পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बृङ्गार्भिः । " ونوك এবং ইহারাই স্বষ্টির সমবায়িকারণ । ইহাদের, বিদ্যমানতায় স্থষ্টির বিদ্যমানত হয়। অতএব ইহার প্রত্যেক প্রলয়ে রক্ষিত ভাবিস্বষ্টির অক্ষয়বীজস্বরূপ পূৰ্ব্ববৰ্ত্তিকারণ । এই নয় প্রকার দ্রব্যপদার্থের নাম “বিশেষ পদার্থ” । স্থষ্টির ব্যক্তfবস্থায় ঘটপটাদি ও মনুষ্যপশ্বাদি অবয়বের যে পৃথক্ জ্ঞান হয়, তাহার নাম “ভেদ” । কিন্তু অবয়বরহিত উক্ত নববিধ নিত্যদ্রব্যের মধ্যে প্রলয়কালে যে পরম্পর অতি সূক্ষ্ম পার্থক্য থাকে, তাহার নাম “বিশেষ” । দ্যায় ও বৈশেষিক দর্শনের কথিত এই “মহাপ্রলয়”শব্দ পুরাণ ও মম্বাদি শাস্ত্রের উক্ত “নৈমিত্তিক প্রল মাত্র” । তাহা প্রকৃতিমাত্রে পর্য্যবসিত “প্রাকৃতিক প্রলয়” নছে। তাহা হইলে পরমাণুসকল অর্থাৎ পঞ্চতন্মাত্র প্রকৃতিতে লীন হইয়া যাইত । তাহাতে পরমাণু হইতে সৰ্গারম্ভ চলিত না। ফলত রঘুনাথ শিরোমণি “সিদ্ধান্তলক্ষণে” লেখেন—“মহাপ্রলয়ে মানাভাবাৎ”। মহাপ্রলয়ের অর্থাৎ প্রাকৃতিক প্রলয়ের প্রমাণ নাই, অথবা এমন প্রলয় অপ্রমাণ, যাহার অস্ত আর স্বষ্টি হইবে না । স্বতরাং ন্যায়বৈশেষিকমতে পরমাণু আদি “বিশেষ”পদার্থের প্রাকৃতিক লয় হয় না। সাংখ্যদর্শন পরমাণু প্রভৃতি “বিশেষ পদার্থের সীমা অতিক্রম করিয়া প্রকৃতিতে উপস্থিত হইয়াছেন এবং প্রকৃতিকে তাবৎ স্বষ্টির বস্তুৰীজ কহিয়াছেন। প্রত্যেক প্রাকৃতিক প্রলয়ে প্রকৃতি এবং পুরুষ (আত্মা) অবশিষ্ট থাকেন । র্তাহারা উভয়েই নিত্য । “আন্ধহেতুতা তদ্বারা পারস্পৰ্য্যেহপ্যনুবৎ” ( সাং• স্ব০ ১৭৪ )-বৈশেষিকদর্শনে যেমন [ ৪র্থ বর্ষ, কাৰ্ত্তিক । পারম্পর্ধ্যানুসারে পরমাণুকেই জগতেঁর মূল উপাদান বলেন, সাংখ্যেরাও তদ্রুপ মহদাদিকে মধ্যে রাখিয়া, পরম্পরাসম্বন্ধে প্রকৃতিকেই মূল উপাদান কারণ কছেন । সেই উপাদান হইতে এই জগৎ বারবার স্বঃ এবং প্রত্যেক মহাপ্রলয়ে তাহাতে প্রলীন হয় । বেদান্তদৃশনমতে ও স্বষ্টি প্রবাহরূপে নিত্য । জীবাত্মা উৎপত্তিবিনাশরহিত । মায়াই প্রকৃতি । জীবাত্মা এবং মায়। উভয়েই ব্রহ্মের অংশ। মায়া ব্রহ্মের স্বষ্টিশক্তি এবং ব্রহ্ম হইতে অস্বতন্ত্র । পরব্রহ্ম ঈশ্বরসংজ্ঞা গ্রহণপূর্বক, স্বীয় মায়াশক্তির যোগে, জীবাত্মার ভোগার্থ আপনার সেই মহাশক্তির মধ্য হইতে এই স্বষ্টির বহিঃপ্রকটন এবং মহাপ্রলয়ে সেই শক্তিকোবের মধ্যে সমস্ত স্বষ্টিরূপ বিশাল কার্য্যের উপসংহার করেন। তখন ঐ শক্তি অস্তমুখতারূপে ব্রহ্মে লীন থাকেন এবং স্বষ্টিকালে জীবাত্মাকে সঙ্গে লইয়। জগৎক্ষপে পরিণত হন । স্বষ্টির পূৰ্ব্বে জগৎ স্বয়পূৰ্ব্বকারণ রূপিণী ঐ রূক্ষশক্তিস্বরূপিণী প্রকৃতি অর্থাৎ মায়াতে নামরূপবিহীন হইয়া সুক্ষরূপে প্রলীন থাকে। নতুবা তৎকালে জগদ্বীজের অত্যন্তাভাব থাকে না। তবে যে কোন কোন স্থলে প্রলয়োপলক্ষে “অসৎ” অর্থাৎ কিছু ছিল না,“এইরূপ, উক্তি আছে, তাহার অর্থ “অব্যাকৃত সৎ” । যথা বেদাস্তাধিকরণमैटोंध्र“যদসচ্ছলেনাভিধানং তদব্যাকৃতাভিধানক্তিপ্রায়, নতু অত্যন্তাভাবাভিপ্রায় । অভাবস্ত কারণত্বনিযেখাৎ । PRপনি এৰিষদ নপৰিবালাৰি। “অসৎ"শব্দের যাহা অর্থ, তাছা “আৰ্যাঙ্কত