পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هاه বঙ্ক দর্শন। [ ৪র্থ বর্ষ, কাৰ্ত্তিক •


--گ----------

আমাদিগকে কঠোর তপস্ত। ফরিতে হইবে । কেহ কেহ বলেন, এখন কালের স্রোত ফিরান অসম্ভৱ-কালের স্রোতে ভাসিয় যাওয়াই সঙ্গত । কিন্তু আমাদের স্মরণ-রাখা উচিত, এই বিশ্বরাজ্যের একজন স্রষ্টা, পাতা ও বিধাতা আছেন । তিনি কালের কর্তা এবং কালের নিয়ামক । তাঁহারই ভয়ে চন্দ্রস্বৰ্য্যাদি গ্রহনক্ষত্র—সমগ্র বিশ্বব্ৰহ্মাও নিয়ন্ত্রিত হইতেছে । আমরা যদি তাহার ইচ্ছার উপর নির্ভর করিয়া স্ব স্ব কৰ্ত্তব্যসাধন করিয়া যাইতে পারি, তবে অবশুই আমাদের মঙ্গল হইবে। তাহার প্রীতির জন্ত হৃদয়ের একাগ্রত ও ঐকাস্তিকতা চাই । তিনি আমাদিগকে যখন যে অবস্থায় রাখেন, তখন সেই অবস্থাতেই সস্তুষ্ট থাকিয়া ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতার সহিত র্তাহার পুনরাদেশের অপেক্ষা করিতে श्रव । শ্ৰীমদ্ভগবদগীতায় অর্জুনকে ভগবান এই শেষ উপদেশ প্রদান করিয়াছেন— ঈশ্বর: সৰ্ব্বভূতানাং হৃদ্দেশেহর্জন তিষ্ঠতি । ভ্রামান সৰ্ব্বভুতানি ক্লানি মায়য়া । তমেব শরণং গচ্ছ সৰ্ব্বভাবেন ভারত । তৎপ্রসাদাৎ পরাং শান্তিং স্থানং প্রাপ্স্যসি শাশ্বতম্৷ ঈশ্বর সৰ্ব্বভূতের হৃদয়ে বিরাজমান থাকিয়া যন্ত্রের স্তায় তাহাদিগকে চালাইতেছেন। অতএব হে অৰ্জুন, একমাত্র তাহারই শরণাপন্ন হও,—তাহার প্রসাদে তুমি শাস্তি ও অবিনশ্বর স্থান প্রাপ্ত হইবে। ঋষিকল্প এমসি বলিয়াছেৱ— “A little consideration of what takes place around us every day would show us, that a higher law than our will, regulates evenis; that our painful labours are un, necessary and fruitless; that only in our casy, simple, spontaneous action arc we strong, and by contonting ourselves with obedience we become divine. Belief and love—a believing love will relieve us of a vast bond of care. O my brothers, God cxists. There is a soul at the centre of cvery man, so that nonc of us can of naturc, and over the will wrong the universe....We need only obey. There is a Guidance for each of us, and by lowly listening we shall hear the right word.” – Spiritua/ Lazers. সেই সৰ্ব্বনিয়ামক, সৰ্ব্বভূতান্তরাত্মা বিশ্ববিধাতার প্রতির জন্ত আমাদিগুকে তপস্তা করিতে হইবে । আমাদের আরও স্মরণ রাথ। কৰ্ত্তব্য, প্রকৃতিবৈচিত্র্য সেই ৰিশ্ববিধাতার স্বষ্টির এক গৃঢ়র হস্ত। পৃথিবীর সকল জাতি একই পন্থ অবলম্বন করিয়া সমুদ্রত হইবে, ইছা যদি তাহার অভিপ্রায়-ধইত, তবে তিনি সকল জাতিকেই একই উপাদানে স্বষ্টি কৰুিরা একুইপ্রকার প্রাকৃতিক প্রভাবের মধ্যে স্থাপন করিতেন । কে জানে, এই অধঃপতিত হিন্দুজাতির দুৰ্গতির মধ্যেও র্তাহার মঙ্গলবিধানের বীজ নিহিত নাই ? যখন সমগ্রদেশ বস্তার জলে ভাসিয়া যায়, তখন কৃষক তাহার কতকগুলি উৎকৃষ্ট শস্তের বীজ একটু অন্নপরিসর উচ্চভূমিতে