পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৫৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

g ه به

  • ঙথক্ষাকৃত আধুনিক। উভয় ভাষার উৎপত্তিস্থান এক হইলেও, উভয়ের মধ্যে পার্থক্যের অতাব নাই । সাহিত্যের ভাষা সুসংযত ; কথোপকথনের ভাবা অসংযত। সাহিত্যের ভাষায় পরিবর্তনের প্রভাব অপেক্ষাকৃত অল্প ; কথোপকথনের ভাষা নিয়ত পরিবর্তনশীল ।

সাহিত্যের ভাষা দেশকালপাত্রের প্রভাব অতিক্রম করিয়া অপেক্ষাকৃত দীর্ঘকাল পর্য্যন্ত বহুদেশে বহুলোকের মধ্যে একভাবে বর্তমান থাকিতে পারে । কিন্তু কথোপকথনের ভাষা তাহার পূৰ্ব্বেই দেশকালপা এভেদে নানা মূর্তি ধারণ করিয়া ক্রমশ পরিবৰ্ত্তিত হইয়া যায়। ভারতবর্ষের পুরাতন সাহিত্যের ভাষা অদ্যাপি বৰ্ত্তমান আছে ; পুরাতন কথোপকথনের ভাষা সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তিত হইয়া গিয়াছে ! ভাষা প্রথমে সংস্কারশূন্ত উচ্ছঙ্খল অৰস্তার কোনরূপ সাংসারিক কথোপকথনের প্রয়োজন সাধন করিত। সে ঠিক কতদিনের কথা, মানবজাতির সভ্যতার ইতিহাসে তাঙ্গার কোন প্রমাণ প্রাপ্ত হইবার উপায় নাই । তাহার পর ধীরে ধীরে সংস্কার সাধিত হইয়া, সাহিত্ত্যের স্বষ্টি করিয়া, মানব ভাষা ক্রমশ উন্নতিসোপানে আরোহণ করিয়াছে । মানবসমাজের সর্বপুরাতন সাহিত্য ভারতবর্ষের ংস্কৃত্তসাহিত্য। তাহা কত পুরাতন, সভাসমাজের সুধীগণ তাহ! নির্ণয় করিবার জন্ত লীলায়িত । তথাপি এ পর্যান্ত কোন সিদ্ধান্তই ঐতিহাসিক তথ্যরূপে স্বীকৃত হইবার উপযুক্ত इब्र নাই । এখনও তাহার অনুসন্ধানকাৰ্য্য পরিচালিত হইতেছে । 尊 সংস্কৃতষ্ঠাৰ कछ शूब्रांऊन, cरू उiझांब्र কালনির্ণয় করিৰে ? সেকালের কোন • বঙ্গদর্শন। [ ৪র্থ বর্ষ, ফাঙ্কন"। . লিখিত ইতিহাস বর্তমান নাই । কতকালে ভাষা, ধীরে ধীরে সংস্কারসম্পন্ন হইয়াছিল, তাহাই বা কে বলিবে ? তাহার ও কোন ইতিহাস প্রাপ্ত হওয়া যায় না । বহু ব্যাকরণ প্রচলিত ও বিলুপ্ত হইবার পর, যে পাণিনীয় ব্যাকরণ অবশেষে প্রতিষ্ঠালাভ করিয়াছে, তাহা ৰে কত পুরাতন, তাহারও মীমাংসা করিবার উপায় নাই ! যে ভাষা মানবজাতির সর্বপ্রাচীন স।fহ ত্যরচনার পরিচয় প্রদান করিয়া, সভ্যসমাজে ভারতবর্ষের নাম চিরগৌরবান্বিত করিয়াছে, তাহ! কি কেবল সাহিত্যের ভাষা ? তাহা কি কখনও কথোপকথনে” ব্যবহৃত হইত না ? এই প্রকার মীমাংসা করিবার জন্ত কৌতুহল প্রবল হইলেও, ইহার মীমাংসা করা সহজ বলিয়া বোধ হয় না। পূর্বের অবস্থা কিরূপ ছিল, তাহ নির্ণয় করিৰার উপায় নাই । পাণিনির সময়ে কথোপকথনে কিরূপ ভাষা ব্যবহৃত হহঁত, তাহারই কিছু কিছু আভাস প্রাপ্ত হওয়া যায়। পাণিনিস্থত্রে যে সকল শব্দের অঙ্কুশাসন সাধিত হইয়াছে, তাছার আলোচনা করিলে দেখিতে পাওয়া যায়,—পাণিনি ধ্বনিমাত্রকেই “শকা”-শবের অন্তর্গত করেন নাই"। ভাষ্যকার তাছা বিশদভাবে ব্যক্ত করিবার बछ क्षनिर ‘শব্দ” ও “অপশন্ধ" নামক দুই ভাগে বিভক্ত করিয়া গিয়াছেন। অপশন্ধ অশিষ্য ; তাহার জন্ত পাণিনিসূত্র রচিত হয় নাই । শামুশাসনের জৱই পাণিনিসূত্র রচিত হইয়াছিল। স্বতরাং “শৰ":শঙ্কের মর্থ-সংস্কৃত বা সাধু শব্দ। . जनं*ण बाॉकब्रन दहेहरू निर्सीनिङ