পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৫০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম সংখ্যা। ] সংস্কৃতসাহিত্যে সামাজিক চিত্র। '8૩૧ -> তৎপরে দানশক্তির ভায় অহিংসাধর্শের .প্রতিও বৃষ্টি দেখা যায়। কবি শকারের মুখ দিয়া ৰসস্তসেনাকে যখন গালাগালি দিতেइइन, उथन ज*ब्रां"ब्र अवजांश्छक गप्वांধনের মধ্যে “মৎস্যাশিকা” বা মৎস্তভোজিনী বলিয়া সম্বোধন করিতেছেন। ইহাতে প্রমাণ, সেই প্রাচীন সময়েও মৎস্ত-মাংসजांशंब्र निझडेप्थनैौब्र भएषा बक ७ घ्नभिङ কার্ধ্যের মধ্যে গণ্য হইয়াছিল । ইহাও ৰৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রভাবজাত বলিতে হইবে। এ সময়ে অার একটি অনুষ্ঠান দেখিতেছি, ৰাছী দেখিলে ৰওঁমান জৈনধৰ্ম্মকে স্মরণ •হয়। তাহ পশু, পক্ষী, কীট প্রভৃতিকে জাহার দেওয়াকে ধৰ্ম্মজ্ঞান করা। এই ভাৰ ৰৌদ্ধধৰ্ম্ম হইতে সেই প্রাচীনকালেও হিন্দুধৰ্ম্মের মধ্যে প্রবিষ্ট হইয়াছিল। ধাৰ্ম্মিকপ্রৰর চারুদত্ত নিতান্ত দুরবস্থার মধ্যে পড়িয়াও সন্ধ্যাবন্দনাস্তে ভূতদিগকে বলি অর্পণ করিতে ভুলিতেছেন না। বিদূষককে ৰলি অর্পণ করিতে বাধা করিতেছেন। বর্তমান সময়েও দেখা যাইতেছে, জৈনসম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিগণের চক্ষে ইহা নিত্য আচরণীয় মহা ধৰ্ম্মানুষ্ঠান। গুজরাটের অন্তগত জামদাবাদ প্রভৃতি জৈনপ্রধান স্থানে, এমন কি, কলিকাতার বড়বাজারের মাড়ওয়ারীপটার স্থায় স্থানে পদার্পণ করিলে পাঠকগণ দেখিতে পাইবেন যে, এই সম্প্রদায়ভুক্ত সাধকগণ রাজপথে পক্ষিনের জুহু নামাজাতীয় শস্তবীজ, অথবা, পিপীলিকাদের थछ ििन यहडि भ*१ कब्रिप्ङप्इन । ७हे ধর্শ্ববুদ্ধি এতু গিয়াছে যে, এরূপও গুনিমাছি, পয়লা" দিয়া মানুষ ভাড়া তাহাকে সমস্তরাত্রি থাটের সহিত বাধারাখিয়া - ছারপোকাদিগকে খাওয়ানকেও র্তাহাদের অনেকে ধৰ্ম্ম বলিয়া মনে করেন। এই অহিংসা ও ভূতবলির ভাব অতি প্রাচীনকাল হইতে হিন্দুধর্শের মধ্যে প্রৰিষ্ট হইয়াছে। এই অহিংসা ছিন্দুভাৰ নহে ; কারণ বাগযজ্ঞ ও পণ্ডবলি এদেশের প্রাচীন ভাব। তান্ত্রিক বামাচারকে এই অতিরিক্ত অহিংসাপরতার প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া মনে করা যাইতে পারে। তৎপরে এই নাটকের মধ্যে সামাজিক রীতিনীতির যে নমুনা দেখিতে পাওয়া যায়, তাহার কিঞ্চিৎ উল্লেখ করিতেছি। প্রথমত তখন দাসদাসীদিগকে ক্রয়ৰিক্রয় করা নিত্যকৰ্ম্মের মধ্যে ছিল । মদনিক বসন্তুসেনার দাসী ; শর্বিলক তাহার প্রতি অনুরক্ত ; তাহাকে একেবারে চার,—বসন্তসেনা তাহাকে যে মূল্যে কিনিয়াছিলেন, তাহা না. পাইলে দিবেন না, এই আশঙ্কা করিয়া শর্বিলক চুরি করিতে গেল ; এবং চারুদত্তের গৃহ হইতে বসন্তসেনার ন্যস্ত অলঙ্কারগুলি চুরি করিয়া আনিল। দ্বিতীয়ত সংবাহক সভিক, দ্যুতকর প্রভৃতির নিকট দ্যুতে পরাজিত হইয়া পলায়ন করিতেছিল, যখন তাহাদের হস্তে ধরা পড়িল এবং বাজির টাকা দিতে অসমর্থ হইল, তখন আপনাকে ৰিক্রয় করিয়া সেই অর্থ দিবার চেষ্টা করিল ; এবং প্রকাশু রাজপথে চীৎকার করির বলিতে লাগিল, “মহাশয়র কে চাকর চান, আমাকে ক্রর করুন, আমি সংবাহনবিষ্ঠাতে পারদর্শী", ইত্যাদি –এই ক্রীতদাসপ্রথা ও বাদীক্ৰয়প্রথা অতি প্রাচীনকাল হইতে এদেশে