পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• নবম সংখ্যা । ] সার সত্যের অালোচনা । , 8ህሥፃ কল্য আমি কাশীতে ছিলাম। যদি বলৈ • যে, তোমার এই যে স্মরণ–এ তে তোমার বর্তমান কালের মনোবৃত্তি ; বর্তমান কালের মনোবৃত্তিকে অতীত ঘটনা’র সাক্ষী ৰলিয়া গ্রহণ করিতেছ কোন যুক্তিতে ? “ঐথানটিতে ঐ দেয়ালটা রহিয়াছে’ এটা যেমন তুমি তোমার চক্ষের সম্মুখে দেখিতেছ ; গতকল্য “তুমি কাশীতে ছিলে” এটাও কি তুমি সেইরূপে তোমার মনশ্চক্ষে দেখিতেছ ? তাহী তুমি বলিতে পার ন—কেন না, যাহাকে তুমি বলিতেছ “ঐখানটি”, তাহ তোমার চক্ষের সম্মুখে বাস্তবিকই উপস্থিত রহিয়াছে ; * পক্ষাস্তরে, যাহাকে তুমি বলিতেছ “গতকল্য", তাহা কোনোকালেই তোমার চক্ষের সম্মুখে জীবিতমান ভাবে—অর্থাৎ সত্যসত্যই— উপস্থিত হইতে পারে না । তবে যে বলিতেছ যে, তোমার মনশ্চক্ষে তাহ উপস্থিত— সে কেবল কল্পনাতে । কিন্তু কল্পনাকে বিশ্বাস কি ? আমি যদি মনে মনে এইরূপ কল্পনা করিতাম যে, “গতকল্য আমি কাশীতে ছিলাম”, তবে কি তাহাকে আমি সত্য বলিয়া বিশ্বাস করিতে পরিতাম ? স্পষ্ট আমার মরণ হইতেছে যে, আমি গতকল্য কাশীতে ছিলাম, তাই তাছা আমার নিকটে ঐৰসভা। স্মরণ এবং কল্পনা দুইই আমার আপনার, অথচ স্মরণের কথায় যাথার্থ্যে . আমার ৰিশ্বাস দাড়াইতেছে ভরপুর—করনার কথার যাথার্থ্যের মূল্য আমার নিকটে কিছুই নহে। এক স্বাত্রায় এই যে পৃথক ফল-ইছ কি কম আশ্চৰ্য্য স্বরণ এই তো এক আশ্চর্য ব্যাপার—দর্শন আবার আৰু একতরো আশ্চৰ্য-ব্যাপার। এ বলে আমায় প্তাখ-ও বলে আমায় স্তাখ। এমন কি, দর্শন এবং স্ট্ররণের/ধ্যে ষে গ্রভেদ কোন খানটায়, তাহুল্প ঠিকান পাওয়া কঠিন । তার সাক্ষী ঃ — মনে কর, একটা অঙ্গুলিপরিমাণ আগ্নেয়নলিকা ( যেমন হাউইবাজি'র চোঙা ) S/~ –ਂ "f পথ ক ক-স্বান হইতে ছুটির ঘ-স্থানে পৌছিল। তাহা ঘ-স্থানে পৌছিবামাত্র দর্শকের চক্ষে একটি অtগ্নেয়বিন্দু ঘ প্রকাশ পাওয়াই উচিত ; কিন্তু প্রকাশ পাইতেছে—শুধু কেবল সেই আগ্নেয়বিন্দুটি না, পরন্ত ক হইতে ঘ পর্য্যস্ত সমস্ত ক-খ-গ-ঘ-পথ জুড়িয়া একটা সুদীর্ঘ আগ্নেয়রেখা ৷ হইতেছে একটি আশ্চৰ্য্য-ব্যাপার—দৃশুমান ঘবিন্দুর সঙ্গে স্থতিপথের ক, খ, গ, বিন্দুগুল ংস্কারের আটায় জোড়া লাগিয়া-গিয়া ক-খগ-ঘ-পথের আগাগোড়া সমস্তটা দর্শকের দৃষ্টিক্ষেত্রে উদ্ভাসিত হইয়া উঠিতেছে । বৰ্ত্তমানের দর্শন, অতীতের স্মরণ এবং ভবিষ্যতের কল্পনা, এই তিন স্তাঙত কঁধি-ধরাধরি করিয়া একসঙ্গে দৌড়িয়া চলিতেছে। দৃষ্টির হঁ্যপায় পড়িয়া স্থতিও দৃষ্টি হইয়া উঠিতেছে