকে”সৰ্ব্বতোভাবে জাগ্রত করা। . আমরা যে আমাদের পুর্বপুরুধের সম্পত্তি’ বসিয়া বসিয়া ফুকিতেছি, ইহাই জামাদের