পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مونة : গুরুষৰ্ব্বেদের করথৰ সঙ্কলিত করিয়া ছিলেন। র্তাহার যন্ত্ৰে শুক্লযজুৰ্ব্বেদের শিক্ষা ও প্রয়োগ এইরূপে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িয়াছিল। পাণিনির সময়ে এই সকল গ্ৰন্থ প্রচলিত ছিল না। . এই সকল ৰৈদিকগ্রন্থ ভিন্ন কাত্যায়ন ‘ভ্ৰাজ’নামক শ্লোকগ্রন্থও রচনা করিয়াছিলেন । পতঞ্জলির ‘মহাভাষ্যে’ তাহার উল্লেখ আছে। কাত্যায়নের পূৰ্ব্বে ৰ্যাঢ়ীর ‘সংগ্রহ’নামক গ্রন্থে শ্লোকনামক রচনাপ্রণালীর প্রথম পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে। শ্লোক বলিতে সেকালে কেবল অনুষ্ঠুভছন্দকেই বুঝাইত। বৈদিকসাহিত্যে কদাচিৎ অমুঃপের ব্যবহার থাকিলেও, আন্তস্ত অনুষ্ঠুপ ব্যবহৃত হয় নাই । ঋগ্বেদের দশসহস্ৰাধিক মন্ত্রের মধ্যে ৮ ৫৫ মন্ত্র অনুষ্ঠুপ। পাণিনির সময়ে আন্তস্ত অস্থইভছনে রচিত কোন গ্রন্থ প্রচলিত থাকার প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায় না। অধ্যাপক মোক্ষমূলর এই বিষয়ের বিচারে প্রবৃত্ত হইয়৷ কোন কোন পাণিনিস্থত্রের উদাহরণে “শ্লোক”শব্দের উল্লেখ দেখিয়া, পাণিনির সময়ে শ্লোকগ্রন্থ ‘প্রচলিত থাকা সিদ্ধান্ত করিয়া বসিয়াছেন। বলা বাহুল্য, ঐ সকল উদাহরণ পাণিনির লেখনীপ্রস্থত নহে । পাণিনির পরে এবং কাত্যায়নের পূর্বে ংস্কৃতসাহিত্যের এই সকল বিবিধ অবস্থার পরিবর্তন দেখিতে পাওয়া যায়। পাণিনি ও কাত্যায়নের মধ্যে বহুকালের ব্যবধান না থাকিলে, এই সকূল পরিবর্তনের সামঞ্জস্ত রক্ষিত হইতে পারে না। এই সকল বিষয় স্মরণ রাখিয়া পুরাতন গ্রন্থের রচনাকালনির্ণয়ে জগ্রসর হইলে, সমালোচ্য গ্রন্থের جهويه রঙ্গদর্শন।

  • حي -

উপর গাণিনি বা কাভ্যানের প্রভাৰ আৰিकाब्र कब्र कर्टिन इह न । ब्रांबाब्रtभद्र छाद, পুরাতন গ্রন্থের রচনাকাল নির্ণয় করিতে হইলে, এই পথেই অগ্রসর হওয়া আবগুক । তজন্ত পতঞ্জলিরও সাহায্য গ্রহণ করিতে छ्हे८द ! কাত্যায়নের কতকাল পয়ে পতঞ্জলি প্রাজুভুত হইয়াছিলেন, তাহ নিঃসন্দেহে নির্ণয় করিবার উপায় নাই। কিন্তু পতঞ্জলি কোন সময়ে প্রাজুভুত হইয়াছিলেন, তাহার কিছু কিছু আভাস প্রাপ্ত হওয়া যায়। পতগুলির মাতার নাম গোণিক ; তাহার বাসস্থান গোনদ। তিনি কিছুকাল কশ্মীরে বাস করিয়াছিলেন, এবং অভিমস্থ্যনামক কশ্মীরাধিপতির শাসনসময়ে তদেশে মহাভাব্যের অধ্যয়ন-অধ্যাপনা প্রবর্তিত হইয়াছিল। এই সকল প্রমাণ অনুসারে পতঞ্জলিকে দ্বিসহস্ৰবৎসর পূর্বের বৈয়াকরণ বলিয়া স্বীকার করিতে হয়। তাহার প্রমাণপরম্পূরার বিস্তৃত আলোচনা করা অনাবশুক । পুরাতন সংস্কৃতসাহিত্যের ইতিহাসে পাণিনিযুগ, কাত্যায়নযুগ ও পতঞ্জলিযুগ নামক তিনটি সাহিত্যযুগ কল্পনা করিলে দেখিতে পাওয়া যায়,—পাণিনিযুগে ‘রামায়ণ’ পরিচিত না থাকিলেও, কাত্যায়ন ও পতঞ্জলিযুগে ‘রামায়ণ পরিচিত ছিল। পাণিনির পরে ও কাত্যায়নের পূৰ্ব্বে কোনও সময়ে রামায়ণ রচিত হইয়া থাকিবে । রামারণের সমা- “ লোচনায় প্রবৃত্ত হইলে, এই সিদ্ধান্তের অমুকুলেই প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায়। পাণিনিযুগে শুরুষৰূৰ্ব্বেদ, ৰাজসনেরি -সংহিতা, শতপথব্রাহ্মণ, কাঞ্চ্যীৱনকল্পস্থজ