পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रकैम जश्थji । ] সার সত্যের আলোচনা । "gS) উপরিউক্ত বিষয়গুলির সম্বন্ধে, অনেক8णि ७वंरब्रांझनेौञ्च कथंi ७१८नां बशिवांद्र अॉ८छ् ;-छांश क्लभ* ७धकांश । প্রথমে আমি বলিয়াছিলাম - “মন হইতে সমস্ত সংস্কার এবং ভাবনা-চিন্তা দূরে সরাইয়াদিরা সত্যের হস্ত হইতে সত্য গ্ৰহণ কর— সত্যের সম্মুখে আপনি আড়াল হইয় দাড়াই ও না।” এটা অামি বলিয়াছিলাম শুদ্ধকে বল জমি প্রস্তুত করিবার প্রয়োজনীরতার প্রতি লক্ষ্য করিয়া। ঐ সোজ। কথাটির অর্থ কেহ যেন এরূপ না বোঝেন যে, মনের ঐরূপ ংস্কারশূন্ত অবস্থার নামই সত্যের উপলব্ধি । তখনই বলিব সত্যের সাক্ষাৎ-উপলব্ধি হইল, যখন দেখিব যে, সেই তৈয়ারি-করা জমি’তে-পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, নিৰ্ম্মল এবং প্রশান্ত অস্তঃকর৭ে—বাস্তবিকই সত্যের সাক্ষাৎকার ঘটিল। তুমি হয় তো বলিবে এই যে, সাধকের নিৰ্ম্মল অস্তঃকরণে পরমাত্মার প্রকােশ হর, এ কথা কেহই অস্বীকার করে না ;–পরমাত্মার প্রকাশের সঙ্গে তুমি যে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডেয় প্রকাশ জুড়িয়া দিতেছ, .সেইটিই হ’চ্চে গোলোযোগের মূল। এ তো দেধিত্বেই পাওরা যাইতেছে যে, পরমাত্মা স্বয়ং যখন নিৰ্ম্মলচিত্ত সাধকের অন্তঃকরণে প্রকাশিত হ’ন, তখন বিশ্বব্ৰহ্মাও থাকুক্‌ ৰা না থাকুকু—সাধকের তাহাতে,কিছুই যায়আসে না । তা যদি বলো, তবে তাহার উত্তরে আমি বলি এই যে, পরমাত্মা আপনার প্রকাশ”কে দূরে সরাইয়া-রাখিয়া শুধুই কি আপনার সত্তামাত্র সাধকের অন্তঃকরণে উদ্বোৰিত করেন, অথবা সত্ত, শক্তি এবং প্রকাপু, তিনই একযোগে উদ্বোধিত করেন ? অবশু বলিতে হইবে যে, পরমাত্মা সাধকের তৈয়ারিকরা জমিতে-নিৰ্ম্মল অন্তঃকরণে—আপনার - সত্তা, শক্তি এবং প্রকাশ লইয়৷ সৰ্ব্বাঙ্গমঞ্জর রূপে আবিভূর্ত হন ; কেন না, পরমাত্মার সত্তামাত্র বিনা-সাধনেই লোকের মনে (মনুষ্যমাত্রেরই মনে ) পুৰ্ব্ব হইতেই প্রকাশিত রহিমাছে ; তাহার জন্ত শিক্ষার ও প্রয়োজন নাই — গুরূপদেশেরও প্রয়োজন নাই—যুক্তিতর্কেরও প্রয়োজন নাই সাধনেরও প্রয়েtজন নাই- চিত্তশুদ্ধিরও প্রয়োজন নাই । কাজেই বলিতে হয় যে, সযত্নে তৈয়ারি করা সাধকের নিৰ্ম্মল অন্তঃকরণে পরমাত্মা আপনার সত্তা, শক্তি এবং প্রকাশ লইয়া সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দরব্রুপে আবিভূত হন। তবেই হইতেছে যে, সাধকের নিৰ্ম্মল অন্তঃকরণে পরমাত্মা বিশ্বব্ৰহ্মাও লইয়া আবিভূত হ’ন ; যেহেতু বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নামই পরমাত্মার প্রকাশ এবং পরমাত্মার প্রকাশের নামই বিশ্বব্ৰহ্মাও । অতঃপর জিজ্ঞাস্ত এই যে, পরমাত্মা কি সাধকের অন্তঃকরণে নুতন কোনো একটা বিশ্বব্রহ্মাও লইরা প্রকৃশিত হ’ল—অথবা আবহমান-কালের এই যে বিশ্বব্ৰহ্মাও— যাহা অtমরা চক্ষের সম্মুখে দেখিতেছি— এই চিরন্তন বিশ্বব্ৰহ্মাও লইয়া প্রকাশিত হ’ন ? ইহার উত্তর এই যে, প্রত্যেক সাধকের জন্ত নুতন ব্ৰহ্মাণ্ডের স্বষ্টি এক-তে বাড়ী’র ভাগ, তা ছাড়া, একটু ভাবিয়া দেখিলেই প্রতীয়মান হইবে যে, সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাও এক বই দুই হইতে পারে না। বেদের এ কথা খুবই সত্য যে, “স্বাভাবিকী জ্ঞানবলক্রিয়া চ”—পরমাত্মার জ্ঞানক্রিস্তু এবং বলক্রিয়ু স্বভাবসিদ্ধ। " o