পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. अकैम नश्श । ] প্রাচীন ভারতের ইতিবৃত্তসঙ্কলন । * 8 ed ইহাদের* এইপ্রকার ভাব,—আমাদের দেশে , প্রজাদের মনে এই ভাব বদ্ধমূল। প্রাচীন গ্রীকুজ্ঞানী ডাইওজিনিসের বিষয়ে এরূপ উক্ত আছে যে, দিগ্বিজয়ী বীর আলেক্জাগুfর যখন র্তাহাকে দেখিবার জন্য কৌতুহলাবিষ্ট হইয় তাহার মিকটস্থ হইলেন, তখন দেখিলেন যে, সুধীবর একটি টবে বলিয়া রোদ পোহাইতেছেন। আলেক্জাগু!র সদলে গিয়া তাঙ্কার পাখে দাড়াইলেন ; জ্ঞানী পুরুষের সেদিকে দৃষ্টিই নাই। অবশেষে আলেকজাণ্ডার যখন জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমি কিরূপে আপনার সাহায্য করিতে পারি ? আমি কি করিলে আপনি প্রীত হন ?” উত্তর--- রোদের আড়াল না করিয়া একটু সরিয়া দাড়াইলেই মুখী হই ।” মামাদের নবদ্বীপের বুনে রামনাথের বিবদেও এরূপ একটি গল্প প্রচলিত আছে। বুনে রামনপি বনে বৃক্ষ তলে বসিয়া শিষাদিগকে পড়tষ্টতেন ; তাহীর সামান্ত কুটীরে তাহুদের জন্য স্থানসমাবেশ হইত না এ একবার নদীয়াধিপতি মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র নৌকারোহণে নবদ্বীপপথে যাইতে যাইতে, রামনাথের পণ্ডিত্যখ্যাতির দ্বারা আকৃষ্ট হইরা তাহাকে দেখিতে গেলেন। গিয়া দেখিলেন, পণ্ডিতবর পাঠনাকার্য্যে নিমগ্ন । তাহার অর্থসাহায্যের প্রয়োজন আছে কি না, জানিবার জন্য উৎসুক ভুইয়া রাজু জিজ্ঞাসা করিলেন—“কিছু •অনুপপত্তি আছে ?” পণ্ডিত বুঝিলেন—ন্তায়ের অনুপপত্তির কথা বলিতেছেন। উত্তর--“কিছুই অনুপপত্তি নাই তৎপরে প্রশ্ন—“অভাব আছে "— আবার স্যায়ের অভাৰ আসিল । শেষুে, ब्रांस খুলিয়া" জিজ্ঞাসা করিলেন----“সংসার চলে কিরূপে ?" পণ্ডিতবর নিকটস্থ তেঁতুলবৃক্ষের প্রতি অঙ্গুলিনির্দেশ করিয়া বলিলেন —“গৃহিণী ঐ তেঁতুলণতার বেশ, বোল করেন, আমাদের মুখেই আহার চলে।” ভারতীয় সুধীগণের, বিষয়ে এইপ্রকার «inigtą stą fazi i Plain living and high thinking— èxi wfi c*fas cwt»; কখনও কার্য্যে পরিণত হইয়া থাকে, তবে তাহা এই ভারতবর্ষে । সে যাহা হউক, যেজন্ত এত কথার অবতারণা করিয়াছি, তাহা এই যে, বাহবস্তুর প্রতি অনাস্থা আমাদের অস্থিমাংসে প্রবিষ্ট হুইয়া থাকাতে আমরা ইতিবৃত্তরচনায় মনোনিবেশ করি নাই, অর্থাৎ আমরা ধ্যানদ্বারা পরমার্থতত্ত্ব অধিগত করিবার চেষ্টা করিয়াছি ; সাধনদ্বারা ইন্দ্ৰিয়নিগ্রহে যত্নপর হইয়াছি ; আত্মানাত্মবিবেকে নিমগ্ন হইয়। লৌকিক সুখদুঃখ ভুলিয়াছি ; কে কবে জন্মিল, কে কবে মরিল, কোন রাজা সিংহাসনে বসিল, কোন যুদ্ধে কোন রাজা হারিল বা জিতিল, সেদিকে দৃষ্টিপাত করিবার সময় হয় নাই, আবশুকন্তীও বোধ করি নাই। বোধ হয় ইহার ও পশ্চাতে আর এক কারণ বিদ্যমান, তাহা এদেশের জলবায়ুর সাম্যাবস্থা । প্রকৃতির ভীমকান্ত রূপ এখানে ক্ষণে ক্ষণে পরিবৰ্ত্তিত হয় না । একজন যোগী অনাবৃতদেহে প্রাতঃকাল হইতে সায়ংকাল পর্য্যন্ত বসিয়া থাকিতে পারেন ; আত্মরক্ষার জন্য র্তাহাকে ব্যতিব্যস্ত হইতে হয় না। সুতরাং • তিনি অবাধে বহির্জগতের প্রতি উদাসীন হইয়া আত্মচিন্তায় নিযুক্ত থাকিতে পারেন। এইরূপেই বোধ হয়