পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8bdWり তেছে, তখন তুমি তাহার প্রতি অঙ্গুলিনির্দেশ করিয়া বলিন্তছ—“এই নদী”। যাহাকে বলিতেছ “এই নদী", সে নদী কোথায় ? ধেই বলিতেছ “গ্রহ", অয়ি তাহ নেই। তুমি যাহাকে বলিতেছ “এই নদী”, সে তোমার চক্ষে ধূলা দিয়া নেই-নদী হইয়। সরিয়া পালাইয়াছে। নদীর স্রোতও যেমন, ধ্বনির প্রবাহও তেমনি, আলোকের রশ্মিও তেমনি—সবই দুই:নৌকায় ভর দিয়া দাড়াইয়া রহিয়াছে ;–এক নৌকা হ’চ্চে বৰ্ত্তমানমুহূৰ্ত্ত, আর-এক নৌকা হ’চ্চে অতীতমুহূৰ্ত্ত। তাহার মধ্যে বর্তমান-মুহূৰ্ত্তই জীবন্ত মুহূৰ্ত্ত, অতীত-মুহূৰ্ত্ত মৃত মুহূৰ্ত্ত। যাহা বৰ্ত্তিয়া থাকিতেছে, তাহারই নাম বৰ্ত্তমান । বর্তমান কাল বৰ্ত্তিয়! থাকিবীর কাল— বাচিয়! থাকিবার কাল । বর্তমান কাল সজীব কাল—তাই বর্তমান কাল আমাদের • জীবনের উপরে—প্রাণের উপরে—কাৰ্য্য করে। পক্ষাস্তরে, মৃতব্যক্তিকে যেমন চক্ষে দেখিতে পাওয়া যায় ন!—কেবল মনে স্মরণ হয় মাত্র, অতীত কাল সেইরূপ আমাদের মনের স্মরণেতেই যাওয়া-আসা করে, তা বই, বর্তমানের দ্যায় তাহা অামাদের প্রাণের হস্তে ধরা স্তায় না। বর্তমান কালের দর্শন হ’চ্চে প্রাণের ব্যাপার, অতীত কালের স্মরণ হ’চ্চে মনের ব্যাপার ; এই দুই ব্যাপারের উপরে ভর দিয়া বুদ্ধি-ব্যাপার মাথা তুলিয়া দাড়ায়। বুদ্ধি-ব্যাপার কি ? না, “এটা এই” এইরূপ নিশ্চয়ক্রিয়া । আমরা প্রথমে বলি “এটা, তাহার পরমুহূর্তে সেই এটা’র পরিবর্তে যখন তাহার যমক-সহোদর আর-একটা আসিয়া আমাদের সম্মুখে উপস্থিত হয়, তখন বঙ্গদর্শন। [ ৪র্থ বর্ষ, পৌষ সেই দ্বিতীয়-এটাকে আমরা বলি *এই* g আর, তাহ যখন বলি—দ্বিতীয় এটাকে অর্থাৎ আর-একটাকে যখন আমরা বলি “এই”,— তখন প্রথম-“এটা” আমাদের স্মরণে টাটুকা রহিয়াছে যেন সাক্ষাৎ বর্তমান ; সেই প্রথমএটা যাহা আমাদের স্মরণে জাগিতেছে এবং তাহার জুড়ি এই দ্বিতীয়-এটা যাহাকে আমরা এক্ষণে বলিতেছি “এই”—এই দুই এটাকে এক বন্ধনে বঁাধিয়া আমরা বলি “এটা এই” । ইহারি নাম বুদ্ধির নিশ্চয়ক্রিয়া । ( ১ ) প্রাণ বৰ্ত্তমানকে ধরে, (২) মন অতীত’কে ধরে, এবং বুদ্ধি বর্তমান এবং অতীত উভয়কে একীভূত করিয়া ত্রৈকালিক ধ্রুববস্তুকে উপলব্ধি করে। ইহারই নাম বাস্তবিক-সত্তা’র উপলব্ধি । বাস্তবিক-সত্তা’র উপলব্ধিতে প্রাণ, মন এবং বুদ্ধি, তিনই একযোগে কার্য্য করে। প্রাণ করে—দর্শন, মন করে—স্মরণ, এবং বুদ্ধি করে—তত্ত্ব-অবধারণ । এই যে তিনটি ব্যাপার— দর্শন, স্মরণ এবং তত্ত্বনিরূপণ, তিনই সমান আশ্চর্য্য। যদি মনে কর ষে, দর্শন তো অষ্টপ্রহরই করিতেছি—স্বরণও তাই ; তত্ত্বনিরূপণটাই কেবল সব সময়ে সকলের ভাগ্যে ঘটিয়া ওঠে না—অতএৰ তত্ত্বনিরূপণই সৰ্ব্বাপেক্ষ বেশী আশ্চৰ্য্য, তবে সেটা তোমার বড়ই ভুল । বর্তমান-মুহূর্তে তোমাকে আমি বলিতেছি যে, গতকল্য অামি কাণীতে ছিলাম । গতকল্য সত্যসত্যই ষে আমি কাশীতে ছিলাম, তাহার প্রমাণ কি ? তোমার নিকটে তাহার প্রমাণ আবস্তক হইতে পারে, কিন্তু আমার নিকটে তাহার ॐमानं निष्ठांडई अनावथक् । কেন না, আমার শ্বিরণে স্পষ্টাক্ষরে লিখিত রছিয়াছে যে, গত