পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৫৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ সংখ্যা । ] রাজা রঙ্গিমোহন রায় । esą রামমোহনও তেমনই বলিতে পাব্লিতেন-- :আমি ভাঙিত্তে আমি নাই, গড়িতে আলিয়াছি ।” বর্তমান যুগের প্রথমাবস্থার সঙ্গে তাহার আরাধ্যচিত্র আমাদের মনে অবিচ্ছিন্নভাবে জড়িত। রামমোহনের ছবি যেমনই প্রতিভাব্যঞ্জক, তেমনই অসামান্তবীরত্বপূর্ণ। তীক্ষ্ণ সঙ্কল্পাক্কঢ় উজ্জল চক্ষু, বাগিতার পরিচায়ক স্থল হস্থ, দৃঢ়সংবদ্ধ ওষ্ঠাধর এবং ঋজু সুদীর্ধমূৰ্ত্তিতে যেন কটি বাধিয়া তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হইয়াছেন। র্তাহার বহুস্তরে বিভক্ত শিথিল জামার আস্তরণ হইতে গ্রন্থৰদ্ধ দক্ষিণ হস্ত যেন সত্য প্রতিপাদনের জন্ত উদ্যত হইয়৷ আছে, বিশাল পাগড়ীটি ঘনসংচ্ছন্ন বক্রকেশাস্তের উপাস্তে কুটিলভাবে , সন্তস্ত"। এই বীরবেশে ষোড়শবর্ঘকাল কলিকাতামহানগরীর বক্ষে রামমোহন তর্কযুদ্ধ চালাইয়াছিলেন। কোন্তদিন নাস্তিক বৌদ্ধকে ঈশ্বরতত্ত্ব বুঝাইবার জন্ত তিনি সমস্তদিন উপবাসী থাকিয় ক্রমাগত ভর্ক করিতেছেন, মিঃ অনিট এতদবস্থায় তাহাকে সন্ধ্যা সাতটার সময়e দেখিয়া আশ্চর্য্যাম্বিত হইয়া গিয়াছিলেন "মৌলভি গোলাম আব্বাস তাহার সঙ্গে তর্কে হারির তৎপ্রবৰ্ত্তিত ধৰ্ম্মের ७भनहे cशैज़ इहेछहिएगन् *१, उिनि অাষ্ট্ৰীয়সতার উৎসুবের সময় পাখেfয়াজ sistetsn i afrew Mr. Adamsas স্থায় কত পাত্রী তাছার সঙ্গে তর্কপরাজয় স্বীকার করিয়া ইউনিটরিয়ান্‌ মত অবলম্বন করিয়াছিলেন। to দেশের সর্বৰিষয়ক উন্নতির প্রতি তাহার, ३ দৃষ্টি পড়িয়ছিল। হিন্দুর দায়ভাগসংন্ধ র্তাহার শ্রম ও যন্ত্র বিস্ময়কর, সহমরণপ্রথা উঠাইয়া-দিয়া তিনি হিন্দুসমাজের অনেঞ্চের শ্রদ্ধাপ্রতি আকর্ষণ করিয়াছেন, মুদ্রাঘন্ত্রের স্বাধীনতার জন্ত তাহার চেষ্টা আমাদের চিরকৃতজ্ঞতার উদ্রেক করিবে । সংস্কৃতশিক্ষার পরিবৰ্ত্তে ইংরাঞ্জিশিক্ষাপ্রবর্তনের চেষ্টার জন্ত তিনি তুল্যরূপই প্রসিদ্ধ। পাদ্রাদিগকে অকুষ্ঠিতভাবে প্রতিরোধ করিয়া এবং বিলাতে যাইয়া বেদাস্তের মহিমা কীৰ্ত্তনপূর্বক তিনি আমাদিগকে গৌরবান্বিত করিয়াছেন। খ্ৰীষ্টানদিগকে তিনি বুঝাইয়াছেন, র্তাহার ধৰ্ম্ম স্বতন্ত্র, তাহার ধৰ্ম্ম উন্নততর। কোনস্থানেই তিনি স্বীয় সম্মান ও স্বীয় ধৰ্ম্মকে লঘু করিয়া পরের পৃষ্ঠপোষকতার প্রার্থী হন নাই। তিনি বাঙলা গদ্যসাহিত্যের একরূপ স্বষ্টিকৰ্ত্ত বলিলেও অত্যুক্তি হয় না । বঙ্গভাষার তিনি যে ক্ষুদ্র ব্যাকরণখানি প্রণয়ন করিয়াছেন, তাহ পাঠ করিয়া দেখিবেন, বঙ্গ ভাষার প্রতিভার তিনি তখন যে পরিচয় পাইয়াছিলেন, এখন পৰ্য্যস্ত অন্ত কেছ সে পরিচয় পান নাই। সেই ব্যাকরণখানি আদর্শ করিয়া পরবত্তা ব্যাকরণগুলি সেই চেষ্টার বিকাশে যত্নপর হইলে ভাষাতত্ত্বসম্বন্ধে আমাদের অশেষ উন্নতি হইত। তাহ না করির আধুনিক ব্যাকরণগুলি উত্মাৰ্গগামী হইয় পড়িতেছে। আর তাহার সর্বপ্রধান কাৰ্য্য--হিন্দুর ৰে নিৰ্ম্মল প্রাচীন ধৰ্ম্ম “খণির তিমিবুগর্ভে হীরক ধেমতি” সেইরূপ লুকায়িত ছিল, তিনি তাহাই পুনরুজ্জীবিত করিবার চেষ্টায় জীৱন উৎসর্গ করিয়াছিলেন - হিন্দুর