পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৫৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ সংখ্যা । ] w হইলেও, জনসমাজের কথোপকথন হইতে नि#निष्ठ श्ड भीष्व नरे । ईत्रं भे অপেক্ষ অপশব্দের সংখ্যাই যে অধিক ছিল, ভাষাকার তাহার উল্লেখ করিতে বাধ্য হইয়া ছেন। লোকে কথোপকথনে অপশব্দের ৰ্যৰ হার করিত ; তথাপি তাহার গতিরোধ করিবার চেষ্টা ছিল । প্রধান চেষ্টা অপশব্দব্যৰহারের নিন্দ । তাহা ম্লেচ্ছাচার বলিয়া নিন্দিত । একালের সভা ও জল ভ্য শব্দের দ্যায় সেকালের আর্য্য ও অনার্য্য শব্দ লোকসমা জেৱ দ্বিবিধ অবস্থার পরিচয় প্রদান করিত । মাৰ্য্য-অনার্য্যের প্রভেদ অস্থাপি পৃথিবী হইতে দূরীকৃত হয় নাই এখনও সভ্যসমাজ অসভ্যনাম গ্রহণ করিতে অসন্মত । সেকালের আর্য্যগণ আর্য্যত্বরক্ষার্থ ইহা অপেক্ষাও লালায়িত ছিলেন । সুতরাং তাহাদিগকে নান বিষয়ে অনার্য্যের সহিত পার্শ্বকারক্ষার্থ ৰত্ন করিতে হইত । প্রধান পার্থক্য ভাষায় । কে শিক্ষিত স্বসভ্য, কে অশিক্ষিত অস ভ্য, কথোপকখনেই তাহাৰ প্রথম পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া ৰাষ্ট্র। মুতরাং আৰ্য্যগণ যে কথোপকথনে ও পার্থক্য রক্ষার্থ যত্নশীল ছিলেন, তাহ অনুমান শুরিতে বাধা নাই ; পাণিনিস্বত্র এই অমুমানের পক্ষসমর্থন করে। . . পাণিনি সমগ্র সংস্কৃতশবকে “ছন্দস ও *ভাষ” নামক ভাগদ্বয়ে বিভক্ত করিয়া গিয়াছেন। ‘ছন্দস ৰে সাহিত্যের ভাষা, কথোপকথনের নহে ; তাছা বুঝিতে কোনও ब्रांभांग्ना:-ांग्न ब्रछनांकांठा । p

Qや。

ইতস্তত হয় না । পাণিনি যাঙ্গকে “ভাষা” নামে অভুিঞ্ছিত করিয়া গিয়াছেন, তাছাও কিকেবল সাহিত্যের ভাষা পাণিনি ভাষা শব্দের ব্যাখ্যা করিয়া যান নাই । উত্তরকালের জনৈক টীকাকার তাহাকে লোকসমাজের “কথোপকথনের ভাষা” বলিয়াই ব্যাখ্যা করিয়া গিয়াছেন।+ এই ব্যাথা। স্বসঙ্গ ত হইলে, পাণিনির সময়ে কথোপকথনে আর্য্যসমাজে সংস্কৃতভাষা প্রচলিত থাকাই সিদ্ধান্ত করিতে হয় । কিন্তু উত্তরকালের টীকাকারের ব্যাখ্যা ধরিয়া এরূপ সিদ্ধান্ত করা সকলে সঙ্গত বলিয়া স্বীকার করিবেন না । অন্ত প্রমাণের মবেশুক । কারণ, অনেকেই বলিয়া থাকেন,—“সংস্কৃতভাষার গঠনপ্রণালীষ্ট এরূপ সিদ্ধান্তের প্রধান অস্তুরায় । সমুচিত শিক্ষা ভিন্ন যে ভাষা অধিগত হয় না, সে ভাষায় কথোপকথন সম্পাদন করা সহজ নহে ।” এ বিষয়ে একালের অভিজ্ঞতা লইমু বিচার করিলে চলিবে না । আমরা • একালের লোক ; ব্যাকরণাদি অধ্যয়ন করিয়া বহুক্লেশে সংস্কৃতভাষা শিক্ষা করি। আমাদের পক্ষে সে ভাষায় কথোপকথন সম্পাদন করা সহজ হয় না । কিন্তু সংস্কৃতভাষাই যখন জাৰ্য্যসমাজের চিরপরিচিত ভাষা ছিল, তখন আর্য্যসমাজের পক্ষে সে ভাষা শিক্ষা করা বা তাহাতে কথোপকথন সম্পাদন করা এরূপ কঠিন ছিল না । শিক্ষিতসম্প্রদারের পক্ষে সংস্কৃতে কথোপকথন ও শাস্ত্রবিচার করিবার প্রথা অপেক্ষাকৃত অtধুনিক সময়েও প্রচলিত ছিল । এদেশে, যখনই পুনরায় স্বাসংপশষ অরয়াল শৰ একৈক্ষপ্ত হি শাস্ত ৰহবােংপভ্রংশ। ভধিতে লোকোহনয় পরিপাট্য ইতি স্বষ্টিণ্ডুরাচার্যাঃ ॥