পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৰম সংখ্যা । ] মুক্তিবিষয়ে রামানুজস্বামীর উপদেশ। •89% “যুক্তিতেহপি ন বাধ্যতে দিমোহব্যাপরোক্ষাদৃতে ।" যেমন প্রশিখনিজ সাক্ষাৎকার ব্যতীত উপদেশ ও যুক্তি দ্বারা দিগভ্রাস্তি যায় না,-নিবৃত্ত হয় না, তেমনি ভাবনাময়ধ্যানজাত কিংবা প্রণিধাময়ধ্যান প্রভৰ জ্ঞানবিশেষ ব্যতীত কেবল উপদেশে মুক্তির উপায় তত্ত্বজ্ঞান অর্জন করা যায় না। ধ্যান দুইপ্রকার— এক ভাৰনাময়, অপর প্রণিধানময়। সদ্বয়বাদী ७ जवब्रदांौ छेङtब्रझे उंख्न् विदिथ थTitनब्र এইরূপ লক্ষণ বর্ণনা করেন— “ভাবনাময়ং নাম নষ্টবনিতাদিবদসন্নিহিতবিষয়ং পুরুষব্যাপারতন্ত্র । প্রণিধানময়ত্ত্ব বস্তুতত্ত্ববিষয়ম্।” • বেদাস্ত্রীরা এই দ্বিবিধ ধ্যান বর্ণনা করিয়া বলেন— “বিবিধমপি ধ্যানং শুদ্ধং বস্তু প্রতিপিৎসোরাব भृकन्।” যাহারা বিশুদ্ধ বস্তু জানিবার জন্ত– ব্রহ্ম জানিবার জন্ত প্রস্তুত হইবেন, তাহীদের পক্ষে ཙི་རྩྭ་ দ্বিবিধ ধ্যান বিশেষ প্রয়োজনীর । রামানুজস্বামী এইস্থলে বলেন, প্রণিধানময় ধ্যান অপেক্ষ ভাবনাময় ধ্যান ভাল । সকলের পক্ষে না হউক, অন্তত ভক্তিমান অধিকাল্পীর পক্ষে ভাল । বেদান্তীর বলেন— “ভাৰীলাময়ধ্যানেন বশীকৃতং চিত্তং ক্রমশে মুর্ত্যকারতঃ প্ৰচাৰ্য অব্যক্তমাত্রাবলম্বনে ভূত্ব বিরাড়াদে কারণে ব্ৰহ্মণি চিত্তং প্রশিদধ্যাৎ । ততশ্চাত্মন্তধ্যস্তস্ত বিরাড়াদিত্ৰয়স্ত রজ্জ্বলপস্যেৰ চিত্তস্থিরীক্ষণেন অধিষ্ঠানভূতগুদ্ধৰৰদৰ্শনেন প্রৰিলাপনকরণ। তচ্চ দর্শনং দণ্ডেৰলানলৰৎ স্বয়মুপশান্তং সৎ স্বৰূপ্তিসাপা ৰুচিদানলাৰৰ আবির্ভবতি স মুক্তি: " প্রচলিত বঙ্গভাষায় কথাগুলির ব্যাখ্যা বলিতে প্লেলে অনেক বলিতে হয়। সেকুম্ভ ব্যাখ্যা না” ৰলিয়া, মাত্র স্থল তাৎপৰ্য্যটুকু বলতেছি। প্রথমত চিত্তকে তাৰনাম ব্যান দ্বারা বশীভুক্ত করিতে হয়। চিত্ত বশীভূত হইলে অল্পে অল্পে ও ধীরে ধীরে সে মুর্ত্যবলম্বন ত্যাগ မွိတ္သိမ္းႏို হইয়া থাকে। এই অবস্থায়পৰ্বশ্বকারণ বিরাটু, হিরণ্য ও ঈশ্বর তত্ত্বে প্রণিধানতৎপর হইতে হয়। প্রণিধানধ্যান স্থিরতাপ্রাপ্ত হইলে তাহা হইতে একপ্রকার সাক্ষাৎকারকারী জ্ঞান আৰিভূত হইয়৷ থাকে। তাছাতেই, যেমন রজ্জ্বলাক্ষাৎকার হইলে তল্লিমেবে রজ্জধিষ্ঠানের সর্পবিভাস লুকাইয়া যায়, তেমনি, আত্মাধিষ্ঠানস্থ বিরাটু, হিরণ্যগৰ্ভ, ঈশ্বর, এই তিন অবভাসও লুকাইয়া पाँच्न ७ष९ उ९नष्त्र दाष्टिनिम्न भन्न विश्व, देउखण, প্রাজ্ঞ, এ সকল অবভাসও ( মিথ্যাজ্ঞান বা মিথ্যাজ্ঞানপ্রভব কল্পনাসমূহ ) ৰাধিত হইয়া ধায় । তখন অবশিষ্ট থাকে প্রণিধান বা ধ্যানপ্রবাহ, তাহাও কাষ্ঠভস্মকারী বঙ্কুির ন্তায় আপনা-আপনি উপশমপ্রাপ্ত হয় । এই উপশমের পর একপ্রকার স্বযুপ্তিতুল্য অবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই অবস্থা তারতম্যবর্জিত, পুৰ্ব্বাপরবিভাগশূন্ত ও আন্তস্তমধ্যরহিত আনন্দাবস্থ৷ ” এবং এই অবস্থাই বেদান্তীদিগের অভিমত মুক্তি। এই স্থানে রামাজুজ বলেন, আদর, নৈরন্তৰ্য্য, ও সৎকার সহকারে ও অবিচ্ছেদে দীর্ঘকালৰ্যাপী ভাবনাময় ধ্যান কৰুিতে করিতে অল্পে অন্নে জীব তন্ময় হইয়া • যায়,---কীটবিশেষের পত্তঙ্গ হওয়ার অনুরূপে ধ্যেয়সারূপ্য অর্থাৎ ভগবৎ সাৰূপ্য প্রাপ্ত হয়। সেই ভগবৎসান্ধপাপ্রাপ্তিই তাছার মুক্তি-জীবন্ধুক্তি, অন্ত কোনরূপ মুক্তি নাই। সন্ধিপ্যপ্রাপ্তি ৰইলে জীব দেৰপাতের পর সম্পূর্ণ