পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

OA8 ’ झुछन्नथेँ म । [ ৪র্থ বর্ষ, কাউকা। তাহাই একমাত্র পথ। তাছাতে অগ্রসর হইবার উপায়,–বিচারপদ্ধতি ৭ ৰিচারপদ্ধতির দোষে অনেক সময়ে তথ্যানুসন্ধানের চেষ্টা ব্যর্থ হইয়া পড়ে। রামায়ণের রচনাকালনির্ণয়ের জন্য কিরূপ বিচারপদ্ধতির আশ্রয়গ্ৰহণ করা কর্তব্য, তাহ স্থির করা আবশুক । “তপঃস্বাধ্যায়নিরতং তপস্বী বাথিদাং বরম্। নারদং পরিপপ্রচ্ছ বাল্মীকিমুনিপুঙ্গবম্ " রামায়ণের আরম্ভ এইরূপ । কাবারম্ভেই একটি প্রশ্ন । তপস্বী বাল্মীকি তপঃস্বাধ্যায়নিরত বাগবেত্তাদের বরণীয় মুনিপুঙ্গব নারদকে সেই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন। ভূমণ্ডলে ধৰ্ম্মজ্ঞ, কৃতজ্ঞ, সত্যুবাক, দৃঢ়ব্ৰত, বীৰ্য্যবান ও গুণবান এখন কে ? ইহাই ৰাক্ষ্মীকির প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত পরিচয় । তছত্তরে মহর্ষি নারদ শ্রীরামচন্দ্রের বনবাস হইতে রাবণবধাস্তে রাজ্যাভিষেক পৰ্য্যস্ত কীৰ্ত্তন করিলে, সেই আখ্যায়িক। অবলম্বন করিয়া, কবিগুরু ‘পৌলস্ত্যবধ’নামক এক মহাকাব্য রচনা করেন । তাহাই “রামায়ণ” नाम्म विश्वविश्वाङ रुइँोप्छ। গ্রন্থগত এই সংক্ষিপ্ত পরিচয় অনুসারে, রামরাজ) বর্তমান থাকিতেই, রামায়ণ রচিত হইবার প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায়। রামচন্ত্রের সন্মুখে কুশীলবের রামায়ণ গান করিবার কথাও তাহার পক্ষসমর্থন করে । কিন্তু ইহাকে সম্পূর্ণ কবিকল্পিত ৰলিত্বে বাধা কি গ্রন্থগৌরব রন্ধন করিবার জন্ত বাল্মীকির পক্ষে এরূপ অলীক মাখ্যান্ত্রিকার অবতারণ করা কি নিতান্ত অসম্ভব ? এই তর্ক উপস্থিত করা নিতান্ত সহজ। ইহার উত্তরপ্রদান করা সহজ নহে। একমাত্র উত্তর এই,—বাল্মীকি যে কোনরূপ অলীক আখ্যায়িকার অবতারণা করিয়া গিয়াছেন, তাহার প্রমাণাভাব । কিন্তু বাল্মীকির এই উক্তি সত্য হউক বা মিথ্যা হউক, তদ্ধায়৷ রামায়ণের রচনাকাল নির্ণয় করিবার উপায় নাই । কবে রামচন্দ্র অযোধ্যার সিংহাসনে আরোহণ করেন, তাহা নির্ণয় করিতে পারিলে, গ্রন্থগত-আখ্যায়িকা-অবলম্বনে রামায়ণের রচনাকাল নিণীত হইতে পারিত । কিন্তু ক্রেতা বতার রামচন্দ্রের তিরোভাবের পর কতকাল অতিবাহিত হইয়। গিয়াছে, কে তাহার সংখা নির্ণয় করিবে ? পুরাণ তাহার প্রমাণ দিবার চেষ্টা করিয়া, স্বয়ং অপ্রামাণ্য হইয় পড়িয়াছেন । এরূপ অবস্থায় রামায়ণ যে ভাষার গ্রন্থ, সেই-ভাষী-নিবদ্ধ সাহিত্যের ইতিহাস অবলম্বন কfরয়াই রামায়ণেয় রচনা কাল নির্ণয় করিতে হুইবে । . بات سے * ‘সংস্কৃতসাহিত্যের ইতিহাস’ নামঘের নানা গ্রন্থ মুদ্রিত হইয়াছে । তথাপি তাহার উপর নির্ভয়ে নির্ভর করিবার উপায় নাই। তাহা ইউরোপীয় অধ্যাপকমণ্ডলীর জল্পনা জালে জড়িত হইয়া পড়িয়াছে। তাছাদের অধ্যবসায় ও অধ্যয়নামুরাগ সৰ্ব্বথা প্রশংসাৰ্ছ ; কিন্তু তাহদের স্বদেশানুরাগ নিরপেক্ষ বিচারকার্য্যের প্রবল অন্তরায় ! তাহারা ভারতীয় সাহিত্যের অতিপ্রাচীনত্বে আস্থাস্থাপন করিতে অসম্মত । এই সকল ইউরোপীয় অধ্যাপকের মধ্যে পণ্ডিতবর মোক্ষমূলরের নাম ভার্শ্বস্তৰৰে স্বপরিচিত। তাহার “প্রাচীন সংস্কৃত সাৰি