পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৫২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম সংখ্যা । ] जिवैडूम . &శీ$ পুণ্যস্থানের বিবিধ নিদর্শন আমার দৃষ্টপঞ্চ আছে। কেন না, পথগুলির স্তা, এদেশে, পতিত হইল। আমরা একটা বিস্তীর্ণ ধূলিও লাল 1, সরোবরের ধার দিয়া চলিতে লাগিলাম । সেই সরোবরজলে আ-কটি-মজ্জিত হইয়া ব্রাহ্মণের প্রাতঃস্নান করিতেছে ; প্রাচীন প্রচলিত পদ্ধতি অনুসারে পূজার মন্ত্রাদি পাঠ করিতেছে ; উহাদের লম্বিত কেশগুচ্ছ বাহিয়া জলবিন্দু ঝরিতেছে ; উহাদের আর্দ্র গাত্র স্বৰ্য্যকিরণে, অভিনব পিত্তলসামগ্রীর ন্তায় ঝিকৃমিক্‌ করিতেছে —মনে হইতেছে, যেন উহার কতকগুলি জলদেবতা। উহার স্বকীয় ধ্যানে এমনি নিমগ্ন,-আমাদের গাড়ি উহাদের পাশ্ব দিয়া চলিতেছে, সৈনিকগণ আমাদের সন্মানার্থ তুরীনাদ করিতেছে, জয়ঢাক পিটাইতেছে, তথাপি সেদিকে উহাদের দৃকপাত নাই। ইতরসাধারণের অপ্রবেগু এই ঘেরটির মধ্যে রাজপরিবারবর্গের নিবাসগৃহ, পাঠশামসমূহ, মার সেই সৰ্ব্ব প্রধান মন্দিরটি অধিষ্ঠিত—যাহা অার চারিটি বিরাট অট্টালিকার উপর—সেই দেবমন্দিরের গগনভেদিচুড়াচতুষ্টয়ের উপর আধিপত্য করিতেছে। এই • প্রাসাঁদের সম্মুখভাগের আকৃতি ও প্লাসাদপ্রাচীরের বহির্ভাগটি যেন একটু বিষাদময়। প্রাসাদদ্বারের উপর দুইটি যুগল কাল্পনিক মূৰ্ত্তি অধিষ্ঠিত ; এই মূৰ্ত্তিন্থটি ভারতীয়ধরণের। মারো . কিছু দূরে, পূৰ্ব্বদিকের শেষ প্রাস্তে, কতকগুলি দ্রাগন’মূৰ্ত্তি অধিষ্ঠিত —উহা স্পষ্ট চীনদেশীয় বলিয়া মনে হয়।" সমস্তই অতি উজ্জল বর্ণে রঞ্জিত ; এবং ৰহৰৰাৰি ধূলিরাশি সঞ্চিত ইয়াউহাদিগকে “পোড়া-পোড়া’ ও আরক্তিম করিয়া তুলি মহারাজের . প্রাসাদদ্বারের সম্মুখে, অশ্বারোহী রক্ষিগণ আবার আমার সন্মানার্থ স্কন্ধ হইতে অস্ত্রাদি নামাইয়া লইল । সৈনিকগুলিকে দেখিতে খুব জাকালে, বেশ কায়দা-দোরস্ত, লাল-পাগড়ি-পরা ; এবং উহারা আধুনিক নিয়মানুসারে, “পুনঃপুন-আওয়াজকারী নবপ্রচলিত ৰন্দুকের ৰথাযথ প্রয়োগ ও চালনা করিতে পারে। মহারাজা স্বয়ং অভ্যর্থনার জন্ত দ্বারদেশে আসির উপস্থিত। আমার ভয় ছিল, পাছে আমার সম্মুখে যুয়োপীয়-বৃহৎ-কোর্তাধারী কোন রাজমুক্তির আবির্ভাব হর। কিন্তু ন!—মহারাজা সুরুচির পরিচয় দিয়া খটি ভারতীয় বেশেই আসিয়াছিলেন।— শাদা রেশমের পাগড়ি, মখমলের পরিচ্ছদ— বোদামগুলি স্বচ্ছ হীরকের । যে দরবারশালায় প্রথমে আমার অভ্যর্থনা ছইল, উহার কুটিমতল চীন-ৰাসনের দ্রব্যে মণ্ডিত ; চাদোয় হইতে কতকগুলি বেলোয়ারি ঝাড়-লণ্ঠন বুলিতেছে ; মধ্যস্থলে খোদাই-কাজ-করা একটা রৌপ্যসিংহাসন ; উহার চারিধারে কালো-রঙের আসবাবু ;-- পুরু আর সকাঠে খোদাই কাজ-করা ভারতীয়-ধাচার কালে আরাম-কেদারা ; এ কেবল অশিয়াখণ্ডের লোকেরাই জানে, কি করিরা এরূপ মূল্যবান কঠিন কাঠে খোদাই-কাজ করা যাইতে পারে। , ফরাসী-সরকারের " একটি সন্মানভূষণ মহারাজকে প্রদান করিবার ভার আমার উপর অর্পিত হইয়াছিল –এই সহজ কাজটি