পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম সংখ্যা । ]

  • সংষম।

' శ్రీలఫి অশ্রুতপূৰ্ব্ব । কিন্তু আমাদের দেশে যে • নিতান্ত গরিব, তাহারও পিতৃমাতৃশ্ৰাধে কিংবা পূজাপাৰ্ব্বণে অনেক প্রতিবেশী নিমন্ত্রিত হইয়া থাকে। হিন্দুর কোন শুভকৰ্ম্ম যাগযজ্ঞ এইরূপ সৰ্ব্বসাধারণের প্রতিভোজ ব্যতিরেকে সফল ও সুসিদ্ধ হয় না । ইহায় কারণ কি ? ইহার কারণ এই—হিন্দু জানেন যে, এই সকল পূজাপর্বাদিতে যে দেবতার অর্চনা করা হয়, এই বিশ্ব র্তাহাল দেছ । তিনি বৈশ্বানর—বিরাট্র—সৰ্ব্বভূতান্তরায় । তাই বিশ্বজনের তৃপ্তিতে র্তাহার তৃপ্তি,—বিশ্বজনের প্রীতিতে তাছার প্রীতি,—বিশ্বজনের সন্তোষে •র্তাহার সন্তোষ । তাই আমাদের পূর্বপুরুষগণের অস্তঃকরণ যেমন উদার ছিল, তাহীদের নিমন্ত্রিতমণ্ডলী ও তেমনই ব্যাপক ছিল । আমরা সভ্যতাবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আহাৰ্য্যের “পদ-সংখ্য ও রসমাধুর্য্য ক্রমেই বৃদ্ধি করিতেছি বটে, কিন্তু নিমন্ত্রিতের সীমাটা ক্রমশ সঙ্কীর্ণ হইতে হইতে এখন মাত্র ৫।৭টি sclect friendsএ-বাছাই করা অস্তরঙ্গে—পরিণত হইয়াছে। এইরূপে আমরা মুখে যতই দরিত্রের বন্ধু বলিয়া আত্মগুণ ঘোষণা করি. তেছি, তৃতই যে সকল দ্বার দিয়া আমাদের উপার্জিত অৰ্থ অতি অল্পপরিমাণেও দরিদ্রের হাতে গিয়া পড়িবার সম্ভাবনা ছিল, সেই সকল আটঘটি খুব airtight . নিচ্ছিদ্র -- করিয়া বন্ধ করিতেছি । আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থায় কলকারখানা-শিল্পবান্ধিজ্যাদি দ্বারা দেশেয় ধনবৃদ্ধি এবং সেই সঙ্গে সঙ্গে, দরিদ্রপোষণের ব্যবস্থা নিতান্তই श्रांवष्ठक'इहेर्बुरझ, ७ कथा जैमि ब्रूङकक% স্বীকার করি। এবং এই-শুভ-উদ্দেশু সাধনাৰ্থে সম্প্রতি যে চারি মানা করিয়। চাঁদসংগ্রহের আয়োজন হইতেছে, তাহা বিশেষ প্রশংসনীয়, এ কথা স্বীকার করি । किरु তাই বলিয়া দেশের দরিদ্রতানিবারণের জন্তু যে সকল বিধিব্যবস্থা আমাদের ব্যক্তিগত আয়ত্তাধীন রহিয়াছে, তাহাদেয় অঙ্গুষ্ঠান না করা যে গুরুতর সামাজিক ওঁ নৈতিক পাপ, সে বিষয়ে কিছুমাত্র সন্দেহ নাই । এই সকল সামাজিক ও নৈতিক পাপ ক্ষালনের জন্য এখন আমাদিগকে কঠোর তপস্ত করিতে হইবে। দীর্ঘকালব্যাপী বহুবিধ সামাজিক দুৰ্গতির জন্ত আমাদের যে অধোগতি হইয়াছে, তাহা হইতে পুনরুথানের জন্য আমাদিগকে কঠোর তপস্ত। করিতে হইবে । বাহচাকৃচিক্যময়ী পাশ্চাত্যসভ্যতার সংস্পর্শে আসিয়৷ আমাদের ষে সকল মানসিক ও সামাজিক দুৰ্গতি ঘটিতেছে, তাহ হইতে আত্মরক্ষার জন্ত আমাদিগকে তপস্ত করিতে হইবে । আমরা যে মনুষ্যত্ব হইতে দিনদিন স্বলিত হইতেছি, তাহ পুনৰ্ব্বার লাভ করিবার জন্ত আমাদিগকে তপস্যা করিতে হইৰে৷ এই ভারতবর্ষের সমস্ত জাতি লইয়া একটা বিশাল জাতীয়তাস্থষ্টি অনেক দূরের কথা, অামাদের বর্তমান অবস্থায় যাহাতে কেৰল নানাদেশবাসী বিভিন্নবর্ণসম্প্রদায়ভুক্ত হিন্দুসমাজ লইয়া একটা জাতীয়বন্ধন ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ় হয়, বাহাতে আমাদের মধ্যে একটা সামাজিক - কর্তব্যজ্ঞান—জাতীয় কৰ্ত্তব্যজ্ঞান ফুটয় উঠে, যাহাতে আমরা গার্হস্থ্যাশ্রমে থাকিয়া আমাদের প্রত্যেকের ব্যক্তিগত জীবনে ব্রহ্মচৰ্য্য, সংষম, প্রতি ও মুক্ষিণ্যাদি গুণের বিকাশ করিতে সমর্থ হই, সেজন্ত