পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম সংখ্যা । } 'ईंनैन् ও ‘ভাষা-সাহিত্যের প্রভেদপ্রদর্শনার্থ পাণিনিস্থত্রে সমস্ত সাহিত্য দৃষ্ট, ‘প্রোক্ত’ ও ‘কৃত’ নামক ভাগ ত্রয়ে বিভক্ত। বৈদিকসাহিত্য দৃষ্ট’ বা ‘প্রোক্ত’ ; ভাষাসাহিত্য ‘কত’ । কৃতগ্রস্থ কর্তার নামে, প্রোক্ত প্রোক্তার নামে ও দৃষ্ট দ্রষ্টার নামে পরিচিত ছিল । পাণিনির সময়ে মঙ্গুষ্যকৃত ভাষা সাহিত্যে যে নানাশ্রেণীর গ্রন্থ প্রচলিত ছিল, তাহার পরিচয় পাইলেও, সেই সকল গ্রন্থের অন্স কোন পরিচয় পাইবার উপায় নাই। দৃষ্ট ও প্রোক্ত নামক যে বৈদিকসাহিত্য প্রচলিত ছিল, তাহার নানা পরিচয় • প্রাপ্ত হওয়া যায়। পাণিনির সময়ে রামায়ণ প্রচলিত থাকি বার কোন আভাস প্রাপ্ত হওয়া যায় না ; তৎকালে যে সাহিত্য বিশেযভাবে শিক্ষিতসমাজে সমাদৃত ছিল, তাহার অধিকাংশই বৈদিক সাহিত্যের অন্তর্গত ছিল । সে সাহিত্যের দ্রষ্টা বা প্রোক্তা ঋষিগণের_নাম ও পরিচয় পাণিনিস্থত্রে প্রাপ্ত হওয়ু যায়। তন্মধ্যে বাল্মীকির নাম দেখিতে পাওয়া যায় না । এক্ষণে যাহা পাণিনি-ব্যাকরণ নামে মুদ্রিত, অধীত ও অধ্যাপিত হইয় থাকে, তাহ। প্রকৃতপ্রস্তাবে ত্ৰিমুনি-ব্যাকরণ । পাণিনির স্বত্র, কাত্যায়নের বাৰ্ত্তিক ও পতঞ্জলির ভাষ্য মিলিত হইয়। “ত্ত্বিমুনি-বnকুরণ" নামে প্রচলিত হইয়াছে । মুনিত্রয়কে সমসাময়িক বলিয়া স্বীকার করা যায় না। প্রথমে পাণিনি, ভাহার পর কাত্যায়ন, তাহার পর পতঙ্গুলি । ইহাদের মধ্যে কাহার কতকাল পরে কে জার্বিভূত হইয়াছিলেন, তাহ, নিঃসংশয়ে নির্ণয় করিৰার উপায় নাই। 8 রামায়ণের রচনাকাল ।

  • రి(tన

পাণিনিহুত্রের সহিত কি উদেশুেকাত্যায়নের বার্তিক সংযুক্ত হইয়াছিল, তাহা সৰ্ব্বত্র স্বপরিচিত। বাৰ্ত্তিক ভিন্ন, সুত্রের অসম্পূর্ণতা দুর হইত না । কিন্তু পাণিনির সময়ে পাণিনিস্থত্রে কোনরূপ অসম্পূর্ণত। ছিল কি না, তাহার প্রমাণাভাব । কাত্যtয়ুমের সময়ে সংস্কৃতভাষার যে অবস্থা বর্তমান ছিল, তাহার পক্ষে পাণিনিস্থত্রের নানা অসপূর্ণত লক্ষিত হইয়াছিল। সেই অসম্পূর্ণতা দুর করিবার জন্যই বাৰ্ত্তিকের অবতারণা। অধ্যাপক গোল্ড় কর তাহার সমালোচনায় প্রবৃত্ত হইয়া গণনা করিয়া দেখাইয়া গিয়াছেন,--পাণিনিকৃত ৩৯৯৩ সূত্রের মধ্যে প্রায় ১৫ a • স্থত্রে কণত্যায়ন বাৰ্ত্তিক যোগ করেন ; অর্থাং প্রায় ১৫০০ ত্রে কাত্যায়নের বিচারে অসম্পূর্ণ ছিল । পাণিনি এতগুলি স্বত্র অসম্পূর্ণ রাখিয়াছিলেন কেন ? ইহা কি তাহার অনবধানতা, না অজ্ঞতার নিদর্শন ? পাণিনি ও কাত্যায়নকে সমসাময়িক ব্যক্তি বলিয়া স্বীকার না করিলে, পাণিনির এরূপ অজ্ঞতা বু অনবধানত স্বীকার করা চলে না। পাণিনির সময়ে যে সাহিত্য প্রচলিত ছিল, তাহার ব্যাকরণস্বত্র সেই সাহিত্যের সমগ্র শব্দামুশাসনে অসমর্থ, ইহ প্রমাণ করিতে না পারিলে, র্তাহার অনৰধীনতা বা • অজ্ঞতা স্বীকার করা অসম্ভব। কিন্তু সে সাহিত্য কোথায় ? সেকালের লৌকিকসাহিত্য বিলুপ্ত হুইয়া গিয়াছে। সেকালের বৈদিকসাহিত্য বর্তমান থাকিলেও, কোন কোন গ্রন্থ পাণিনির সময়ের, কোন কোন গ্রন্থ র্তাহার পরবর্তী কাণুের, তদ্বিষয়ে মতভেদের অভাৰ নাই।