পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম সংখ্যা । ] এই বানরমণ্ডলী লইয়া এই স্থানে আপনি রাজত্ব করিতে পরিবেন! বানরগণ চঞ্চলস্বভাব, তাহারা এখানে স্ত্রীপুত্রহীন হইয়৷ কখনই আপনার আজ্ঞাধীন থাকিবে ন। আমি মুক্তকণ্ঠে বলতেছি, এই জাম্ববান, মুহোত্র, নীল এবং আমি,—আমাদিগকে আপনি সামদানাদি রাজগুণে কিংবা উৎকট দণ্ড দ্বারাও স্বগ্রীব হইতে ভেদ করিতে পারিবেন না। আপনি তারের বাক্যে এই গর্তে অবস্থান নিরাপদ মনে করিতেছেন, কিন্তু লক্ষ্মণের বাণে ইহার বিদারণ অতি অকিঞ্চিৎকর ।” বিপংকালে এই ধৈর্য্য ও তেজ প্রকাশ করিয়া হনুমান বানরমণ্ডলীকে আয়ুকলহ ও গৃহবিচ্ছেদ হইতে রক্ষা করিয়াছিলেন । হনুমান মগ্রীবের শুধু আজ্ঞাপালনকারী ভূত্য ছিলেন না, সতত তাহাকে সুমন্ত্রণা এবং তাহার কৰ্ত্তব্যবুদ্ধি প্রবুদ্ধ করিয়া দিতেন। জগদূত্রমণক্লান্ত স্বগ্রীবকে ইনিই, মুতঙ্গমুনির আশ্রমসন্নিকটে ঋষ্যমূকপৰ্ব্বতে প্রবেশ বালির নিষিদ্ধ, ইহা বুঝাইয়া দিয়াছিলেন। বালিবধের পরে যখন বর্ষাক্ষয়ে শরৎকালের স্বচনায় গিরিনদীসমূহ মন্থরগতি হুইল—তাহাদের পুলিনদেশ ধীরে ধীরে জাগিয়া উঠিল, সেই সিকতাভূমিশোভা শুাম সপ্তচ্ছদতরুর তরুণ পল্লব, এবং আসন ও কোবিদ্ভীরবৃক্ষের কুমুমিত সৌন্দৰ্য্য গগনালম্বিত হইয়া গিরিসামুদেশে চিত্রপটেন্ন স্তায় অঙ্কিত হইল, সেই মুখশরৎকালে কিষ্কিন্ধাপুরী রমণীগুণের সমত্তালপাক্ষর তন্ত্রীগীতে বিলাসের পর্যাঙ্কে মুখস্বপ্নে বিভেরি ছিল,— স্বগ্রীবের শুক্ল প্রাসাদশেখর কাঙ্কার নিধন হনুমান । • శ్రీశ్రీ এবং স্খলিত হেমহুত্রের হিল্লোলে স্বপ্নাবিষ্ট হইয়া পড়িয়াছিল। তখন কিষ্কিন্ধার গিরিগুহার একটি স্থানে প্রবনক্ষত্রের, স্থায় কৰ্ত্তব্যের স্থিরচক্ষু জাগ্রত ছিল—তাহ বিলাসের মোহে ক্ষণেকৈর জন্তও আচ্ছন্ন হয় নাই, তাহা সতত প্রভুর হিতপস্থার প্রতি স্থিরলক্ষ্য ছিল। লক্ষ্মণের কিষ্কিন্ধাপ্রবেশের বহুপূৰ্ব্বে, শরৎকাল পড়িতে না পড়িতে, হনুমান সুগ্ৰীবকে রামের* সঙ্গে তাছার প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করাইয়া দিয়ছিলেন । সমস্ত বানরবাহিনীকে রামকার্য্যে সমবেত করিবার জন্ত আদেশ বাহির করিয়া লইয়ুগছিলেন । সে আদেশ এই— "ত্রিপঞ্চরাত্রাদুদ্ধং যঃ প্রাপ্লাদিহ বানর। তস্ত প্রাণাগ্লুিকে দণ্ডে নাত্র ক(যা বিচরণ। ॥"

‘মে বানর পঞ্চদশ দিবসের পরে কিঙ্গি ণীয় উপস্তিত হইবে, তাহার প্রাণদও হইবে—ইহাতে আর বিচারবিবেচনা নাই ।” ইহার পরে রোষ"ফুরিতাধরে লক্ষ্মণ কিঙ্কিন্ধায় প্রবেশ করিলেন । বিলাসী সুগ্ৰীব বিপৎ সম্যকৃরূপে উপলব্ধি না করিয়া ক্রুরকটাক্ষে অঙ্গদের দিকে চাহিয়া ছিলেন— বলিয়া “ন মে দুর্ব্যাহৃতং কিকিরাপি মে দুরনুষ্ঠিতম্। লগণে। রাঘবভ্রাত ক্রুদ্ধ: কিমিতি চিন্তয়ে ॥ ন খলস্তি মম ত্রাসে৷ লক্ষা বাবাং মিত্রং ত্বস্থানকুপিতং জনয়তোব श्लष्ठभूम् ॥ সৰ্ব্বণ স্বকরং মিত্ৰং দুক্ষরং প্রতিপালন ।" “আমি কোনরূপ অন্তায় আচরণ বা দুব্যবহার করি নাই ; রামচন্দ্রের ভাই লক্ষ্মণ কেন ক্রোধ করিতেছেন, তাহা বুঝিতে পারিগাম না। লক্ষ্মণ হইতেই কি, রাম হইতেই কি,