পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 बैंक्रबंधन । পরিচয়-দিয়া কছিলেন—“ইহার স্বামী,উকিল, নুতন রোজগার করিতে বাহির হইয়াছেন । পথে কর্ভার সঙ্গে দেখা * হইয়াছিল, তিনি ইহাদের গাজিপুরে আনিয়াছেন।” শৈলজা কমলার মুখের দিকে চাহিল, কমৃলাও শৈলজার মখের দিকে চাহিল, এবং সেই দৃষ্টিপাতেই একমুহূর্বে উভয়ের সখ্যবন্ধন বাধিক্কা গেল । হরিভাবিনী আতিথ্যের আয়োজনে চলিয়া গেলেন—শৈলজা কমলার . হাত ধরিয়া কহিল, “এস ভাই, আমার ঘরে এস !” - অরক্ষণের মধ্যেই ইজনে ঘনিষ্ঠভাবে কথ। আরম্ভ হইল । শৈলজার সঙ্গে কমলার বয়সের যে প্রভেদ ছিল, তাহ চোখে দেখিয়৷ সহস) বোঝা যায় না । শৈলজার সবসুদ্ধ একটু ছোটখাট সংক্ষিপ্তরকমের ভাব— কমলার ঠিক তাহার উণ্টা—আয়তনে ও ভাবেভঙ্গীতে সে আপনার বয়সকে অনেকটা ছাড়াইয়া গেছে । বিবাহের পর হইতে তাহার মাথার উপরে শ্বশুরবাড়ীর কোনরকমের চাপ না থাকাতেই হৌক বা যে কারণেই হেীকৃ, দেখিতে দেখিতে সে অসঙ্কোচে বাড়িয়া উঠিয়াছিল । তাহার মুখের ক্টোবর মধ্যে একট। স্বাধীনতার তেজ ছিল । তাহার সম্মুখে যাহা-কিছু উপস্থিত হয়, তাহাকে স্বত্তত ° মনে মনেও সে প্রশ্ন না করিয়৷ ক্ষান্ত হয় না । “চুপ কর”, “যাহা বলি তাছাই করিয়া যাও”, “ৰোমানুষের অত নেই’কর শোভা পায় সুৰ কথ। তাছাকে আজ পর্বাত্ত بیبیس-"nة গুনিতে হয় নাই। তাই সে যেন মাথ৷ ভুলিয়া সোজা হইরা উঠিয়াছে—তাহার সৰ্বলতার মধ্যে সবলতা আছে। o [ ৪র্থ বর্ষ, বৈশাখ। শৈলজার মেরে উমি উভয়ের মনোযোগ নিজের প্রতি সম্পূর্ণ একচেটে করিয়া লইবার ৰিধিমত চেষ্টা করিলেও, দুই নুতন সর্থীর মধ্যে কথাবার্তা জমিয়া উঠিল । এই কথোপকথনব্যাপারে কমলা নিজের তরফের দৈষ্ট সহজেই বুঝিতে পারিল । শৈলজার বলিবার ঢের কথা আছে, কিন্তু কমলার বলিবার কিছুই নাই । কমলার জীবনের চিত্রপটে তাহার দাম্পত্যের যে একটা ছবি উঠিয়াছে, তাহা একটি পেন্সিলের ক্ষীণ রেখামাত্র -তাছার সকল জায়গী পরিস্ফুট মুসংলগ্ন নহে, তাছাতে আজও একটুও রং ফলানো হয় নাই । কমল৷ একদিন এই শূন্তত স্পষ্ট করিয়া বুঝিবার অবকাশ পায় নাই - হৃদয়ের মধ্যে অভাব অনুভব করিয়াছে, মাঝে মাঝে বিদ্রোহ, ভাবও উপস্থিত হইয়াছে, কিন্তু ইহার চেহারাট। তাহার চোখে ফুটিয় ওঠে নাই । বন্ধুত্বের প্রথম আরম্ভেই শৈলজ) যখন তাহার স্বামীর কথা বলিতে আরম্ভ করিল যে মুরে শৈলজার হৃদয়ের সব তার গুলি বাধা রস্থিaাছে ,আঙুল পড়িবামা , যখন সেই মুয় বাজিয়া উঠিল, তখন কমল দেখিল, কমলার হৃদয় হইতে এ স্বরের কোনো ঝঙ্কার দিবার নাই—স্বামীর কথা সে কি বলিবে, বলিবার दिवब्रझे दी कि श्राप्कृ ? पणिबाङ्ग आ&श्हें बा কোথায় স্বশ্বের বোঝাই লইয়৷ শৈলজার ইতিহাস বেথ হহু করিয়া স্রোতে ভাগিন্ধ চলিয়ছে, কমলার শূন্ত নৌকাট। সেখানে মাটিতে ঠেকিয়৷ আচল হইয়া আছে। শৈলজার স্বামী বিপিন গাজিপুরে অহিফেনরিভাগে কল্প করে। চক্রবর্তীর দুটিমাত্র মেয়ে। বড় মেয়ে ত গুশ্বরবাড়ী