পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অক্ষয় বলিল—“ওঃ ”—বলিয়া আপন कप् भन निण। রমেশ বাসায় ফিরিয়া-আসিয়া ভাবিতে লাগিল—“অদৃষ্ট একি বিষম কৌতুকে প্রবৃত্ত হইয়াছে ! একদিকে আমার সঙ্গে কমলার ও অল্পদিকে নলিনাক্ষের সঙ্গে হেমনলিনীর এই মিলন, এ যে একেবারে উপন্যাসের মত— সেও কুলিখিত উপন্যাস ! এমনতর ঠিক উণ্টাপাল্ট মিল করিয়া দেওয়া অদৃষ্টেরই মত বেপরোয় রচয়িতার পক্ষেই সম্ভব—সংসারে সে এমন অস্তুতকাণ্ড ঘটায়, যাহা ভীরু লেখক কাল্পনিক উপাখ্যানে লিখিতে সাহস করে না ।” কিন্তু রমেশ ভাবিল, এবার সে যখন তাহার জীবনের সমস্ত জল হইতে মুক্ত হইস্বাছে, তখন খুব সম্ভব, অদৃষ্ট এই জটিল উপদ্যাসের শেষ অধ্যায়ে রমেশের পক্ষে মিদারুণ উপসংহার লিখিবে না । যোগেন্দ্র বিশাইপুর জমিদারবাড়ীর নিকটবৰ্ত্তী একটি একতলা বাড়ীতে বাসা পাষ্টরাছিল—সেখানে রবিবার সকালে খবরের কাগজ পড়িতেছিল, এমনসময় বাজারের একটি লোক তাছার হাতে একখানি চিঠি দিল । খামের উপরকার অক্ষর দেখিয়াই সে আশ্চৰ্য্য হইয়া গেল। খুলিয়া দেখিল, রমেশ লিথিয়াছে—সে বিশাইপুরের একটি দোকানে অপেক্ষা করিতেছে, বিশেষ কুয়েকটি কথা বলিবার আছে । 4. যোগেন্দ্র একেবারে চৌকি ছাড়িয়া লাফাই উঠিল। প্রমেশকে যদিও সে একদিন অপমান করিতে বাধ্য হইয়াছিল—তবু সেই বাল্যবন্ধুকে এই দুরদেশে এতদিন আদর্শনের পরে ফিরাইয়া দিতে পারিল, না। বঙ্গদর্শন। [ ৪র্থ বর্ষ, অগ্রহায়ণ। এমন কি, তাহার মনের মধ্যে একটা আনন্দই হইল—কৌতূহলও কম হইল না। বিশেষত , হেমনলিনী যখন কাছে নাই, তখন রমেশের দ্বারা কোনে। অনিষ্টের আশঙ্কা করা ३tग्न मां । পত্রবাহকটিকে সঙ্গে করিয়া যোগেন্দ্র নিজেই রমেশের সন্ধানে চলিল। দেখিল, সে একটি মুদির দোকানে একটা শূন্ত কেরোসিনের বাক্স খাড়া করিরা তাহার উপরে চুপ করিয়া বসিয়া আছে ;—মুদি ব্রাহ্মণের হু কায় তাহাকে তামাক দিতে প্রস্তুত হইয়াছিল, কিন্তু চসম-পরা বাবুটি তামাক থায় না শুনিয়া মুদি তাহাকে সহরজাত কোনো অদ্ভুতশ্রেণীয় পদার্থের মধ্যে গণ্য করিয়াছিল । সেই অবধি পরম্পরের মধ্যে কোনো প্রকার আলাপপরিচয়ের চেষ্ট হয় নাই । যোগেন্দ্ৰ সবেগে আসিয়৷ এক ব:রে রমেশের হাত ধরিয়া তাহাকে টানিয়া তুলিল কছিল, “তোমার সঙ্গে, পারা গেল না ! তুমি আপনার দ্বিধা লইয়াই গেল ! কোথায় একেবারে সোজা আমার বাসায় আসিয়া হাজির হইবে, না পথের মধ্যে মুদির দোকানে গুড়ের বাতাসা" ও মুড়ির চাকৃতির মাঝখানে অটল इइं★ दनिद्रा আছে .” রমেশ . অপ্রতিভ হইয় একটুখানি হাসিল । যোগেন্দ্র পথের মধ্যে অনর্গল বকিয়া যাইঙ্কে লাগিল, কহিল—“ধিনিই যাই বলুন, বিধাতাকে আমরা কেহই চিনিতে পারি নাই! তিনি আমাকে সহরের মধ্যে মুখ করির এতবন্ধ সাংরিক তুলিলেন, সে কি এই ঘোর পাড়াগায়ের