êģ बत्रनलीन। ৪র্থ বর্ষ, বৈশাখ । আমারত ভয় করিবার কিছু নাই; তবে বিনা স্থগ্রীবের এই কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠ ভূত্য, শাস্ত্ৰদশী কারণে মিত্র ক্রুদ্ধ হইয়াছেন, এইমাত্র আশঙ্কা। শুভাকাঙ্ক্ষী সচিব, রামচন্দ্রের সঙ্গে প্রথম মিত্ৰলাভ অতিস্থলভ, কিন্তু মৈত্রী রক্ষা कब्राहे कठैिन ।’ তখন বড় বিভ্ৰাট দেখিয়া হমমাণ কামবশীভূত স্থগ্রীবকে অদুরন্থ পুষ্পিত-সপ্তচ্ছদবৃক্ষ দেখাইয়। শরৎকালের আবির্ভাব বুঝাইয়। দিলেন—“রামচন্দ্র ও লক্ষ্মণ আৰ্ত্ত, তাহারা কষ্ট পাইতেছেন, আপনি গ্ৰতিশ্রুতিপালনে তৎপর হন নাই -র্তমহারা ছঃখে পড়িয়া ক্রোধের কথা বলিলে জাহা আপনার গণনীয় নহে। আপনি পরিবারবর্গের ও নিজের যদি কুশল চান, লক্ষ্মণের পদে পতিত হইয়। তাছাকে প্রসন্ন করুন, নতুবা তাহার শরে কিষ্কিন্ধা বিনষ্ট হইবে।” হনুমানের বাক্যে আতঙ্কিত হইয়া মুগ্ৰীব স্বীয়-কণ্ঠৰিলম্বিত ক্রীড়ামাল্য ছেদন করিয়া ফেলি, লেন এবং লক্ষ্মণকে প্রসন্ন করিতে যত্নবান হইলেন । সুতরাং দেখা যাইতেছে, হনুমান্ সুগ্ৰীবকে শুভমন্ত্রণাদ্বারা অন্যায়ুপথ হইতে সাবধানে রক্ষা করিতেন,—শুধু আদেশ শ্রবণ ও অনুমোদন করিয়া যাইতেন না । এদিকে স্বগ্রীবের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র হইলে একাকী তিনি একশতের মত দৃঢ় হইয় দাড়াইয়। তাহ। নিবারণ করিতেন—সুগ্ৰীবের বিপৎকালে তাহার সমস্ত ক্লেশের সমধিকভাগ নিজে বহন করিতেন,–কিষ্কিন্ধার বিলাসছিরোল তাহার , চক্ষুর সম্মুখে প্রবাহিত হইয়। বাইত, তিনি স্বীয় কর্তব্যে বন্ধলক্ষ্য চক্ষু ऋषय्क्द्र थछ७ बिगागरमांशष्रुद्र इदेण्ड रिँख्बन। { সাক্ষাতের পরেই তাহার গুণমুগ্ধ ও একান্ত পক্ষপাতী হইয়া পড়েন । রামলক্ষ্মণকে প্রথম দর্শন করিয়াই তাহার যে হৃদয়োচ্ছাস হইয়াছিল, তাহা তাহার প্রথম আলাপেই প্রকাশ পাইতেছে— “বিশাল চক্ষুর দৃষ্টিতে পম্পতীিরবর্তী বৃক্ষরাজি দেখিতে দেখিতে যাইতেছেন— আপনার কে ? আপনাদের বাহু আয়ত, মুৰ্বত্ত ও পরিঘোপম ;–আপনার দুইজনে সমস্ত পৃথিবী জয় করিতে সমর্থ। আপনাদের স্বলক্ষণ দেহ সৰ্ব্বভূষণধারণযোগ্য— আপনার ভূষণহীন কেন ?” রাম-মুগ্ৰীবের মৈত্রী স্থাপিত হইল । সুগ্ৰীব যখন সমস্ত সৈন্ত সীতার অন্বেষণে প্রেরণ করেন, তখন রাম হনুমানকে স্বীয়নামাঙ্কিত অঙ্গুরীয়কটি অভিজ্ঞানস্বরূপ সীতার জন্য দিয়াছিলেন, তাহার মন তাহাকে বুঝা- • ইয়া দিয়াছিল -এ কার্য্যে হনুমানই সফলতা লাভ করিবেন । 尊 নানাদিদেশ ঘুরিয়া সৈন্তবৃন্ধ সীতার কোন খোজই পাইল না ; বন্ধুর পর্ণপুপহীন এক গিরিগুহা অতিক্রম করিয়া তাহার সমুদ্রের তীরে উপনীত হইল। এই সময়ে তাহারা অনশনে, প্রাণত্যাগ সঙ্কল্প কৰিয়, অবসর হইয়া পড়িম্বাছিল,—সহল। জটায়ুর কনিষ্ঠ ভ্রাতা সম্পাতি তাহাদিগকে সীতার সন্ধান বলিয়া দিল—সীতা দূর সমুদ্রের পারে লঙ্কাপুরীতে আছেন, বানরগণের মধ্যে কেহ সেইখানে লা গেলে স্ত্রীতার সংবাদ পাওয়া অসম্ভব । 蟾》
