পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম সংখ্যা । ] নৌকাডুরি।

  • 8 e Y

মধ্যে আমিার স্ত্রীবাত্মাটাকে একেবারে মাঠে . মারিবার জন্ত ?” রমেশ চারিদিকে তাকাইয়া

  • কেন, এ জায়গাটি ত মন্দ নয় ।”

কহিল, যোগেন্দ্র । অর্থাৎ ? রমেশ । অর্থাৎ নির্জন— যোগেন্দ্র । সেইজন্ত আমার মত অারে। একটি জনকে বাদ দিয়া এই নিৰ্জ্জনতা আরএকটু বাড়াইবার জন্য আমি অহরহ ব্যাকুল छ्झेग्नां श्रांछ् ि। রমেশ । যাই বল, মনের শাস্তির

  • び響下 -

• যোগেন্দ্র । ও সব কথা আমাকে বলিয়ো ন,—কয়দিন প্রচুর মনের শান্তি লইয়। আমার প্রাণ একেবারে কণ্ঠাগত হইয়। আসিয়াছে । আমার সাধ্যমত এই শান্তি তাড়িবার জন্ত ক্রট করি নাই । ইতিমধ্যে সেক্রেটারির সঙ্গে হাতাহাতি হইবার উপক্রম হইয়াছে। . জমিদারবাবুটকে ও আমার মেজুজের যে প্রকার পরিচয় দিয়াছি, সহজে তিনি আমার উপরে আর হস্তক্ষেপ করিতে আসিবেন না । তিনি আমাকে দিয়। ইংরাজি খবরৈর কাগজে র্তাহার নকিবা করাইয়া লইতে ইচ্ছুক ছিলেন–কিন্তু আমার ইচ্ছ স্বতন্ত্র, সেটা আমি তাকে কিছু প্রবলভাবে বুঝাইয়া দিয়াছি। তবুgব টিকিয় আছি, সে আমার নিজগুণে নয় J অামার সঙ্গে অধিক ঘেষাঘেধি না থাকাতে এখানকার জয়েণ্টসাহেৰ আমাকে অত্যন্ত পছন্দ করিয়াছেন— - জমিগুটি সেইজন্ত ভয়ে আমাকে বিদায় করিতে পারিতেছেন না-ঘেঁদিন গেজেট্রে 3 -, & দেখিৰ, জয়েণ্ট বদলি হইতেছেন, সেইদিনই বুঝিব, আমার হেডমাষ্টারিসুর্য্য বিশাইপুরের আকাশ হইতে অস্তমিত হইল। ইতিমুধ্যে এখানে আমার একটিমাত্র আলপী আছেঅামার পাঞ্চ কুকুরটি ! আর সকলেই আমার প্রতি যেরূপ দৃষ্টিনিক্ষেপ করিতেছে, তাহাকে কোনোমতেই শুভদৃষ্টি বলা চলে না । যোগেন্দ্রের বাসায় অাসিস্থা রমেশ একটা চৌকিতে বসিল । যোগেন্দ্ৰ কহিল, “ন, বস নয় ! আমি জানি, প্রাতঃস্নান নামে তোমার একটা ঘোরতর কুসংস্কার আছে—সেটা সারিয়া এস । ইতিমধ্যে আর একবার গরমজলের কাৎলিট আগুনে চড়াইয়া দিই। আতিথ্যের দোহাই দিয়া আজ দ্বিতীয়বার চা খাইয়া লইব ।” - এইরূপে অtহার, আলাপ ও বিশ্রামে দিন কাটিয়া গেল ! রমেশ যে বিশেষ কথাটা বলিবার জন্ত এখtrন অtসিয়াছিল, যোগেন্দ্র সমস্তদিন তাই কোনোমতেই বলিবার অবকাশ দিল না । সন্ধ্যার পরে আহারান্তে কেরোসিনের অালোকে দুইজনে হই কেদার টানিয়া-লইয়া বসিল। অদূরে শৃগাল ডাকিয়া গেল ও বাহিরে অন্ধকাররাত্রি ঝিল্লীর শব্দে স্পন্দিত হইতে লাগিল । রমেশ কহিল, “যোগেন, তুমি ত জানই, তোমাকে কি কুথ। বলিতে আমি এখানে আসিয়াছি। একদিন তুমি আমাকে যে প্রশ্ন করিয়াছিলে, সে প্রশ্নের উত্তর করিার সময় তখন উপস্থিত হয় নাই। আজ আর উত্তর দিবার কোনো বাধা নাই।” এই বলিয়া রমেশ কিছুক্ষণ ত্বন্ধ হইয়৷ বসিয়া রহিল । তাছার পরে ধীরে ধীরে সে