পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম সংখ্যা । ] ཥི་༤ রামায়ণের রচনাকাল । 鬱 శ్రీtt সকলষ্ট্ৰে স্বীকার করিতে হইবে, এমন স্বলংঘঙ যথাবিদ্যস্ত ব্যাকরণস্বত্র কোনও ভাষার শৈশবদশায় সঙ্কলিত হইতে পারে না। অন্ত কোন সভ্যদেশেই এরূপ ব্যাকরণ ৰপ্তমান নাই। পাণিনির পূৰ্ব্বে যে সাহিত্য প্রচলিত ছিল, তাহার ব্যাকরণস্থত্রে তাহারই আলোচনা সন্নিবিষ্ট হইয়াছে । কত সাহিত্য ও কত ব্যাকরণ, না জানি কতকাল ধরিয়া, সংস্কৃতভাষাকে এমন সৰ্ব্বাঙ্গমুন্দর ব্যাকরণরচনার উপযোগী করিয়া তুলিয়াছিল ! কিন্তু পাশ্চাত্য পণ্ডিতবর্গ এই পুরাতন ব্যাকরণের ষে অনুমানমূলক রচনাকাল নির্দেশ করিয়া থাকেন, তাহাতে সংস্কৃতসাহিত্যের ইতিহাসে নানা অসঙ্গতির অবতারণা করিতে হয় । পাণিনিস্থত্রের আলোচনা নিতান্ত নীরস বলিয়া পরিচিত। সেই আশঙ্কায়, কোন কোন লেখক অগুণন্ত প্রমাণের অবতারণা করিয়৷ ংস্কৃতসহিত্যের ইতিহাস সঙ্কলনের চেষ্টা করিয়Lণ্ডাকেন । কিন্তু ভারতবর্ষের পুরাতত্ত্ব সঙ্কলন করিতে হইলে, পাণিনিকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করিয়। সিদ্ধকাম হইবার সম্ভাবনা কোথায় ? নীরস হইলেও পাণিনিস্থত্রের আলোচনা করা আবশুক। ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাস কদাপি নীরস বলিয়া মিশিত হইতে পারে না। পাণিনিস্থত্রে সংস্কৃতভাষার যে অবস্থার পুরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায়, ভাছার সহিত উত্তরকালের সংস্কৃতভাষার তুলনা করিলে, পাণিনিস্থত্রের আলোচনা কাব্যের দ্যায় মধুময় ও বিজ্ঞানের গুtয় শিক্ষণপ্রদ বলিয়া প্রতিতাত হয় । বেখাপ্পুরণস্বত্র সঙ্কলন” করিয়া পাণিনি এইরূপ বিশ্ববিখ্যাত অমর কীৰ্ত্তিতে সভ্য সমাজে. চিরস্মরণীয় হইয়াছেন, ' उांशत्र প্রয়োজন প্রদর্শনের জন্ত একটি সংক্ষিপ্ত হয়ে রচিত হইয়াছিল। সে ছত্রটি এই :--. “অথsাদামুশাসনস্ ” 彎 এই স্থত্রে "শব্দের অমুশাসন করাই ব্যাকরণরচনার প্রয়োজন বলিয়া উল্লিখিত । কোন শব্দের অমুশাসনের জন্ত এই ব্যাকরণ রচিত হইয়াছিল ? সমগ্র স্বত্র অধ্যয়ন করিলে দেখিতে পাওয়া যায়, ‘শবা”শব্দে ‘অপশবা’ পরিত্যক্ত হইয়া, সাধু‘শব্দই’ গৃহীত হইয়াছে। পাণিনির সময়ে জনসমাজে যাহা সাধুশব্দ বলিয়া পরিচিত ছিল, তাহারই অনুশাসন-সম্পাদনার্থ পাণিনিস্থজের অবতারণা । মহাভাষ্যকার এই স্বত্রের বিচারে স্পষ্টাক্ষরে ৰলিয়া গিয়াছেন ঃ– “কেষাং শব্দানামৃ ? লৌকিকানাং বৈদিকানাঞ্চ ।” লৌকিক ও বৈদিক, এই দুই শ্রেণীতে সাধুশা বিভক্ত ; উভয় শ্রেণীর সাধুশব্দের অনুশাসনের জন্তই পাণিনিস্থত্র রচিত হইয়াছিল। পাণিনি কিন্তু লৌকিক ও বৈদিক নামক পারিভাষিক শব্দের ব্যবহার করেন নাই। তিনি সাধু শব্দকে ‘ছন্দস ও ভাষা নামক ভাগদ্বয়ে বিভক্ত করিয়া গিয়াছেন । র্তাহার সময়ে দুই শ্রেণীর সাহিত্যে দুই শ্রেণীর শব্দ ব্যবহৃত হইত ; উভয় শ্রেণীর জন্তই ব্যাকরণ রচিত হইয়াছিল। • পাণিনি যাহাকে ‘ছন্দস ও “ভাষা’ বলিয়। পাথক্য প্রদর্শন করিয়া গিয়াছেন, পতঞ্জলি তাহাকেই যথাক্রমে ‘বৈদিক ও ‘লৌকিক’-নাম প্রদান করিয়া গিয়াছেন। . যাহা লৌকিক” বা ‘বৈদিক উভয়শ্রেণীর বহির্ভূত, পতঞ্জলি তাহাকেই “অপশবা বলিয়া নির্দেশ করিয়াছিলেন ।